ফারহানা আকতার এর কলাম –“ নতুন প্রজণ্মের চোখে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ –পর্ব-২৫”

Home Page » সাহিত্য » ফারহানা আকতার এর কলাম –“ নতুন প্রজণ্মের চোখে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ –পর্ব-২৫”
সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১



নতুন প্রজন্মের চোখে মুক্তিযুদ্ধ

ভারতীয়-উপমহাদেশের ইতিহাস পর্যালোচনায় আমরা ছিলাম মোঘল সাম্রাজ্য এর ইতিহাস পর্যালোচনায় !বংশ পরস্পরায় মোঘল রাজাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন,যথাক্রমে: ১. সম্রাট বাবর , ২. সম্রাট হূমায়ূন , ৩.সম্রাট আকবর, ৪. সম্রাট জাহাঙ্গীর , ৫. সম্রাট শাহজাহান ও ৬.সম্রাট আঔরঙ্গজেব’ ৷এই ছয়জন প্রধান সম্রাটগনের শাসনামলের পরে তাদের নাতি-নাতনী অর্থাৎ পরবর্তী বংশধরগণ পরবর্তীতে বেশ কিছুকাল এ উপমহাদেশে মোঘল সাম্রাজ্যের ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন৷
২. দ্বিতীয় সম্রাট-সম্রাট হূমায়ূন (পুরো নাম- নাসিরউদ্দিন মুহাম্মদ হূমায়ূন),শাসনামল -১৫৩০ হতে ১৫৫৬ :
পানিপথের যুদ্ধে বিজয়ের পর বাবরের সেনাবাহিনী উত্তর ভারতের অধিকাংশ এলাকা জয় করে নেয়। তবে শাসন পাকাপোক্ত করার জন্য সম্রাট বাবর তাঁর ছেলে হুমায়ুনের উপর সাম্রাজ্য চালানোর দায়িত্ব অর্পন করেন৷ সম্রাট হূমায়ূন ক্ষমতায় আরোহণ করেই সকল প্রকাল অস্হিতিশীলতা থেকে মোঘল সাম্রাজ্যকে রক্ষা করেন এবং তাঁর সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। হুমায়ুন দিগ্বিজয়ী সেনাপতি শেরশাহ কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারত থেকে পারস্যে পালিয়ে যান। হুমায়ুনের সাথে পারস্যের সাফাভিদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় এবং মুঘল সাম্রাজ্যে পারসীয় সাংস্কৃতিক প্রভাব বৃদ্ধি পেতে থাকে।সাফাভিদের সহায়তায় হুমায়ুন মুঘলদের ক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।তিনি সুরি সম্রাট ‘ শেরশাহ সুরির’ হাতে ক্ষমতাচ্যুত হন এবংকিছুকাল পরে ১৫৫৬ সালের ২৭ জানুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন ৷
৩. তৃতীয় সম্রাট –আকবর-এ-আজম(পুরো নাম-জালালউদ্দিন মুহাম্মদ আকবর),শাসনামল-২৭ জানুয়ারি ১৫৫৬ – ২৭ অক্টোবর ১৬০৫ :
সম্রাট হুমায়ূনের মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে ‘আকবর-এ-আজম’ ক্ষমতায় আরোহণ করেন ৷ ১৫৫৬ সালে আকবরের ক্ষমতারোহণের মাধ্যমে মুঘল সাম্রাজ্যের ধ্রূপদী যুগ শুরু হয়। আকবর ও তাঁর ছেলে জাহাঙ্গীরের শাসনামলে ভারতে অর্থনৈতিক প্রগতি বহুদূর অগ্রসর হয়। আকবর অনেক হিন্দু রাজপুত রাজ্যের সাথে মিত্রতা করেন। কিছু রাজপুত রাজ্য উত্তর পশ্চিম ভারতে মুঘলদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ জারি রাখে কিন্তু আকবর তাদের বশীভূত করতে সক্ষম হন। সম্রাট আকবর ও বৈরাম খান পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে শত্রু-পক্ষকে পরাজিত করেন।চিতোরগড় অবরোধেও আকবর সফল হন। আকবর মোঘল সাম্রাজ্যকে বহু দূর পর্যন্ত বিস্তৃত করেন এবং মোঘল-আমলের শাসকদের মধ্যে তিনি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিবেচিত হন।লাহোর দুর্গ আকবরের সময় নির্মিত অন্যতম বিখ্যাত স্থাপনা ।তিনি দ্বীন-ই-ইলাহি ধর্মের প্রবর্তক। মুঘল সম্রাটরা মুসলিম ছিলেন বটে ৷ তবে জীবনের শেষের দিকে শুধুমাত্র সম্রাট আকবর ও তাঁর পুত্র সম্রাট জাহাঙ্গীর নতুন ধর্ম দীন-ই-ইলাহির অনুসরণ করতেন।পরে অবশ্য দীন-ই-ইলাহির অনুশীলন পরবর্তী সম্রাটদের মাঝে খুব একটা দেখা যায়নি ৷ (চলবে) ৷

ফারহানা আকতার

তথ্যসূত্র : বুকস্ , ইন্টারনেট ৷

লেখক: ফারহানা আকতার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, একাডেমিসিয়ান, কলামিস্ট এবং লেখক ৷

লেখকের অন্যান্য বই

বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৮:৩০   ৭৪৩ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

সাহিত্য’র আরও খবর


সাধক কবি রামপ্রসাদ সেন: স্বপন চক্রবর্তী
ড. গোলসান আরা বেগমের কবিতা “আমি তো গাঁয়ের মেয়ে ”
৫০ বছরের গৌরব নিয়ে জাবির বাংলা বিভাগ বিশাল ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’ উৎসব আয়োজন করেছে
অধ্যক্ষ ড. গোলসান আরা বেগমের কবিতা- ‘তোমার খোঁজে ‘
অতুলপ্রসাদ সেন: ৩য় (শেষ ) পর্ব-স্বপন চক্রবর্তী
অতুলপ্রসাদ সেন;পর্ব ২-স্বপন চক্রবর্তী
অতুলপ্রসাদ সেন-স্বপন চক্রবর্তী
অধ্যক্ষ ড. গোলসান আরা বেগমের কবিতা ” যাবে দাদু ভাই ?”
বাদল দিনে- হাসান মিয়া
ইমাম শিকদারের কবিতা ‘ছোট্ট শিশু’

আর্কাইভ