গেঁন্ধীকে ইনিপেগ এ্যারপোটে বিদায় দিতে গিয়ে রুদ্র শহিদুল্লার লাইন নকল করে বল্লাম, “আকাশের ঠিকানায় চিঠি দিও”। (রিয়াল যে শব্দটা mean করলাম, তা হলো “ইমেইল করিস, ছেমরি”)।
“মঁরিয়্যালে “WiFi” পাইলে চেস্টা করুম” - বলেছিল গেঁন্ধী। বলে আড় চোখে কামরুন নাহারকে পর্য্যবেক্ষন করলো। গেঁন্ধী জানে কামরুন নাহার জানে WiFi (Wide Fidelity - ব্যপক বিশ্বস্থতা) কখন যে আকাশ পথ খুলে দিয়ে জীবনের SiFi তথা Simple Fidelityকে দূর্বল করে রেখেছে। চার বছরের “সন্ধি বিনতে গেন্ধী” সোজা বাংলায় “গেন্ধীর মেয়ে সন্ধি” দুলতে দুলতে হেঁটে গিয়ে বাবার হাত ধরলে কামরুন নাহার ফিরে এসে “তোমার মেয়েটা বদমাইশের হাড্ডি” বল্ল। বং গান্ধারী ফিচিক করে হেসে, “আবার কানে খামছি দিছে, ভাবী?” বল্ল।
গান্ধারীপতি জীবন (Ziwan Singh) Bio-Tech Engineer, Bye Bye Guys বল্লে গেঁন্ধী “ভাবী, গেলাম, ভালো থাকবেন” বল্ল। আমি বল্লাম আকাশের ঠিকানায় চিঠি দিও”! আচ্ছা, ঢাকার চ্যাংড়া কবি রুদ্র Surrealistic image ব্যবহার করলো কী ভাবে ! রুদ্রের আমলেতো ঢাকায় WiFiর চলন ছিলনা !!! Internetর আকাশী ডাকপিয়ন (Satellite) কি তসলিমার চিঠি ঠিক ঠিক ঠিকানায় পৌছে দিচ্ছে?
; আমার:
কথা বলায় বা লেখায় “শব্দ” চয়ন এক ঝীম-নান্দনিক সমস্যা। কোথায় বসানো হলো “শব্দ”টা বা accentই বা কোনটায় চেপে দিতে হবে ! যেমন ধরুন, একটা মেয়ে বল্ল (ইংরেজি ছবির ইংরেজি নায়িকা): “Please, Please me wit’a quickie babe . . . আপনিতো বুঝলেনই যে মেয়েটা বলছে “দয়া কর, দয়া করে চুম্বন কর” বলছে, আর বুইড়া ধামড়া বেবেটা অর্থাৎ Babyটা চুক চুক করে দুইটা চুমো দিলো মেয়েটার ঠোঁটে। সোজা হিসাব, মেয়েটা দুইবার Please (দয়া দয়া) বলেছে তাই ছেলেটা দুই ঠোঁটে দুইটা কিস দিলো। তাই না? না, তা নয়। এই দুইটা Pleaseএর অর্থ এক না। এর প্রথমটার অর্থ দয়া, দ্বিতীয়টার অর্থ “তূষ্ট কর” “সুখি কর” বা “কৃতার্থ কর আমায়”, বুঝায়।
. . . আমি জানি আপনারা জানেন। আমিতো “চুটকি” ঝারছি কেবল। কুৎকুতি দিয়ে “কাতুকুতানন্দ” দান প্রচেষ্টা এটা আমার । আপনি যদি “পড়ার আর কিছু নাই” তাই আমার চুটকি পড়তে পড়তে এই লাইন পর্যন্ত এসে থাকেন, তো আর একটু থাকুন। আমাদের বং-ইতিহাস রচয়িতারা যে কতবড় চুটকিবাজ, তা বলবো। আনন্দ পেলেও পেতে পারেন, বা simply অবজ্ঞাসূচক “ফিচিক” হাসি দিতে পারবেন। অথবা সেই রহস্যজনক, ভয়ঙ্কর ছোঁয়াচে “মুসকান্”। “মুচকি-হাসি” !
* * *
কে আমি ?
১৩ বছরের ডোম্বিনীর চিৎকার, সাধু ভাষায় যেটা “শীৎকার”, এর ক্রিয়াভিত্তিক বাংলা শব্দের ২৩টা অর্থ উদ্বার আমার প্রয়োজন, কাজ ও উদ্দেশ্য কোনটাই নেই। আমি জানতে চাই কেনো আমাকে নিজেকে শুদ্ধবাঙ্গালী হতে অহল্যাকে পাঠ করতে সে যে “অ” “হল্য” (হাল/লাঙ্গল চালানোতে অযোগ্য} তা জানতে হবে। অহল্যা-ডোমনী DNA আর Bangla- Sanskrit DNA, অথবা মঙ্গলকাব্য (জিহাদমঙ্গল-মনসামঙ্গল) DNA কারা Fabricate করে? অথবা রামাই পন্ডিতের পুথিতে মুসলমানের “কলিমা জালালী” কী কারণে সংযুক্ত? ভক্তিমাধব কী করে কোন DNA test করে (মহৎ/অমহৎ) “হিন্দু-মুসলমান” মিলনের উদ্যোগটা রামাই পন্ডিতের নয় বলে ঘোষনা করলেন তা আমি জানি। আমি শুধু জানিনা ৩৫০০ বছর ধরে মৈথুন (Churning অর্থে) করে করে বিশ্বনাথরা ডোম্বিনীর গর্ভে ম্লেচ্ছ ভাষা ও ম্লেচ্ছ সন্তান উৎপাদনের Hagiography কোথায়?; কয়েক লাখ আফঘানী, টুর্কি্ ৬০০০ আবিসিনিয়ান, আর লোধীর পাঠানো ১১০০ গুন্ডাদের উৎপাদিত ম্লেচ্ছত্বের Royal Chronicles কোথায়? ফেস বুকে “শূন্য পুরাণ” লিখে আমি আসলে খুঁজছি আমার অতীত। আমি কোত্থেকে এলাম। বকতীয়ার খিলজীর সাথে আমার কী সম্পর্ক, অথবা ডোমদের ১৩-১৬ বছরের যুবতীদের DNAর সাথে আমার DNAর chromosomal মিল/সম্পর্ক ? আমার চরিত্রের (Character) Traits, . . . . আর লেখার মেজাজের খেইটা হারিয়ে গেছে।
জাবি ক্যামি-২এর আশ্রাফ: “মতি, কেমন আছো?”
-”এ ই আছি করোনাভীতি সহ বেঁচে বর্তে যাচ্ছি, তোমার কি অবস্থা?”।
আশ্রাফ : তুমি এগুলো কী লিখছো মতি, “পুরাণ”, “সিদ্ধ”, “ডোম”, “আচার্য্য”; পড়েছো তো “বুগোল বিবাগে”, চর্য্যাপদের কী বুঝো তুমি?
- “বুগোল” ? “বিবাগ” ?? রনজুর কথা মনে এল। ২৩ জনের ক্লাসে ও ই একমাত্র student যে শুদ্ধ কথা বলতো। সকাল ১১টায় বনরুটি খেতে দেখলে, “তুই রুটি খাচ্ছিস কেন” বলতো। আমি, আমরা যেখানে “খাছ ক্যান” বা “খাইছস” বলতাম, রনজু সেখানে “খেয়েচিস” বলতো।
গেল বুধবার রাতে, ৪৩ বছর পর ৪৩ বছর আগের হারিয়ে যাওয়া সুমি শবরীর কন্ঠ শুনলাম। “কেমন আছো মতি” !
. . . ৪ সেকেন্ড স্তব্ধ !
সুমি বলছে, “করোনা সব কিছু এলোমেলো করে দিল, তাই না ?”
সেদিনটা মেঘলা ছিলো। ১৯৭২এর কথা। ডেইরী ল্যাবটা নির্জন ছিল। কিছুটা মেঘ ওর শরীরেই লেপ্টে ছিল। ছাই রাঙ্গা ওর শরীর। . . . মিল্ক বোতলটা টেবিলটার উপরেই কাত হয়ে পড়ে থেকে দুধটুকু গড়িয়ে গিয়েছিল। ৪০/৪৫ বছর পর আজ আর মনে নেই; ও কি রাগ করেছিলো? ভীষন রাগ? নীম রাগ? নীম নীম Noওতো বলেনি সুমি, কিন্তু সেই দিন থেকে ও আর সামনেই আসেনি কখনো, কথা বলবে কী? ৪৩ বছর পর আজ বল্লো। উইনিপেগে আজ ১৩ জন মরে গেছে। IC Unitগুলোতে বেডের ক্রাইসিস। এবার কি আমি ফোন করবো। কেটে দেয়ার সময় সুমি বল্লোনাতো, মতি, ফোন করো !!!
আমার স্তব্ধতা কাটেনি . .. . . আজো ! রনজু purposefully twisted বিভাগ to বিবাগ?, আমাকে বিবাগী বোধ দেয়ার জন্য? আমি এক বৈরাগী বিভাগে ছাত্র, কেমস্ট্রি ০২এর আশ্রাফ ৪৩ বছর পর মনে করিয়ে দিল। !!
. . . ক্রমশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৫৩:৫৪ ৯৮৩ বার পঠিত #আকাশের ঠিকানা #গল্প #চটি #চুটকি #ভাষা বিভ্রাট #লেখক মতি রহমান