শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান;২৪ মে সারাদেশে মানববন্ধন ”
শিক্ষামন্ত্রণালয় কর্তৃক করোনা সংক্রমণের দোহাই দিয়ে আগামী ২৯ মে পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করেছে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা। একই সাথে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে আগামী ২৪ মে সারাদেশে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে।
গত ১৭ মে রাত ১০.৩০ মিনিটের সারাদেশের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে এক অনলাইন মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মিটিংয়ে উপস্থিত ছাত্র প্রতিনিধিরা জানান সরকার করোনা সংক্রমণের অযুহাত দিয়ে বারবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বৃদ্ধি করছে। তারা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়ার কথা বলছে। আমরা মনে করি এটা কেবল মুখের বুলি বৈ কিছু নয়। কারণ গত মার্চ মাসে যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে সারাদেশে জোরালো আন্দোলন শুরু হয় তখন শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন ১৭ মে হল ও ২৪ মে ক্যাম্পাস খুলে শিক্ষা-কার্যক্রম স্বাভাবিক করা হবে। তার আগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আমরা দেখলাম সরকার হাতে দু মাস সময় পেয়েও এখন পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনেনি। তারা যদি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি সত্যিই গুরুত্ব দিয়ে থাকেন তাহলে ভ্যাকসিন দেয়ার ক্ষেত্রে কেন এখনও তাদের প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে না? সরকারের এসব কাজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্তকে সন্দেহজনক করে তুলেছে।
উপস্থিত ছাত্র প্রতিনিধিরা আরও বলেন, আমরা দেখছি করোনার মধ্যে সবধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি, ছাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি, উপজেলা নির্বাচনসহ সবকিছু চলমান রয়েছে। এছাড়াও বর্তমান সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরও ইদ যাত্রায় সাধারণ মানুষের যে ভিড় এবং গণপরিবহন বন্ধ রেখে যেভাবে ভোগান্তি চরমে পৌঁছানো হয়েছে তাতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়াটাই স্বাভাবিক। সরকার যদি সত্যি আন্তরিক হতো তাহলে এভাবে ইদ যাত্রার চেয়ে গণপরিবহন চালু রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইদ যাত্রার ব্যবস্থা করতো। এভাবে সরকারের পরিকল্পনা, কর্ম ও সমন্বয়ের ব্যর্থতার বলি সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আমাদের ভবিষ্যৎ জীবন অনিশ্চয়তার মুখে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বড় অংশই নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান৷ শিক্ষাজীবন শেষে পরিবারের হাল ধরতে হয়। এভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দুর্দশা চরমে পৌঁছেছে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া সামনে কোনো পথ খোলা নেই।
আলোচনায় উপস্থিত ছাত্র প্রতিনিধিরা শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তকে হঠকারী উল্লেখ করে নিম্নোক্ত কর্মসূচি ঘোষণা করেন :
১. হল-ক্যাম্পাস খুলে শিক্ষা-কার্যক্রম স্বাভাবিক করার দাবিতে আগামী ২৪ মে সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, জেলা-উপজেলায় মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো।
২. একই দাবিতে ২৪ মে সকাল ১১টায় ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।
বার্তা প্রেরক
মোহাম্মদ ইসমাইল,এডমিন
‘অবিলম্বে সকল বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে হবে গ্রুপ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩:২০:২৫ ৭০৬ বার পঠিত #শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করে দিতে শিক্ষার্থীদের মানবব #শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য মানববন্ধন #২৪ মে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন