সৌরভ বর্মন গৌতম: বঙ্গ-নিউজ: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী ও তাঁর পরিবারের সকল নিহত সদস্যের স্মরণে ‘বঙ্গবন্ধু : বাঙালির চেতনার বাতিঘর’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় জাককানইবি শিক্ষক সমিতি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ-৭ আসনের এমপি ও ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন মাদানী।
সম্মানিত অতিথি ছিলেন “জাককানইবি”র উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদ ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ শামসুদ্দিন আহমেদ।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন “জাককানইবি”‘র চার অনুষদের ডিন, রেজিষ্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এবং বঙ্গবন্ধু নীলদলের সাধারণ সম্পাদক।
“জাককানইবি”র বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষক, কর্মকর্তারা অনলাইনে যুক্ত হয়েছিলেন। আলোচনা সভাটির সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকের এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ইতিহাস অত্যন্ত করুণ ইতিহাস। হাজার বছর ধরে বাঙালি বীরগণ এই দেশ স্বাধীন করতে বহু প্রচেষ্টা করেছিলেন কিন্তু স্বাধীনতা আসেনি।
ক্ষুদিরাম ঝুলেছিলেন ফাঁসির দড়িতে, স্বাধীনতা আসেনি। প্রীতিলতা আত্মাহুতি দিতে বাধ্য হয়েছেন, স্বাধীনতা আসেনি। সিরাজউদ্দৌলা স্বীকার হয়েছিলেন বিশ্বাসঘাতকতার, স্বাধীনতা আসেনি। এ বাংলায় সাঁওতাল বিদ্রোহসহ অসংখ্য আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে, স্বাধীনতা আসেনি। হাজার বছর ধরে শোষিত এই দেশের টুঙ্গিপাড়া থেকে বাঙালির মুক্তির দূত হিসেবে উঠে এলেন শেখ মুজিবুর রহমান। সুতরাং তিনি নিঃসন্দেহে সমগ্র বাঙালির ইতিহাস, বাঙালি সত্তার একজন মুক্তির দূত।
তিনি বলেন, এই বীরকে একসময় এ দেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল একটি মহল। এখন তারাই এ দেশের ইতিহাস থেকে মুছে যাচ্ছে।
তিন ঘন্টাব্যাপী চলমান এই অনুষ্ঠানে উপাচার্যগণ, আলোচকগণ বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর সক্রিয় উপস্থিতি ও নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর গৌরবময় ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
“জাককানইবি” ‘র উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, যখন সিড়ির উপর জাতির পিতাকে গুলি করা হয় তখন তিনি দেখছেন কারা তাকে গুলি করে,তখন বঙ্গবন্ধু বলেন তোরা বাঙালি আর বাঙালি হয়ে আমাকে হত্যা করলি। তিনি কখনও বিশ্বাস করেননি যে বাঙালিরা তাকে কখনও হত্যা করতে পারে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির চেতনার বাতিঘর নন। তিনি বাঙালির অস্তিত্বের ঠিকানা, তিনি ইতিহাসের মহানায়ক। বঙ্গবন্ধুকে যারা নিষিদ্ধ করেছিল তাদের এখনকার পরিস্থিতি অত্যন্ত শোচনীয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালননা করেন জাককানইবির নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম তোকদার।
বাংলাদেশ সময়: ২০:১৮:৩৮ ৫৯৫ বার পঠিত #জাককানইবি #বঙ্গবন্ধু #ববঙ্গবন্ধু ও পরিবারের নিহতদের স্মরণ #বাতিঘর #ভার্চ্যুয়াল আলোচনা