ফারহানা আকতার এর কলাম : “ নতুন প্রজন্মের চোখে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ – পর্ব- ৪ “

Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » ফারহানা আকতার এর কলাম : “ নতুন প্রজন্মের চোখে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ – পর্ব- ৪ “
সোমবার, ১৯ অক্টোবর ২০২০



নতুন প্রজন্মের চোখে মুক্তিযুদ্ধ

‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী
ক্ষয় নাই, ওরে ক্ষয় নাই
নিঃশেষে প্রান…যে করবে দান,
ভয় নাই, ওরে ভয় নাই’ – বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৷

‘নতুন প্রজণ্মের চোখে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ – পর্ব-৩’ এর সর্বশেষ অংশে আমি লিখেছিলাম-
“আপনারা (যারা চাকুরীজীবি ও গ্রাজুয়েট স্টুডে্ন্ট) এবং তোমরা (যারা আন্ডার- গ্রাজুয়েট স্টুডে্ন্ট)ভালো করে শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের লাইফ-হিস্টরীটা পড়বেন (আপনার রাজনৈতিক বিলিভ আওয়ামীলীগ বা জাতীয় পার্টি বা বামদল বা জাতীয়তাবাদী দল বা অন্য যাই হোক না কেন) , তাহলেই আপনাদের সঠিকভাবে বাংলাদেশকে এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে জানা হয়ে যাবে” ৷

তাই আজকের এ পর্ব থেকে ধারাবাহিকভাবে থাকছে –‘বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জীবন-ইতিহাস এবং তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ কিভাবে মুক্তিযুদ্ধে জয়ী হয়েছিল’ – সেকথা এবং একইসঙ্গে এ উপমহাদেশের সভ্যতার ইতিহাসের ধারাবাহিক বর্ননা ৷

