স্বপন চক্রবর্তী,বঙ্গ-নিউজ:জঙ্গী ও সন্ত্রাস আবার মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। বিক্ষিপ্তভাবে হলেও তা অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। ধরাও পড়ছে অনেক জায়গায়। পুলিশ বলছে, এরা একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়নি,তবে সংগঠিতও নেই। এসব জঙ্গি হামলা বন্ধের জন্য ধর্ম মন্ত্রনালয় কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করতে চলেছে। এখন থেকে জুমার নামাজে খুতবার আগেই জঙ্গি ও সন্ত্রাসীবিরোধী বক্তব্য প্রচার নিশ্চিত করতে হবে। আজ সোমবার এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সামজিক সচেতনতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, মানব জাতির জন্য শান্তি, কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির একমাত্র পথ ইসলাম। দুনিয়ার অজ্ঞতা-অন্ধকার ও ভয়-ভীতিপূর্ণ সমাজ থেকে সমস্ত ভয়, অস্থিরতা, নিরাপত্তাহীনতা ও সংঘাত দূর করে শান্তি, নিরাপত্তা এবং সব মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
কিন্তু কোনো কোনো অশুভ শক্তি ইসলামের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ধ্বংস করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সময় নানা নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। এর মাধ্যমে আলেম সমাজ তো বটেই, সেইসঙ্গে ধর্মপ্রাণ মানুষের ভাবমর্যাদা আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের পাশাপাশি সব শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। আর এ লক্ষ্যে যাতে দেশের সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সভা-সমাবেশ আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়- তা নিশ্চিত করতে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম কিংবা সীমানা নেই। বর্তমান সরকার সন্ত্রাসীদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সর্বদা তৎপর। তবে সরকারের পাশাপাশি জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে সামজিক সচেতনতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, পবিত্র কুরআন ও হাদিসের আলোকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য প্রস্তুত করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনে কর্মরত মুফতি, মুহাদ্দিস, মুফাসসিরসহ আলেম-ওলামাগণ। এর পর তা স্থানীয় পর্যায়ের সব মসজিদের খতিব ও ইমামদের মাধ্যমে নিয়মিত প্রচার নিশ্চিত করতে হবে। দেশের সব মসজিদের খতিব ও ইমামগণ জুমার নামাজের খুতবার আগেই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী এই বক্তব্য প্রচারের বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। এ ছাড়া পবিত্র কুরআন ও হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা সম্বলিত বক্তব্য অনলাইন তথা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও প্রচারের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৩১:৪২ ৬৭৭ বার পঠিত # #খুৎবা #জঙ্গি #ধর্ম মন্ত্রনালয় #প্রজ্ঞাপন #সন্ত্রাস