আল-আমিন আহমেদ সালমানঃ হাওরের সাড়া জাগানো সাহিত্য ও সেবামূলক সংগঠন হাওর সাহিত্য উন্নয়ন সংস্থা(হাসুস) বাংলাদেশ ‘র প্রতিষ্ঠাতা প্রধান,কেন্দ্রীয় হাওর সাহিত্য গণপাঠাগার বংশীকুন্ডা’র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি,সিলেটের জনপ্রিয় ডিজিটাল শিক্ষার ফ্ল্যাটফর্ম “হাসুস অনলাইন স্কুল”র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান,জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল হাসুসকণ্ঠ ডটকম’র সম্পাদক সময়ের অন্যতম বিশিষ্ট হাওরবাদী লেখক,শিক্ষক,কলামিস্ট হাওরকবি জীবন কৃষ্ণ সরকারের ৩৪ তম জন্মদিন আজ সোমবার।আজকের এই দিনে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের বাট্টা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি।পিতা সুধীর রঞ্জন সরকার ও মাতা মিলন রাণী সরকারের পাঁচ সন্তানের মাঝে কবি প্রথম।ছোট বেলা থেকেই কবি’র লেখালেখিতে হাতেখড়ি হয়। নবম শ্রেণীতে অধ্যয়নকালীন সময়ে ভাঁটি বাংলার আরেক প্রখ্যাত লেখক কথাসাহিত্যিক শাহেদ আলী ‘র (২১শে পদকপ্রাপ্ত) লেখা পাঠ করে তিনি লেখালেখির প্রতি অনুপ্রেরণা পান।ইতোমধ্যে তিনি তিনটি কবিতার বই -মাটির পুতুল,হাওরবিলাপ,হাওর মোদের জীবন মরণ প্রকাশ করেছেন যেগুলো হাওর এলাকার ছেলেমেয়েদের মনের গহীণ কোণে জায়গা করে নিয়েছে।এছাড়াও তাঁর “স্মৃতির অবয়ব” নামে একটি যৌথ কাব্যগ্রন্থ রয়েছে যেটি এপার বাংলা, ওপার বাংলার চৌদ্ধ জন বিশিষ্ট কবি, লেখক রয়েছেন,এদের মধ্যে বাংলা একাডেমীর বর্তমান পরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী ও বাংলা একাডেমী পদক প্রাপ্ত কবি রেজাউদ্দিন স্টালিনের মতো লেখক রয়েছেন।
মিষ্টভাষী সরল প্রাণ এই মানুষটি তরুণদের নিয়ে স্বপ্ন দেখতে খুবই ভালো ভাসেন। তাইতো তিনি রাত-বিরাত কষ্ট করে মহামারি করোনার এই দিনগুলোতে নিয়মিত অনলাইন ক্লাস করে যাচ্ছেন অনবরত। জানা যায় “করোনা”র এই কালে তিনি একাই শতাধিক ক্লাস করেছেন ছেলেমেয়েদের জন্য তাছাড়া তাঁর প্রতিষ্ঠিত “হাসুস অনলাইন স্কুল” এ প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষামূলক ভিডিও এপিসোড শেয়ার করেছেন তিনি।মহামারি করোনার প্রকোপে যখন বছর ধরে বিদ্যাপীঠগুলো বন্ধ রয়েছে,যখন ছেলেমেয়েগুলো ঘরে বসে থাকতে থাকতে একগুঁয়ে হয়ে যাচ্ছিল,এমন সময় তাঁর উপরোল্লেখিত অবদান সমাজের জন্য কম কিসে? তাছাড়া হাওরের সাহিত্যকে বাঁচিয়ে রাখতে দুই দুটি হাওরসাহিত্য উৎসব, এ পর্যন্ত ২৩ টি পাক্ষিক সাহিত্য প্রতিযোগিতার আয়োজন,১৩১ টি সাহিত্য আড্ডা পরিচালনা,হাওরের ছেলেমেয়েদের জন্য পাঠাগারে ৪ হাজারের উপরে বই সংগ্রহ মানুষের প্রতি তাঁর অগাধ স্নেহ,মমতার প্রকাশকেই জানান দেয়।তাঁর এইসব কার্ক্রমের স্বীকৃতি স্বরুপ গত ২৯ জুন ২০১৯ সালে সুনামগঞ্জ গাঙচিল সাহিত্য সম্মেলনে, গাঙচিল কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠাতা খান আখতার হোসেন তাঁকে “হাওরকবি” হিসেবে জনতার মঞ্চে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করেন।তাছাড়া গত ৩ জানুয়ারী ২০১৯,ঢাকা প্রিয়জন সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে কবি ও সংগঠক হিসেবে দেশের জীবন্ত কিংবদন্তি কবি নির্মলেন্দু গুণের হাতে গুণীজন সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয় তাঁকে। এই মহান মানুষটির ৩৪ তম জন্মদিন আজ সোমবার।তাঁর জন্মদিনেও নেই কোন আয়োজন,নেই কোন বিশেষ মুহুর্তে ব্যবস্থা।আজো তিনি কাজকেই গুরুত্ব দিয়ে চলেছেন।তাঁর সাথে আলাপ করে জানা যায়, কাজকেই তিনি তাঁর সুখের এবং শখের পাথেয় হিসেবে মনে করেন।তাই তিনি তাঁর জন্মদিনটিকেও কাজ করেই স্মরণে রাখতে চান।শুভকামনা আজকের এই দিনে হাওরের কর্মপ্রাণ এই মানুষটির জন্য,অন্তরের অন্তস্থল থেকে চাওয়া যেখানে থাকুন,সুন্দর থাকুন,সুস্থ থাকুন, পরম স্রষ্টার কাছে এই প্রার্থনা সবসময়।
বাংলাদেশ সময়: ৯:৪২:৪৮ ৭৯১ বার পঠিত #হাওরকবি জীবন কৃষ্ণ