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি (এটি আমার একার মতামত নয়,২০০৪ সালে বিবিসি-এর জরীপ অনুযায়ী), বাঙ্গালি জাতির জনক ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান” শুধু একটি নাম নয়, একটি চেতনা, একটি অধ্যায় ও একটি প্রতিষ্ঠান। যার জন্ম না হলে আমরা আজ হয়তবা “বাংলাদেশ” নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেতাম না। যার জন্ম না হলে আজও আমরা হয়তবা পরাধীন থেকে যেতাম ৷ যার জন্ম না হলে হয়তবা পশ্চিম পাকিস্হান-সরকার দিনের পর দিন শোষন করে করে পূ্র্ব পাকিস্হানের জনগো্ষ্ঠীর ( অর্থাৎ আমাদের) বাংলা ভাষায় কথা বলা থেকে শুরু করে সবরকম মৌলিক অধিকারসমূহ হরন করে নিত৷ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (১৭ মার্চ ১৯২০ - ১৫ আগস্ট ১৯৭৫), ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও ভারতীয় উপমহাদেশের একজন অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। বাঙালির অধিকার রক্ষায় ব্রিটিশ ভারত থেকে ভারত বিভাজন আন্দোলন এবং পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্হান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কেন্দ্রীয়ভাবে সফলতার সহিত নেতৃত্ব প্রদান ও প্রাচীন বাঙালি সভ্যতার আধুনিক স্থপতি হিসাবে শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের জনগণ “বাঙ্গালি জাতির জনক ও বঙ্গবন্ধু” উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন ৷ তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং পরবর্তীতে এদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন অত্যন্ত সফলভাবে।
বাঙ্গালি জাতির জনক ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান”-এর প্রাথমিক জীবন : শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশের বঙ্গ প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।তার বাবা শেখ লুৎফর রহমান গোপালগঞ্জ দায়রা আদালতের সেরেস্তাদার (যিনি আদালতের হিসাব সংরক্ষণ করেন) ছিলেন এবং মা’র নাম সায়েরা খাতুন। তার ছোট ভাইয়ের নাম শেখ আবু নাসের।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর বর্নাঢ্য শিক্ষাগত ও রাজনৈতিক জীবন:
১৯২৭ সালে সাত বছর বয়সে শেখ মুজিব গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। নয় বছর বয়সে তথা ১৯২৯ সালে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন এবং এখানেই ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ১৯৩৭ সালে গোপালগঞ্জে মাথুরানাথ ইনস্টিটিউট মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেনীতে ভর্তি হন। ১৯৩৪ থেকে চার বছর তিনি বিদ্যালয়ের পাঠ চালিয়ে যেতে পারেন নি। কারণ তার চোখে জটিল রোগের কারণে সার্জারি করাতে হয়েছিল এবং এ থেকে সম্পূর্ণ সেরে উঠতে বেশ সময় লেগেছিল। গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন।বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল ১৯৩৯ সালে মিশনারি স্কুলে পড়ার সময় থেকেই। এ বছর স্কুল পরিদর্শনে এসেছিলেন তদানীন্তন অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী “শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক” এবং পূর্ব-বাংলার প্রধানমন্ত্রী “হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী”, যিনি পরবর্তীতে দুই পাকিস্তানের ( পূর্ব ও পশ্চিম) ৫ম প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন । তখন বালক শেখ মুজিবর রহমান স্কুলের ছাদ সংস্কারের দাবীর উপর ভিত্তি করে একটি দল নিয়ে তাদের কাছে যান যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি নিজেই। ১৯৪০ সালে “নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশন”এ যোগ দেন। ১৯৪২ সনে এনট্র্যান্স পাশ করার পর কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে (বর্তমান নাম মাওলানা আজাদ কলেজ) আইন পড়ার জন্য ভর্তি হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এই কলেজটি তখন বেশ নামকরা ছিল। এই কলেজ থেকে সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৪৩ সালে তিনি “বেঙ্গল মুসলিম লীগ”এ যোগ দেন এবং অগ্রণী বাঙালি মুসলিম নেতা হুসেইন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সান্নিধ্যে আসেন। ১৯৪৩ সনে “বঙ্গীয় মুসলিম লীগ” এর কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।১৯৪৪ সনে তিনি কলকাতায় বসবাসকারী ফরিদপুরবাসীদের নিয়ে তৈরি “ফরিদপুর ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশনের” সেক্রেটারি মনোনীত হন। এর দুই বছর পর ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের মহাসচিব নির্বাচিত হন। ১৯৪৭ সনে অর্থাৎ দেশবিভাগের বছর মুজিব কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইসলামিয়া কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রী লাভ করেন। ভারত ও পাকিস্তান পৃথক হওয়ার সময়ে কলকাতায় ভয়ানক হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হয়। এসময় মুজিব মুসলিমদের রক্ষা এবং দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সোহরাওয়ার্দীর সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক তৎপরতায় শরিক হন।পাকিস্তান-ভারত পৃথক হয়ে যাওয়ার পর শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৪৮ সালের জানুয়ারি ৪ তারিখে প্রতিষ্ঠা করেন “পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্র লীগ” যার মাধ্যমে তিনি উক্ত প্রদেশের অন্যতম প্রধান ছাত্রনেতায় পরিণত হন। এ সময় সমাজতন্ত্রের দিকে ঝুঁকে পড়েন এবং দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও জীবনযাত্রার নিম্নমানের উন্নয়নের জন্য এটিকেই একমাত্র সমাধান হিসেবে মনে করতে থাকেন। নিম্নে ১৯৩৮ সাল হতে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান’ এর বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরা হলো :
