“বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ”
আমার জানামতে এই অভিযোগ মেয়েরাই করে থাকে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মেয়েরা আশিংক বা পূর্ণ সম্মতিতে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত হয়।
বেশিরভাগ বিপত্তি ঘটে যাদের আংশিক সম্মতি ছিল।আংশিক সম্মতি বলতে,মেয়েটা হয়তো তাদের সম্পর্কে এমনকিছু ঘটুক তা চাচ্ছিল না,কিন্তু ছেলেটাকে স্পষ্ট না বলার সক্ষমতা তার নেই।আবেগীয় কারণে ভঙ্গুর ব্যক্তিত্ব ধারন করেন।অথবা ধর্মীয়, সামাজিক,নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তারকাছে সম্পর্কে যাওয়া অনৈতিক মনে হয়েছে কিন্তু উভয়পক্ষের চাহিদার কাছে চাপা পড়েছে সমস্ত বিধিনিষেধ।উভয়ক্ষেত্রেই তারা বিয়ে নামক মুলো ঝুলিয়ে তাদের অবৈধ কাজকে মানসিকভাবে বৈধতা প্রদান করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছেলেরা মেয়েদের সামনে এমন একটি বৈধকরণ পন্থা তুলে ধরে।মেয়েরা তাকেই ধ্রুবসত্য মেনে নিয়ে দৈহিক সম্পর্কে জড়ায়।
এরপরেই হাজারো ঝামেলার উৎপত্তি ঘটে।যেহেতু প্রেমের সম্পর্কের স্থায়িত্বের তেমন কোনো নিশ্চয়তা নেই,আইনগত ভিত্তিও নেই,একটা সময় তা ভেঙে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।মানুষের ভালোবাসা বা ভালোলাগা সময়ের সাথে বদলানোটাই স্বাভাবিক ধ্রুব সত্য।ছেলেটা যখন মেয়েকে জানালো,তাদের একই সাথে আর প্রেমের সম্পর্কে থাকা সম্ভব নয়,তাকে ভালো লাগছে না,তাকে বিয়ে করতে পারবে না বা স্ত্রী হিসেবে তাকে মেনে নিতে পারবে না।তখন মেয়েটা বেশ অনুনয় বিনয় করে কাজ না হলে মামলা করে।
বেশিরভাগ মামলার উদ্দেশ্য দুটো থাকে।
মেয়েটা ছেলেটার এহেন কাজের প্রতিশোধ নিতে চায়।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে মেয়েটা চায়,ছেলেটা তাকে মামলা তুলে নিয়ে একসাথে থাকার প্রস্তাব দিবে।অর্থাৎ বিয়ে করবে।
ঠিক এই জায়গাগুলোতেই আমার আপত্তি।যেই ছেলেটি এতো কিছুর পর মেয়েটাকে ছেড়ে যেতে চাইছে,তাকে কেন ধরে রাখতেই হবে? নূন্যতম আত্মসম্মানবোধ থাকলে এটি কি করে চাওয়া সম্ভব? যে আমাকে কথা দিয়ে কথা রাখলই না, তার সাথেই আবার একছাদের নিচে থাকতে চাওয়া!অন্যদিকে প্রতিশোধ নিতে চাওয়ার প্রবণতা মানুষের মাঝে কাজ করাটা অস্বাভাবিক নয়।কিন্তু মেয়েটা কি এতোটাই নাদান বাচ্চা, যে কিনা বিয়ে নামক মুলো ঝুলতে দেখেই ধেই ধেই করে নাচতে নাচতে বিছানায় চলে গেল!সামান্য বিবেচনাবোধ নেই?একটা ধর্মীয়, সামাজিক, আইনগতভাবে ভিত্তিহীন ঠুনকো সম্পর্কে নিজেকে জড়িয়ে, নিজে ভুল করে তারজন্যেই প্রতিশোধ চাওয়াটা কি নিতান্তই হাস্যকর নয়?
ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি,যেহেতু প্রেম নামক সম্পর্কটার তেমন শক্তিশালী কোনো ভিত্তি নেই।একটা আবেগীয় ভিত্তির উপর দাঁড়ানো সম্পর্ক নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী হয়ে বিছানায় না যাওয়াটাই সমীচীন।আর কেউ যদি যেয়েই থাকে,তাকে ধর্ষণ বলা কোনোভাবেই উচিত নয়।প্রেমিক বলল,তাই উনার আবদার রাখতে গিয়ে দিল্লি বা মুম্বাই যাওয়ার আগেই হিসেব করা উচিত,তিনি আপনার নিজের ইচ্ছের মূল্যায়ন প্রেমিক কতটা করবেন।সেখানে আপনার অনিচ্ছায় কোনো সম্পর্ক হবার সম্ভাবনা আছে কিনা।বিশ্বাস করার আগে হাজারবার ভাবনা চিন্তা করা উচিত।তাও ভাই ‘বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ’ নামক বচন শুনতে চাই না।
লেখাটা নিতান্তই আমার ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা উৎসারিত মতামত। আমার জানাশোনা এবং অভিজ্ঞতার পরিধি খুব বেশি বিস্তৃত নয়,তাই কেউ কোনো উপদেশ বা পরামর্শ দিতে চাইলে বা কিছু যুক্ত করতে চাইলে সাদরে আমন্ত্রিত।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪৮:০৩ ৬৩৩ বার পঠিত # #ধর্ষণ #প্রলোভন্