“বাংলাভাষার দ্বিজত্ব-মিথোলজি . . . . naming places probably serves an important psychological need - to name is to know and control, to remove uncertainty about the landscape.” - William Norton (1998)*
আরণ্যকের কবি ইতরার পুত্র মহীদাস বয়ান করেছেন: “বয়াংসি বঙ্গাবগধ্বাশ্চেরপাদাঃ”। এই বয়ান পড়ে শুনে অজয় রায় মন খারাপ করে বলেছেন: “প্রকৃত পক্ষে বৈদিক ঋষিগন অন্যভাষী জনগণের ভাষা না বুঝতে পারলেই তাদেরকে পশুর সাথে সংযুক্ত করতেন এবং মনুষ্য পদবাচ্য মনে করতেন না।” **
অনার্যদের প্রতি আর্যদের Attitude নির্ণয়ে এ এক অতি-সরলীকৃত দোষারোপ। আমার ধারণা অজয় রায়ের ধারণা সম্পূর্ণ না হলেও অনেকাংশে ভুল। ভাষা বুঝতে পারলেও ভদ্র লোকেরা প্রতিপক্ষকে পশুর সাথে তুলনা করে সব কালেই, অহরহই। ১৯৭১এর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানী হায়না বাহিনী, “বঙ্গাল সব হাইওয়ান (পশু) হ্যায়।” শ্লোগান দিয়ে ঝাঁপিয়ে নেমেছিলো ঢাকার রাস্তায়। “Dogs and Indians are not allowed in this English Club of Calcutta” লিখে রাখতো East India Companyর কেরানী ক্লাইভএর গোষ্ঠী তথা ভারতে বৃটিশ আর্যরা। এবং এসবই ভাষা বুঝা না বুঝার communication সমস্যার বিষয় ছিলোনা।
Reconnaissance বা “ইতরার পুত্র মহীদাস :
ভারতে আর্য আগমন এমন নয় যে, একদল “আর্য” সেই Central Asia থেকে ভ্রমন করতে করতে ভারতে এসে “এলুম দেখলুম জয় করলুম” বলে “Indo-Aryan” সেজে, সাজিয়ে নিলো ভারতভূমি। ওরা ভারতে “যাচ্ছি” বলে Central Asia ছেড়ে আসেনি। ভারত বা ইন্ডিয়া বা South Asia “নামে” কোন ভূখন্ডেরও অস্তিত্ব সে কালে ছিলনা। “Central Asia” নামটাও না। আসল কথা হলো যে, ওরা যে সেই সময়েই “আর্য” এবং “কেন্দ্রীয় এশিয়া” নামের ভূখন্ড যে তাদের প্রথম ও আদি জন্মভূমি তা ই জানতোনা তারা। Toponym বা স্থান-নামকরণ বিদ্যা বেশ পরের ব্যপার। “ভারত” নামটা এসছে, এবং পরে আর্যরাই রেখেছে, রাজা দুষ্মন্ত-শকুন্তলা পুত্র ভরতএর নামানুসারে। তাও “মহাভারত” নামের কবিতার বইরুপে এক মহা ইতিহাসের যুগে (১০ম খৃস্টপূর্বাব্দের কোন এক সময়ের)।
শক্তিশালী কারো অত্যাচারে ঊৎখাৎ হয়ে, বা বন্যা-খরার কারণে, বা বেশি বেশি মানুষ (over population) হয়ে যাওয়ার ফলে “খাদ্য ও বসতি”র খোঁজে ওরা ইরান-আফগানিস্তানে immigrate করে চলে আসে। সেও ২০০০-২৫০০ খৃ:পূ:তে। প্রথম ধাপের এই মহাঅভিগমনের অবস্থানকালেই ওরা জানতে পারে হিন্দুকোশ পর্বতের এপারে সুজলা সুফলা শষ্য শ্যামলা স্বপ্নময় এক ভূখন্ডের অস্তিত্ব। এ পর্যন্ত্য ওরা ছিলো