• ১৯৩৮ সালে তৎকালীন বাংলার শ্রমমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাথে পরিচয় ও সাহচর্য লাভ এবং মিথ্যা অভিযোগে প্রথম বারের মত গ্রেপ্তার, সাতদিন পর জামিন লাভ।
• ১৯৩৯ সালে সোহরাওয়ার্দীর সাথে কলকাতায় যোগাযোগ, “গোপালগঞ্জ মুসলিম ছাত্রলীগ” গঠন। শেখ মুজিব সাধারণ সম্পাদক হন।
• ১৯৪৩ সালে “প্রাদেশিক (বঙ্গীয়)মুসলিম লীগ” কাউন্সিলের সদস্য হন।
• ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে,সোহরাওয়ার্দী সাহেব প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।১৯৪৬ সালের জুলাইয়ে শেখ মুজিব কলকাতা ও বিহারে হিন্দু মুসলমান দাংগা বন্ধে ও আহতদের পূর্নবাসনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন।
• ১৯৪৭ এ ব্যারাক পুরে মহাত্মা গান্ধীর সাথে সাক্ষাত, তাকে শেখ মুজিব কলকাতা-বিহার দাংগায় তোলা নৃশংস হত্যাকান্ডের ছবি এলবাম আকারে উপহার প্রদান।ঢাকায় কনফারেন্স,১৯৪৭ সালের ৪ জানুয়ারি “পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ গঠন”। (তখনও মুসলিম লীগের সদস্য থাকায় নিজে দায়িত্ব নেননি, তবে তিনিই প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন) নইমউদ্দিন কনভেনর হলেও মুল দায়িত্ব ছিল বঙ্গবন্ধুর উপর। এক মাসের মধ্যে প্রায় সকল জেলায় কমিটি গঠন।
• ১৯৪৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী করাচিতে পাকিস্তান সংবিধান কমিটির সভায় উদুর্কে রাষ্ট্রভাষা করার ব্যাপারে আলোচনা। “পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ”এর প্রতিবাদ সভা।পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ ও তমদ্দুন মজলিসের যুক্ত ভাবে রাষ্ট্রভাষা বাংলা সংগ্রাম পরিষদ গঠন। ১১ মার্চ বাংলা ভাষা দিবস পালনের দায়ে মিছিলে লাঠিচার্জের শিকার ও দ্বিতীয় বারের মত শেখ মুজিব গ্রেপ্তার হন। ১৫ মার্চ মুক্তি লাভ, ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ ছাত্রসভায় প্রথমবারের মত সভাপতিত্ব করেন। মওলানা ভাসানী খাজা নাজিমউদ্দীনের সাথে বোঝাপড়ার মাধ্যমে নির্বাচন করেন। শেখ মুজিব মাওলানা ভাসানী এ শহীদ সোহরাওয়ার্দী-এর ঘনিষ্ট সাহচর্যে আসেন৷
• ১৯৪৯ সালে,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিন্ম বেতনভোগী কর্মচারীদের আন্দোলনে সংহতি ও সহযোগিতা । শেখ মুজিব আন্দোলনে জড়িত থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ্ তাকে বহিস্কৃত করেন। দলের কর্মী সভায় মওলানা ভাসানীর সাথে আলোচনার মাধ্য্ম-এ নতুন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গঠনের সিদ্ধান্ত, নাম: “পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ”। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সভাপতি, শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক, শেখ মুজিবুর রহমান যুগ্ম সম্পাদক হন। এসময় শেখ মুজিব পাকিস্তানে গিয়ে সোহরাওয়ার্দীর সাথে দেখা করেন এবং আওয়ামীলীগের ভেতরের-বাহিরের নানা তথ্য্্-কথা নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় বিবৃতি দেন।
• ১৯৫০ সালের শেষের দিকে মাওলানা ভাসানী ও শামসুল হক কারাভোগের পর মুক্তি পান। শেখ মুজিবকে গোপালগঞ্জ কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
• ১৯৫১ সালের শেষ দিকে আবার শেখ মুজিবকে ঢাকা জেলে নিয়ে আসা হয়। অসুস্থ থাকায় জেল কর্তৃপক্ষ শেখ মুজিবকে হাসপাতালে রাখেন।(এসময় পাকিস্হান থেকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী সাহেব পুর্ব বাংলায় এসে মাওলানা ভাসানীর সাথে মিলে বিভিন্ন জায়গায় সভা করেন। বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্যও দাবী জানান।)”খাজা নাজিমউদ্দীন” পাকিস্হানের প্রধানমন্ত্রী হন এবং
• ১৯৫২ সালে তিনি পল্টনের এক জনসভায় উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষনা দেন। তার এ ভাষণে পূর্ব্-পাকিস্হানের আপামর জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পরে৷ পূর্ব্-পাকিস্হানের ছাত্রলীগ নেতারা শেখ মুজিবের সাথে গোপনে হাসপাতালে দেখা করেন। বঙ্গবন্ধু তাদের “সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ” গঠন করতে বলেন।২৭ ফেব্রুয়ারী শেখ মুজিবের মুক্তির আদেশ আসে। একটানা প্রায় আড়াই বছর জেলে কাটিয়ে তিনি মুক্তি লাভ করেন এবং জেল বন্দিদের মুক্তি দাবীতে পশ্চিম পাকিস্তানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিনের সাথে সাক্ষাৎ। পশ্চিম পাকিস্তানে প্রেস কনফারেন্স করেন, সেখানে বলেন ত্রিশটা আসনে উপনির্বাচনে বন্ধ রয়েছে। যেকোন একটায় নির্বাচন দিতে বলুন। আমরা পশ্চিম পাকিস্হানের “মুসলীম লীগ” প্রার্থীকে শোচনীয় ভাবে পরাজিত করতে সক্ষম। শহীদ সোহরাওয়ার্দী সাহেবের সাথে দেখা করেন এবং সেখানে “পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ” এর এফিলিয়েশন নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। মাওলানা সাহেব অসুস্থ অবস্থায় জেলে। শেখ মুজিব জেলায় জেলায় সভা ও সংগঠন দৃড় করার কাজে নেমে পড়লেন।
