স্টাফ রিপোর্টার,বঙ্গ-নিউজঃসুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর বংশীকুন্ডা (দঃ) ইউনিয়নের লুঙ্গাতুঙ্গা জলমহালের মুখে জোরপূর্বক বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে মাছ ধরার অভিযোগ পাওয়া গেছে।জানা যায়, ৬ বছরের জন্য লুঙ্গাতুঙ্গা জলমহাল ইজারা পায় রংচী জনকল্যাণ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড।ঐ সমিতির সদস্য রংচী গ্রামের আকরাম আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের (৪৫) নেতৃত্বে তার অন্য দুই ভাই সুরুজ আলী (৩৫) ও আবুল মিয়া(৪৭) জোরপূর্বকভাবে লুঙ্গাতুঙ্গা জলমহালের মুখে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে ২- ৩ লক্ষ টাকার মাছ ধরেছে।যারফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ইজারা কর্তৃপক্ষ। ইজারাদারদের মৎস্য আহরণে ব্যাঘাত ঘটাতে লুঙ্গাতুঙ্গা জলমহালের পূর্বদিকে সংযোগ খাল ২.৫৪ একর ১৪২৭ বাংলা সনের অবশিষ্ট সময়ের জন্য অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক মৎস্য আহরণে খাস কালেশনে অনুমতি নেয়। লুঙ্গাতুঙ্গা জলমহালের সংযোগ খাল হওয়ায় এবং ইজারাদারের আপত্তি থাকায় ধর্মপাশা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.আবু তালেবের প্রস্তাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসীর হাসান প লাশ আব্দুর রাজ্জাকের খাস কালেশনে মৎস্য আহরণের অনুমতি বাতিল করে দেয়।
এই বিষয়ে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবু তালেব বলেন, আব্দুর রাজ্জাকের খাস কালেকশনে মৎস্য আহরণে ইজারা বাতিল করার পরেও যদি সে বাঁধ উঠিয়ে না নেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনা করা হবে।রংচী জনকল্যাণ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি শামসু্ন্নুর বলেন, এর পূর্বে আব্দুর রাজ্জাক ও তার ভাইয়েরা মিলে জোরপূর্বক আমাদের বিলের মাছ লুটপাট করে। এতে প্রায় আমাদের ৪-৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরে আমরা আব্দুর রাজ্জাকের নামে মামলা দায়ের করি।এইজন্য সে কারাবরণ করেছে।
বর্তমানে আমাদের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেছে যে আমরা জলমহাল বিক্রি করে দিয়েছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তীহিন।সে আমাদের মৎস্যজীবি সমিতির সদস্য হয়েও সরকারী খাজনার প্রত্যেক সদস্যের ভাগে যতটাকা করে ধার্য করা হয় সেই টাকা পরিশোধ না করেই জোরপূর্বক মাছ ধরতে চায়।এইজন্য তাকে সমিতির সদস্যরা মাছ ধরার জন্য নিষেধ করলে সে আমাদের কে হুমকি প্রদর্শণ করে। এর পূর্বেও বেশ কয়েকবার মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাদের হয়রানি করেছে।এইজন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নিশ্চিন্তপুর গ্রামের কৃষক শাহীনুর আলম বলেন, লুঙ্গাতুঙ্গা জলমহালের পারে আমার জমি রয়েছে। জমিতে পানি সেঁচ দেওয়ার জন্য আমার একটি সেলু মেশিন জলমহালের পারে ছিল।বিলের কাটা ভেঙে মাছর লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার সময় আমার মেশিনটি আব্দুর রাজ্জাক ও ভাইয়েরা মিলে চুরি করে নিয়ে যায়।যে বিষয়টি এখনও এলাকার অনেক মানুষ অবগত আছেন।ছাড়াও এলকার সাধারন মানুষের সাথে বিভিন্ন সময়ে হুমকি প্রদর্শন,চাঁদাবাজি ও ঝগড়াঝাটি করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
বংশীকুন্ডা (দঃ)ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান সালাম জানান, আব্দুর রাজ্জাক ও তার ভাইদের নামে আমি আদালতে দুটি মামলা দায়ের করেছি।একটি হলো ফৌজদারি মামলা ও আরেকটি লুটপাটের মামলা।
অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক বলেন,আমি যে অংশটি খাস কালেকশনে মৎস্য আহরণের অনুমতি নিয়েছি এটি লুঙ্গাতুঙ্গার থেকে একটি আলাদা অংশ। জলমহাল ফিশিং করতে গেলে এই ধরনের মামলা থাকবেই।আমার বিরুদ্ধে যে ধরনের অভিযোগ ওঠেছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট।
বাংলাদেশ সময়: ২২:০৩:৪৩ ৮৯৬ বার পঠিত #জলমহাল #মধ্যনগর #লুঙ্গাতুঙ্গা #লুটপাট