পেশায় “উড়ণচণ্ডি পশু-পালক (Pastoral Nomads)। ১৫০০ খৃ:পূ:তে এই “ইরাফগানি” (ইরানী-আফগানি) আর্যদের ২০০তম (বা ঐ ১০০০ বছরের শেষে যত তম হয়) বংশধরেরা reconnaissance/রেকী raid party পাঠিয়ে পাঠিয়ে Khyber Pass আবিষ্কার করে ফেলে এবং পাঁচনদীর দেশ, পঞ্চ আব (পাঞ্জাব)এ বয়ে যাওয়া সিন্ধুতীরে হাজির হয়ে যায় ওরা। আর্য বংশধর আর্যরা। রথ চালিয়ে, মুখে “বেদ-মন্ত্র” আর হাতে লোহার লাঠি নিয়ে দখল করে নেয় ভারতভূমি।
. . . ব্যস্, এর পরের ইতিহাস সব Legendary History. এরই মাঝে ওদের “Talk-Show-Intellectual”রা complete code of life বা Book of Knowledge বেদ পুরোটাই ঠোটস্থ করে নিয়েছে। ঠোটে রাখতে হলে স্মৃতিতে থাকতে হয়। সে কালের Talk-Show-Intellectual বা স্মৃতিশাস্ত্রি (aka Brahmins) দের কাছে বেদ তাই “স্মৃতিশাস্ত্র”। আর যাদের জন্য এই code, তাদের জন্য বেদ “শ্রুতিশাস্ত্র”। যে শাস্ত্র শুনিয়া শুনিয়া জ্ঞানার্জন করিতে হয় সেই শাস্ত্রতো যথার্থই কর্ণকূহরের discourse! বেদ তাই তখোন “শ্রুতিশাস্ত্র” হিসেবে popular ছিলো। বই লেখার কাগজ কলমতো চিন্তায়ও আসেনি। ছাপার মেশিনপত্র? অতএব Lip to Ear “ঠোট-কান Media” পদ্ধতিতে জ্ঞান অর্জন ও বিতরণ হতো সে আর্য-সূচনার কালে। খাস জনরা পড়তো (উচ্চারণ করতো), আমজনতা, শূদ্ররা ছাড়া, সবাই শুনতো। সেকালের এই Talk-Show-Intellectualদের বেদমন্ত্র উচ্চারণ incomeএর প্রধান source ছিলো। Minimum wage আয় কমে যাবার ভয়ে বেদ লিপিবদ্ধ করা নিষিদ্ধ ছিল, করলে রৌরক-নরকবাস বিধান ছিলো। তাই প্রায় ৫০০ বছর বেদ “স্মৃতি-শ্রুতি” শাস্ত্র হয়েই থাকলো।
ইতরার পুত্র মহীদাস কেনো বংদের বয়াংসি বল্লো?
১২০০ মাইল দুরে সিন্ধু নদীর তীরে বসে সেই ৩১৭১ বছর আগে মহীদাস কেনো “পশুপাখি” বলেছিল ঢাকার বা পুন্ড্রএর বংবাসীদিগকে? কেমন করে জানলো সে, বং রা সব পাখির মত কিচির মিচির করে কথা কয়? (আর্যদের জন্য সে যুগে ম্লেচ্ছ তথা বং দেশে যাতায়ত নিষিদ্ধ ছিলো, অমান্য কারীদের শাস্তির ব্যবস্তা ছিলো (Thapar, 1971***)।
এ দুটি প্রশ্নের উত্তর Cultural Geography discourseএর জন্য, এবং বর্তমান রচনার প্রেক্ষিত পর্যবেক্ষনের জন্য অতি প্রয়োজন। পাঁচ নদীর (পাঞ্জাব) পার থেকে মেঘনার তীরে পৌঁছুতে সংষ্কৃত ভাষার লেগেছে হাজারখানেক বছর, মেঘনার তীরে এসেই অদ্ভূত সুন্দর একটা ভাষা, “সংস্কৃত” কেনো মরে গেলো, মরে যাওয়ার আগমূহুর্তে এই ভাষা কেনো, কেমন করে “প্রাকৃতে অপভ্রংশে বিকৃত হলো আর বংভাষার দ্বিজত্বলাভ হলো, আর আসল আদিদের বাংলা হয়ে গেলো আর্য-ভাষা, তা জানা প্রয়োজন !