• ১৯৫৩ সালে মাওলানা ভাসানী জেল হতে ছাড়া পান। এরপর “পূর্ব্-পাকিস্হান আওয়ামী মুসলীম লীগ” এর কাউন্সিল সভার আয়োজন শুরু হল। ১৯৫৩ সালের মাঝামাঝিতে সাধারণ নির্বাচন ঘোষনা।কাউন্সিলে মাওলানা ভাসানী সভাপতি, শেখ মুজিব সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক পুনরায় “মুসলীম লীগ”এ যোগ দেন।ময়মনসিংহে আওয়মী লীগের ওয়ার্কিঙ কমিটির সভা হয়। শেখ মুজিব সহ বেশির ভাগ সদস্যই যুক্তফ্রন্টের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। শেখ মুজিব বলেন, “দেশে পূর্ব্-পাকিস্হান আওয়ামী মুসলীম লীগ ছাড়া আর কোন দল নেই”। “যুক্তফ্রন্ট” করা মানে কিছু মরা লোককে বাচিয়ে রাখা। শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও ভাসানী সাহেব ও যুক্তফ্রন্টের ঘোর বিরোধী ছিলেন। যুক্ত ফ্রন্ট হবেনা এ সিদ্ধান্তের পর শহীদ সাহেব পাকিস্হান (পশ্চিম পাকিস্হান) গেলেন আর এদিকে ঢাকায় বসে মাওলানা ভাসানী শেরেবাংলার সাথে যুক্তফ্রন্ট সই করে ফেললেন। (যেখানে পূর্ব্-পাকিস্হানের “আওয়ামী মুসলিম লীগ” একক ভাবে জিততে পারত, সেখানে নেজামে ইসলাম পাির্ট, কৃষক শ্রমিক পার্টি, গনতান্ত্রিক দল সহ বিভিন্ন নামের রাজনৈতিক সংগঠনগুলো “যুক্তফ্রন্ট” এর নামে নমিনেশন দাবী করতে লাগল) ।নিবার্চনে গোপালগঞ্জ থেকে শেখ মুজিব নির্বাচিত হন। তিনশ আসনের মধ্যে নয়টি পায় “আওয়ামী মুসলিম লীগ”।”আওয়ামী মুসলিম লীগ” নেতা হিসেবে শহীদ সোহরাওয়ার্দী সাহেব নির্বাচন পরিচালনা করলেও নির্বাচনের পর পার্লামেন্টারি বোর্ডের নেতা হন- “যুক্তফ্রন্ট”এর শেরে বাংলা। এর পর মন্ত্রী সভা গঠন নিয়ে আলোচনা চলল। মন্ত্রীসভা নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র চলল। পরে শেখ মুজিব সহ বার জনকে নিয়ে মন্ত্রীসভা গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে রাতারাতি আরও কয়েকজন বেড়ে যায়।সরকার গঠনের পর শুরু হয় নতুন ষড়যন্ত্র। “যুক্তফ্রন্ট সরকার” কে হেয়প্রতিপন্ন ও অক্ষম প্রমাণের জন্য পশ্চিম পাকিস্থানে এ নিয়ে প্রপাগান্ডা চালানো হল। আর এর পরিণতি হিসেবে মন্ত্রীসভা ভেংগে দেয়া হয়। শেখ মুজিব করাচি যান অসুস্থ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সাহেবকে দেখতে, সেখান থেকে দেশে ফিরে দাংগা সৃষ্টির অভিযোগে গ্রেফতার হন। মাওলানা ভাসানী এসময় বিলাত যান। ১২ জন মন্ত্রীর মধ্যে একমাত্র শেখ মুজিবই গ্রেফতার হন। দশ মাস জেলে থাকতে হয় আবারও।
• ১৯৫৫, ১৭ জুন আওয়ামীলীগের পক্ষে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন দাবী করে ২১ দফা ঘোষনা দেন। ২১ অক্টোবর কাউন্সিলে দলের নাম ‘আওয়ামী মুসলীম লীগ’ থেকে ‘মুসলীম’ কথাটি বাদ দিয়ে ‘আওয়ামী লীগ’ দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন৷
• ১৯৫৬ সালে শেখ মুজিব কোয়ালিশন সরকারের মন্ত্রী হন এবং পাকি্স্হানের মূখ্য্-মন্ত্রীকে খসড়া শাসনতন্র্ে পূর্ব্-পাকিস্হানের ‘প্রাদেশিক স্বায়ত্ত্-শাসনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্তির দাবী জানান ।
• ১৯৫৭ সালে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শেখ মুজিব মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।
• ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধান সামরিক শাসন জারি করে সবরকম রাজনীতি নিষিদ্ধ করেন। ১১ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন। ১৪ মাস জেল খাটার পর তাকে মুক্তি দিয়ে পুনরায় জেলগেটে গ্রেফতার করা হয়।
• ১৯৬০ সালের ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করে তিনি মুক্তিলাভ করেন।তখন আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন করার জন্য তিনি গোপন রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালান। এ সময়ই স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্যে ” স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ” নামে গোপন সংগঠন গড়ে তোলেন।
• ১৯৬২ সালের ৬ ফ্রেব্রুয়ারি আবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৮ জুন মুক্তিলাভ করেন।
• ১৯৬৩ সালে অসুস্থ সোহরাওয়াদীর্র সাথে পরামশের জন্য লন্ডনে যান শেখ মুজিব। ৫ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী ইন্তেকাল করেন।
• ১৯৬৪ সালের ২৫ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে একসভায় “আওয়ামীলীগ” দলটিকে আবার পুনরুজ্জীবিত করা হয়।১১ মার্চ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ ও সাম্প্রদায়িক দাংগা প্রতিরোধে দাংগা প্রতিরোধ কমিটি গঠিত হয়।রাস্ট্রপতি নির্বাচনের ১৪ দিন পূর্বে আবার তাকে গ্রেফতার করা হয় ।
• ১৯৬৫ সালে মুক্তিলাভ করেন।
• ১৯৬৬ সালে ৫ ফেব্রুয়ারী, শেখ মুজিব ৬ দফা পেশ করেন।

