বঙ্গ-নিউজ ডটকম: চট্টগ্রাম: মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিচার বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে করা সম্ভব হবেনা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান বক্তার বক্তব্যে রহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষী নেই, প্রমাণ নেই। তিনি ওই সময় করাচীতে ছিলেন।’
বিএনপির শীর্ষ এ নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মানুষ হত্যায় জড়িত ও রাতের আঁধারে গণহত্যা চালিয়েছে। তারা সালাহউদ্দিনের কাদেরের বিচার করতে পারবে না।’
শনিবার বিকেলে বন্দরনগরীর পাঁচলাইশে অবস্থিত দি কিং অব চিটাগাং এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এ দিকে বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত এ ইফতার মাহফিল উত্তর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসলাম চৌধুরী ও তার অনুসারীরা বর্জন করেছেন। উপস্থিত ছিলেন না উত্তর জেলা বিএনপির অধিকাংশ শীর্ষ নেতাও।
এর ফলে ইফতার মাহফিল কার্যত মানবতাবিরোধী অপরাধে আটক সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মুক্তির দাবির সমাবেশে পরিণত হয়। বাবার মুক্তি দাবি করে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পুত্র হুম্মাম কাদের চৌধুরী।
আওয়ামী লীগ সরকার জোর করে ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী এমপির বিচার করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন অন্যায় ও দুর্নীতি এবং দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সত্য কথা বলায়, তাকে কারান্তরীণ করা রাখা হয়েছে।’
আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয় নতুন নতুন তথ্য দিচ্ছেন আখ্যায়িত করে রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দেওয়া তথ্যের উপর নির্ভর করে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে। তাদেরকে দেশের পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পরিণতি বরণ করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন আয়োজনে আওয়ামী লীগ যে স্বপ্ন দেখছে তা বাংলাদেশের মানুষ বাস্তবায়িত হতে দিবে না বলে হুশিয়ারি করেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘একের পর এক পরাজয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানসিক রোগীতে পরিণত হয়েছেন। তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। তাকে মানসিক ডাক্তার দেখানো উচিত।’
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনা দেবে না। তার কাছ থেকে কিছু আশা করা যায় না। শেষ রক্তবিন্দু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করতে হবে।’
সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পুত্র হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, ‘সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে বেশিদিন বন্দী রাখা যাবে না। শীঘ্রই তাকে জেল থেকে নিয়ে আসা হবে। তিনি আবার বিভিন্ন সভা-সমাবেশে আপনাদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকবেন। আমি আপনাদের দোয়া নিয়ে যাচ্ছি।’
বাংলাদেশ সময়: ৪:৫৬:২৮ ৩৮৭ বার পঠিত