প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, এবং অনেক পাঠক লক্ষ্য করে থাকবেন যে. লেখক কবি সাহিত্যিক ও ইতিহাসবিদরা Myth সৃষ্টি করতে বেশ পছন্দ করেন ও Metaphor ব্যবহার দিয়ে তারা সৎ ইতিহাসকে Fiction, Fictionকে Myth, mythকে সরস story of Legends বানিয়ে বাজারে ছাড়েন। আর এই সব Fiction, Myth লিজেন্ড blended ইতিকথা,- “গেলো-দিনে-কী-হয়েছিলো” পড়ে পড়ে একদল পাঠক “দর্পভরে গর্ব করে পূর্বপুরুষের” আরেক দল ভাবতে বসে, চাঁড়াল বৈজুনাথের ভাষায়, - যা শ্লা, “কাল শালা যাকে লিয়েছে সে যাক। কিন্তূ কেউ কাউকে ঠেলে চিতায় ফেলবে, এটা কি বল?” - (“অন্তর্জলীযাত্রা”, ককু মজুমদার)
ম্লেচ্ছদের Lingua Franca !
বেশ কিছুদিন আগে ইউরোপের এক মন্ত্রি বলেছিলেন, “বিরোধীরা যখন আমাদের কোন কাজের প্রশংসা করে তখন বুঝতে হবে আমরা অবশ্যই ভুল কাজ করেছি। ওরা যখন আমাদের কাজের সমালোচনা করেন তখন বুঝতে হবে আমরা জনগণের জন্য সঠিক কাজটিই করছি”। বিরোধীদল কর্তৃক ক্ষমতাসীনদের এমন “প্রশংসা/সমালোচনা” মুলক পলিটিকাল প্যাচালকে “ঈদড়ি লক্ষন” বা Idiosyncratic Rhetoric Of Political Expression (iROPE) Syndrome বলা চলে। ওরা ‘বলে এক কথা, যা আসলে অন্য কথা’! কথার প্যাঁচে বেঁধে ফেলাই “দড়ি-লক্ষন”। বাংলা ভাষার ইতিহাস লেখকেরা প্রায় সকলেই এই ঈদড়ি-লক্ষনাক্রান্ত। অত মিস্টি সুন্দর বাংলা কী ভাবে অনার্যদের ভাষা হয়, ওতো “আমাদের পূর্বপুরুষ” আর্যদের ভাষা!
এখন প্রশ্ন: আমাদের বং ‘ভাষা ও দেশ’ নিয়ে রচিত ইতিহাস কতটুকু আর্যদের ইতিহাস আর কতটুকু “বং”ভাষীর, বাসীর ইতিহাস? বাংলা ভাষা এবং এই ভাষাভাষীদের আত্মপরিচয়ের বর্তমানে পাওয়া যাওয়া ইতিহাস কারা লিখেছে? বৈদীক আর্যরা, মাগধী আর্যরা, বরেন্দ্রী আর্যরা? নাকি “বং-ইয়” আর্যরা, কিম্বা, স্থানীয় অস্ট্রিক/নেগ্রিটো জনগোষ্ঠীর কোন কবি, বা ঋষি আচার্য্য?
পাওয়া যায়নি অর্কলজির মাটি খোঁড়েও পাতি হাঁসের পাথরে লেখা লিপি? চাপা (কবিতা)র জোড়ে Co-opt করা হয়ে গেলে তা পাওয়া যাবে কী করে? Bollywood-ছবিতে দেখি অষ্ট্রিক/নেগ্রিটো গো্ষ্ঠীর দেবতা, চেহারা সূরৎ profileএ নাকে/কানে একেবারে খাস “গ্রীকদেবতা জিউস” মার্কা Aryan হয়ে বসে আছে বাঁ হাতে ঘটি আর ডান হাতে Trident নিয়ে!
ভারতীয় Upper, Middle and Lower গঙ্গা ভ্যালি মেঘনা ভ্যালির আদিবাসী নৃগোষ্ঠীর তথা অনার্যদের মিডিয়াম অফ কমোনিকেসন (ভাষা, বাঁশী, বা ধুঁয়া) অথবা সামগ্রীক “কলচর”এর গবেষণা যারা করেন তারা সাধারণত এই ইউরো-মন্ত্রির বিরোধী পক্ষের iROPE Syndromeএ আক্রান্ত থাকেন। অর্কলজিক উপাত্য ঘেটে তারা আদিদের কলচরাল artifacts Invent করেন - “অতুলনীয় সুন্দর স্নানাগার, এবং দেখতে এগুলো হিন্দু-মন্দিরের পাশের ‘দিঘী’র মত ”! এবং Interpret করেন - ‘কিন্তু অন্য সভ্যজাতির মত স্বাস্থ্যসচেতনতার বশে নয় স্নানাগারে পানি রাখা হইতো কারণ “they had a strong belief in the purificatory effects of water from a ritual point of view” (Moore, Clark D. & David Eldredge (India Yesterday and Today, 1970: P18-19)! এইতো ইতিহাস রচনার “ঈদড়ি-লক্ষন”। idiosyncratic Rope Syndrome!