• ১৯৬৬ সালের ৬ দফার মূল বক্তব্য : ছয় দফা আন্দোলন বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা। ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে পূর্ব্-পাকিস্হানের আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে “৬ দফা দাবিসমূহ” পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্হানের কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে পেশ করেন।
ছয় দফা দাবির মূল উদ্দেশ্য- পাকিস্তান হবে একটি ফেডারেলরাষ্ট্র এবং ছয় দফা কর্মসূচীর ভিত্তিতে এই ফেডারেলরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যকে পূর্ন স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে।
(১৯৬৬ সালের ছয় দফা দাবিসমূহ):
প্রস্তাব - ১ : শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি: দেশের শাসনতান্ত্রিক কাঠামো এমনি হতে হবে যেখানে পাকিস্তান হবে একটি ফেডারেশনভিত্তিক রাষ্ট্রসংঘ এবং তার ভিত্তি হবে লাহোর প্রস্তাব। সরকার হবে পার্লামেন্টারী ধরনের। আইন পরিষদের (Legislatures) ক্ষমতা হবে সার্বভৌম। এবং এই পরিষদও নির্বাচিত হবে সার্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে জনসাধারনের সরাসরি ভোটে।
প্রস্তাব - ২ : কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা: কেন্দ্রীয় (ফেডারেল) সরকারের ক্ষমতা কেবল মাত্র দু’টি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে- যথা, দেশরক্ষা ও বৈদেশিক নীতি। অবশিষ্ট সকল বিষয়ে অঙ্গ-রাষ্ট্রগুলির ক্ষমতা থাকবে নিরঙ্কুশ।
প্রস্তাব - ৩ : মুদ্রা বা অর্থ-সমন্ধীয় ক্ষমতা: মুদ্রার ব্যাপারে নিম্নলিখিত দু’টির যে কোন একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা চলতে পারেঃ-
(ক) সমগ্র দেশের জন্যে দু’টি পৃথক, অথচ অবাধে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা চালু থাকবে। অথবা
(খ)বর্তমান নিয়মে সমগ্র দেশের জন্যে কেবল মাত্র একটি মুদ্রাই চালু থাকতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে শাসনতন্ত্রে এমন ফলপ্রসূ ব্যবস্থা রাখতে হবে যাতে করে পূর্ব-পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে মূলধন পাচারের পথ বন্ধ হয়। এক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পৃথক ব্যাংকিং রিজার্ভেরও পত্তন করতে হবে এবং পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পৃথক আর্থিক বা অর্থবিষয়ক নীতি প্রবর্তন করতে হবে।
প্রস্তাব - ৪ : রাজস্ব, কর, বা শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতা: ফেডারেশনের অঙ্গরাজ্যগুলির কর বা শুল্ক ধার্যের ব্যাপারে সার্বভৌম ক্ষমতা থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনরূপ কর ধার্যের ক্ষমতা থাকবে না। তবে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য অঙ্গ-রাষ্ট্রীয় রাজস্বের একটি অংশ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাপ্য হবে। অঙ্গরাষ্ট্রগুলির সবরকমের করের শতকরা একই হারে আদায়কৃত অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল গঠিত হবে।
প্রস্তাব - ৫ :বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা:
(ক) ফেডারেশনভুক্ত প্রতিটি রাজ্যের বহির্বাণিজ্যের পৃথক পৃথক হিসাব রক্ষা করতে হবে।
(খ) বহির্বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অঙ্গরাজ্যগুলির এখতিয়ারাধীন থাকবে।
(গ) কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা সমান হারে অথবা সর্বসম্মত কোন হারে অঙ্গরাষ্ট্রগুলিই মিটাবে।
(ঘ) অঙ্গ-রাষ্ট্রগুলির মধ্যে দেশজ দ্রব্য চলাচলের ক্ষেত্রে শুল্ক বা করজাতীয় কোন রকম বাধা-নিষেধ থাকবে না।
(ঙ) শাসনতন্ত্রে অঙ্গরাষ্ট্রগুলিকে বিদেশে নিজ নিজ বানিজ্যিক প্রতিনিধি প্রেরণ এবং স্ব-স্বার্থে বানিজ্যিক চুক্তি সম্পাদনের ক্ষমতা দিতে হবে।
প্রস্তাব - ৬ : আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা:
আঞ্চলিক সংহতি ও শাসনতন্ত্র রক্ষার জন্য শাসনতন্ত্রে অঙ্গ-রাষ্ট্রগুলিকে স্বীয় কর্তৃত্বাধীনে আধা সামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠন ও রাখার ক্ষমতা দিতে হবে।
• ১৯৬৬ সালের ১ মার্চ বঙ্গবন্ধু আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক সফর শুরু করেন ।

