দক্ষিণ বঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পারি দিলে ও অবহেলা ও নানারকম সংকটে যেন মুখ থুবড়ে এর সচলতা।
বাংলাদেশের ৩৩ তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ২০১১ সালে বরিশাল শহরের কীর্তনখোলা নদীর তীরে কর্ণকাঠীতে প্রতিষ্ঠা লাভ করে দক্ষিণের এই সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠটি।
প্রতিষ্ঠার দশ বছর পারি দিলে ও নানারকম অবহেলায় প্রতিষ্ঠান টি তার প্রথম প্রকল্পের কাজ এখনো সম্পন্ন করতে পারেনি। নানারকম সমস্যার মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত শ্রেণী কক্ষের অভাব,আবাসনের সংকট,পরিবহনের সংকট,ও পর্যাপ্ত শিক্ষকের সংকট ইত্যাদি।
পর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষের সংকটে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় :প্রতিষ্ঠার দশ বছর পারি দিচ্ছে দক্ষিণের এই বাতিঘরটি। কিন্তু পর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় দুর্ভোগ। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৬টি অনুষদের অধীনে ২৬ টি বিভাগ থাকলেও বিপরীতে রয়েছে প্রশাসনের কাজে ব্যবহৃত ২ টি প্রশাসনিক বিল্ডিং ও ২ টি একাডেমিক বিল্ডিং যেখানে প্রথম প্রকল্পে ৬টি একাডেমিক বিল্ডিং সহ ২ টি প্রশাসনিক বিল্ডিং প্রতিষ্ঠার কথাছিলো।প্রথম প্রকল্পের কাজে এখন পর্যন্ত ৪ টি একাডেমিক বিল্ডিং সম্পূর্ণই অদৃশ্যমান।২৬ টি বিভাগের কোন কোন বিভাগের রয়েছে নিজস্ব ২টি শ্রেণীকক্ষ, কোন কোনটির রয়েছে ১টি শ্রেণীকক্ষ আবার কোনটির একটিমাত্র শ্রেণীকক্ষ ও নেই।এমতাবস্থায় প্রায় প্রতিটি বিভাগের ই নির্ভর করতে হয় অন্য বিভাগের শ্রেণীকক্ষের উপর যেখানে প্রয়াসেই ক্লাস করতে বেগ পোহাতে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের।কবে নাগাদ শুরু হবে বাকি ৪টি একাডেমিক বিল্ডিংয়ের প্রতিষ্ঠা কালীন কাজ তা এখনো জানা যায়নি বা সে সম্বন্ধে প্রশাসনের কোন অগ্রগতি লক্ষণীয় নয়।
আবাসন সংকট :এখানে রয়েছে ২টি ছাত্র হল ও একটি ছাত্রী হল(একটি নির্মাণাধীন)যেখানে প্রতিটি হলে রয়েছে ৬১০টি করে আসন।এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিংহভাগ শিক্ষার্থীকে বাহিরে মেস বা ফ্লাট বাসায় ভাড়া থাকতে হয়।
পরিবহন সংকট:পর্যাপ্ত পরিবহন সংকটের কারনে বিশ্ববিদ্যালয় আসা ও যাওয়ার জন্য উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ভরসা করতে হয় স্থানীয় পরিবহনের উপর।পর্যাপ্ত পরিবহনের অভাবে অনেক শিক্ষার্থীই নির্দিষ্ট সময় ক্লাসে উপস্থিত হতে পারে না ফলশ্রুতিতে অনেক সময়ই চলমান ক্লাস থেকে বঞ্চিত হতে হয় কতিপয় শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষক সংকট:প্রায় প্রতিটি বিভাগেই রয়েছে শিক্ষক সংকট।এক্ষেত্রে এক বিভাগের শিক্ষক দিয়ে অন্য বিভাগের ক্লাস নিতে হয়।দুই একটি বিভাগ ব্যতিত বাকি বিভাগগুলোতে নেই পিএইচডি-ধারী অধ্যাপক ও।
এছাড়াও ভর্তিরত শিক্ষার্থীরা এখনও পায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মার্ট আইডি কার্ড, লাইব্রেরিতে রয়েছে বইয়ের সংকট ও মেডিকেলে রয়েছে ঔষধের সংকট ইত্যাদি।
সকল সংকট নিরসন করে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির সর্বোচ্চ প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গির দিকে তাকিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০০০(প্রায়)শিক্ষার্থীবিন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৫৫:৪১ ১০৮২ বার পঠিত #অবহেলা #দক্ষিণ বঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ #বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় #সংকট