***
Ngugi wa Thiong’O (1986) বলেন, “I have endeavored in my words to keep as close as possible to the vernacular expressions. For, from a WORD, a group of words, a sentence and even a name in any (African) language, one can glean the social norms, attitudes and values of a people.” এবং বঙ্গবিশেষজ্ঞগন বলেন ‘দ্রাবিড় কোল ভিল মুন্ডা বা শবরগন অনেক উন্নত civilizationএর ধারক ছিলেন, তাহারাই “ধান”, “লাঙ্গল” ও “ঢেকী”র প্রথম আবিষ্কারক’ (see Eaton, 1998, . . . Bengal Frontier)। এগুলোইত মানব সভ্যতা শুরুর “প্রথম বিপ্লব”এর স্মারক -Agricultural Revolution! পুন্ড্রবর্ধন সেকালের ও শীতলাক্ষ্য’র (কথান্তরে শীতলক্ষা) তীরের আদিম অনার্যরা আর্য invasionএর অনেক আগেই ক্ষৌমবস্ত্র (রেশমী ও মসলীন) উৎপাদন ও Foreign Trade করতো (see ডঃ রাধাগোবিন্দ বসাক, অনুদিত (১৯৯৬: পৃ: ১১৭, কৌটিলীয় অর্থশাস্ত্র, প্রথম খন্ড। . . .এবং Zide and Zide (1976) মনে করেন যে “the agricultural technology included implements which presuppose the knowledge and use of such grains and legumes as food, since, the specific and consistent meaning for ‘husking pestle’ and ‘mortar’ (ঢেঁকি) go back at least in one item, to proto-Austroasiatic.” - quoted in Eaton 1993 P foot
note 7.
আর্য-বাংলার Genesis!
(১৯৯০, পৃ: ৬৩ এবং ৬৬) বলেছেন “মানব সমাজের প্রবৃদ্ধির সাথে, সভ্যতা সংস্কৃতির অগ্রযাত্রার সাথে, মানুষের কর্মকান্ডের বিবর্তন ও তার অভিজ্ঞতার পরিবর্তনের সাথে বিচিত্র ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার, বিভিন্ন গ্রহণ বর্জনের মাধ্যমে ভাষা ‘হয়ে হয়ে’ উঠে।” . . . . . “ভাষা শক্তি আহরণ করে সাধারণ মানুষের জীবনচর্চা থেকে — তার কর্ম থেকে, তার মানস ভুবন থেকে। তার সমগ্র জীবনাচরণে প্রয়োজনেই তার ভাষা স্বতঃষ্ফূর্তভাবে গড়ে উঠে।”
অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম (১৯৯০), “বাংলাদেশ - -প্রসঙ্গ উত্তরাধিকার” hypothesisএ তেমনই বলেছেন: মানুষের মুখের ভাষা ‘প্রাকৃতিক’ও নয়, ‘স্বয়ম্ভু’ও নয়।। আমরা ধরে নিতে পারি মানুষের ভাষা তারই এক সামাজিক এবং সেহেতু তা শতভাগই রাজনৈতিক প্রপঞ্চ। আর তাই ভাষাকে manipulate করা যায়, পরিবর্তন করা যায়, মেরে ফেলা যায়, ও বাঁচিয়ে রাখা যায়, ম্লেচ্ছ মার্গ থেকে উঁচু Aryan মার্গে উঠিয়ে রাখা যায়।
৫২র আন্দোলন ছিলো “রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই” দাবী নিয়ে। দাবীটা “বাংলাভাষার রাষ্ট্র চাই”ও হতে পারতো (যা হয়েছে ৭১এ এসে, বাংলা ভাষার Genesisএর ৩০০০ বছরের ইতিহাসে প্রথম বারের মত)। গত ৩০০০ বছর ধরেই বাংলা ভাষার কোন রাষ্ট্র ছিলোনা। শশাঙ্কএর আমলেও না, গোপালের (পাল dynastyর প্রতিষ্ঠাতা) আমলেও না। সুলতানী আমলে, যে আমলে সুলতানরা “বঙ্গ-ভাষার পিঠ-পোষন” করতেন, ফার্সি ছিলো সরকারী তথা রাষ্ট্রভাষা। মুর্শিদাবাদেও বাংলা চলতোনা। কারণ বংএর নবাবতো কেবলই বঙ্গীয় নবাব ছিলেননা। বিহারীদের নবাবও তিনি, উড়িয়াদেরও তিনিই নবাব। “শেষ স্বাধীন সুলতান-ই-বিহার, উরিষ্যা, বঙ্গালা”। তাই ফারসি ছিলো মুর্শিদাবাদের court language! বাংলা নয়।