এবারে এ উপমহাদেশের সভ্যতার ইতিহাসের ধারাবাহিক বর্ননায় থাকছে- (ষোড়শ) মহাজনপদ (৭০০-৩০০খ্রীষ্টপূর্ব) ও.মগধ সাম্রাজ্য (৫৪৫খ্রীষ্টপূর্ব -) সম্পর্কে বিস্তারিত :

৬. (ষোড়শ) মহাজনপদ ( ৭০০-৩০০খ্রীষ্টপূর্ব-৩২০ খ্রীষ্টপূর্ব) : মহাজনপদ-এর আভিধানিক অর্থ “বিশাল সাম্রাজ্য” (সংস্কৃত “महा”-মহা = বিশাল/বৃহৎ, “जनपद”-জনপদ = মনুষ্যবসতি = দেশ)। বৌদ্ধ গ্রন্থে বেশ কয়েকবার এর উল্লেখ পাওয়া যায়। বৌদ্ধ গ্রন্থ অঙ্গুত্তরা নিকায়া[১],মহাবস্তুতে ১৬টি মহাজনপদের উল্লেখ পাওয়া যায়, যা বৌদ্ধ ধর্মের বিস্তারের পূর্বে ভারতের উত্তর-উত্তর পশ্চিমাংশে উত্থিত এবং বিস্তৃত হয়। মহাজনপদসমূহ : ১.অবন্তী,২. অস্মক, ৩.অঙ্গ, ৪. কম্বোজ,৫.কাশী,৬.কুরু, ৭.কোশল,৮. গান্ধার,৯. চেদি , ১০. বজ্জি অথবা বৃজি, ১১. বৎস , ১২. পাঞ্চাল, ১৩. মগধ, ১৪. মৎস্য অথবা মচ্ছ ১৫. মল্ল ও ১৬. শূরসেন