এতে এই দাড়ালো যে, সেই আদ্দিকাল থেকেই দক্ষিন এশিয়ায় প্রতিটি অঞ্চলে দুইটি ভাষা সমসাময়িকভাবে প্রচলিত ছিলো, রইলো। একটি শাসন করার ও ধর্ম শেখানোর, আর দ্বিতীয়টি হলো আমজনতার নিজের মায়ের কন্ঠের ভাষা। অর্থাৎ এই ভাবে বংদের ভাষারও দুই দুইটা স্রোত এলো, ছিলো ও রয়ে গেলো।: (১) ধর্মকর্ম ও শাসনের ভাষা - “সংষ্কৃত, ব্রাহ্মী, পালি (বা তার বিকৃতি প্রাকৃত/অপভ্রংশ), অথবা তুর্ক/ফারসি/ইংরেজি, এবং তখন তা ছিলো রাজদরবারে, মন্দিরে, বৌদ্ধবিহারে, মসজিদে, আর (২) “বাংলা” ছিলো আম-জনতার Lingua Franca হয়ে। অচ্ছুৎ! এবং অবাক হওয়ার কিছুই নেই যে, আজও ভাষার এই দ্বৈতবাদ বেহাল তবিয়তে হলেও, বিরাজমান। (আগামী এক পর্বে বাংলভাষার এই দ্বৈতবাদ নিয়ে লেখা থাকবে)।
ক্রমশ . . .
Notes:
(a) লাজ শরমের মাথা খেয়ে যদু মধু/সলিম কলিমের Lingua Franca মাঝে সাঝে উঁকি দিতে দেখছি ইদানীং। জাবির অর্কলজির SBRতো পূরোটাই “আইতাছি/যাইতাছি” মিশিয়ে একটা গল্পের বই ই ছেপে ফেল্লো!
(b) “যত টাকা জমাইছিলাম শুঁটকি মৎস্য খাইয়া; সকল টাকা লইয়া গেল গুলবদনীর মাইয়া।”- সৈয়দ মুজতবা আলী।
(c) “the agricultural technology included implements which presuppose the knowledge and use of such grains and legumes as food, since, the specific and consistent meaning for ‘husking pestle’ and ‘mortar’ (a) “the agricultural technology included implements which presuppose the knowledge and use of such grains and legumes as food, since, the specific and consistent meaning for ‘husking pestle’ and ‘mortar’ (ঢেঁকি) go back at least in one item, to proto-Austroasiatic.” - quoted in Eaton 1993 P5 foot note 7.
(d) “The Indo-Aryans’ adoption of peasant agriculture is also seen in the assimilation into their vocabulary of non-Aryan words for agricultural implements, notably the term for “plow” (লাঙ্গল), which is Austroasiatic in origin.” - R. Eaton (1993, P8).
পাঠ সূত্র:
* Norton, William 1998: 179, Language in Landscape, Ch. 7, in “Human Geography”, 3rd Edition, Toronto: Oxford University Press.
**অজয় রায় (১৯৯০) “বাংলাদেশঃ পুরাবৃত্ত, ইতিবৃত্ত।”, in মুস্তাফা নূরউল ইসলাম (১৯৯০: পৃ: ১৯)।
*** Thapar, Romila (1971), “The Image of the Barbarian in Early India”, comparative studies in Society and History 13, no. 4: 417
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৩০:২০ ৬৬০ বার পঠিত #বাংলা ভাষা #বাংলাভাষার দ্বিজত্ব-মিথোলজি #মতি রহমান #“মানব সমাজ.মানব সভ্যতা