প্রাচীন ইন্দো-আর্য্য রাজনৈতিক গঠনের সূত্রপাত হতে শুরু করে ‘জন’ (অর্থ-প্রজা/ব্যক্তি:উচ্চারণ-জনো) নামীয় অর্ধ যাযাবর গোত্রসমূহের মাধ্যমে। প্রাচীন বৈদিক পুস্তকসমূহে আর্যদের বিভিন্ন জন বা গোত্রের কথা পাওয়া যায়, যারা অর্ধযাযাবর গোত্রীয় কাঠামোতে বসবাস করত এবং নিজেদের ও অন্যান্য অনার্যদের সাথে গরু, ভেড়া ও সবুজ তৃণভূমি নিয়ে মারামারি করত। এই সূচনালগ্নের বৈদিক ‘জন’ নিয়েই মহাকাব্যীয় যুগের জনপদ গঠিত হয়।

৭.মগধ সাম্রাজ্য (৫৪৫খ্রীষ্টপূর্ব -৩২০ খ্রীষ্টপূর্ব) : মগধ সাম্রাজ্য বলতে মগধ অঞ্চলের নিম্নলিখিত সাম্রাজ্যকে বোঝানো হয়।
ক.হর্য্যঙ্ক সাম্রাজ্য (৬৮৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দ - ৪১৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)
খ.শিশুনাগ সাম্রাজ্য (৪১৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দ – ৩৪৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)
গ.নন্দ সাম্রাজ্য (৩৪৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ – ৩২১ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)
ঘ.মৌর্য সাম্রাজ্য (৩২১ খ্রিস্টপূর্বাব্দ – ১৮৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)
ঙ.শুঙ্গ সাম্রাজ্য (১৮৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ– ৭৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)
চ.গুপ্ত সাম্রাজ্য (৩২০ খ্রিষ্টাব্দ - ষষ্ঠ শতাব্দী)
(চলবে) ৷

তথ্যসূত্র :
* শেখ মুজিবর রহমান, অসমাপ্ত আত্মজীবনী,দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, প্রথম সংস্করণ-সেপ্টেম্বর’২০১৪৷
* শেখ মুজিবর রহমান, কারাগারের রোযনামচা, প্রথম প্রকাশিত-২০১৭
* বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান-এর জীবনীর ওপর বিভিন্ন রচনাসমগ্র ৷
* ভিজিটিং ইন্টারনেট ৷

-ফারহানা আকতার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, লেখক এবং গবেষক ৷

ফারহানা আকতার

তথ্যসূত্র: বুকস, ইন্টারনেট

লেখক: ফারহানা আক্তার,বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক,লেখক,কলামিষ্ট,গবেষক

বাংলাদেশ সময়: ২:১৪:৩৫   ১১৩৫ বার পঠিত   #  #  #




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থ ও বানিজ্য’র আরও খবর


অর্থনীতি নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ
ইসলামী ব্যাংকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ, সরানো নিয়ে প্রশ্ন
চেক ডিজঅনার মামলার রায় দুই মাসের জন্য স্থগিত
মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসের আড়ালে হুন্ডি, গ্রেপ্তার ৬
১৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০৫ কোটি ৯৯ লাখ ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক
বৈশ্বিক নানা সংকট সত্ত্বেও বাড়লো মাথাপিছু আয়
বাংলাদেশ গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে : মার্টিন রাইজার
আইএমএফ এর সাথে সমঝোতা : সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে
আইএমএফ এর ঋণ গ্রহণ করা হবে নিরাপদ রিজার্ভ গড়ে তোলার জন্য: বাণিজ্যমন্ত্রী
টবগী-১ কূপে পাওয়া যাবে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

আর্কাইভ