ব্যুরো চিফ, ফরিদপুরঃ-
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ক্রয়কৃত জমিদখলের চেষ্টা ও প্রান নাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন হাজী মোঃ আকরাম হোসেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সরকারী কে.এম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের হল রুমে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
কলেজপাড়ের বাসিন্দা হাজী মোঃ আকরাম হোসেন লিখিত এক বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, কাপুড়িয়া সদরদী গ্রামের ইয়াহিয়া বিশ্বাস, সুমন বিশ্বাস ও ইলিয়াচ বিশ্বাস সহ তার লোকজন আমার ক্রয়কৃত ৬৮ শতাংশ জমি জবর-দখলের চেষ্টা করছে। এরপর তারা আমাকে সহ আমার পরিবারের লোকজনকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আর,এস ৩১৫ এবং এস,এ ৩৬০ নং খতিয়ানে ১২ দাগের মোট ১৪৬ শতাংশ জমি রয়েছে। এতে আপোষ বন্টনে আর,এস ৫টি দাগে মোট ৬৮ শতাংশ জমি আমি নিজের নামে ক্রয় করে ভোগ দখল করতেছি। যার দাগ গুলো হল- আর,এস নং ৩১৬২ দাগে জমি ১৩ শতাংশ, আর,এস ৩১৬৩ নং দাগে ১২ শতাংশ, মোট ২৫ শতাংশ এবং আর,এস ৩১৭০ দাগে ২১ শতাংশ, আর,এস ৩১৭১ নং দাগে ১১ শতাংশ মোট ৩২ শতাংশ ও আর,এস ৩১৭৪ নং দাগে ১৬ শতাংশ এর মধ্যে ১১ শতাংশ (২৫+১১+৩২) মোট ৬৮ জমি খরিদ করে টিনের ঘর নির্মাণ, বনজ বৃক্ষ রোপন করে ভোগ দখল করে আসছি। একটি কুচক্রি মহল, ইয়াহিয়া বিশ্বাস ও ইলিয়াচ বিশ্বাস আমাকে দখলচ্যুত করার চেষ্টা করছে এবং আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি ভাঙ্গা সার্কেল অফিসার, ওসি ও সেকেন্ড অফিসারের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছি। তিনি আরো বলেন, এ জমির আর,এস ও এস,এ রেকর্ডীয় মালিক গঙ্গা চরনের মৃত্যুর পর ওয়ারিশগণ আরতি সরকার, স্বপন সরকার, সমির সরকার ও মিহির সরকারের কাছ থেকে গত ০৪/১১/২০১৯ তারিখে ৫৩৩৭ নং দলিলে মোট ৮০ শতাংশ জমি আপোষ বন্টনে খরিদ করে ভোগ দখল করতেছি। জমি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন ভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বলেও তিনি দাবী করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরোও জানান, আর,এস রেকর্ডীয় মালিক হেমন্ত কুমারী সাহা ১৪৬ শতাংশ জমি ১২ দাগে তার মোট ৩৫ শতাংশ জমি। এই হেমন্ত সাহার মৃত্যুর পরে তার ২ পুত্র সতীশ ও বরুন এস,এ ৩৬০ খতিয়ানে ১১ দাগে ১২২ শতাংশ জমির মধ্যে ২৪ শতাশ জমির মালিক হয়। অতপর সতীশ হস্তান্তর না করে মৃত্যুবরণ করার পর তার ওয়ারিশগণ গত ২৩/১২/১৯৬৯ তারিখে ৬১৫৩ নং দলিলে রহিমা খাতুনের কাছে ৮৪ শতাংশ বিক্রি করেন। কিন্তু দেখা যায়, তার প্রকৃত জমি ছিল মাত্র ১২ শতাংশ। বরন সাহা গত ২৯/০৬/১৯৭০ তারিখে ৩১৫৫ নং দলিলে এস,এ ৩১৫ খতিয়ানের ১২ দাগে ৪৫ শতাংশ জমি রহিমা খাতুনের নিকট কোটালীপাড়া সাব-রেজিষ্ট্রেরী অফিসে রেজিঃ মুলে বিক্রি করে। কিন্তু তাদের প্রকৃত জমি ছিল মাত্র ১২ শতাংশ। এরপর রহিমা খাতুন ৬১৫৩ ও ৩১৫৫ নং দলিল মুলে মালিক হইয়া আরএস ৩১৫ খতিয়ানে গত ১২/৫/১৯৭৩ তারিখে তিনি কে.এম কলেজের নিকট হাজী মহিউদ্দিন বিশ্বাস সিনাক্ত হয়ে ৪৩ শতাংশ জমি বিক্রি করে। আবার উক্ত রহিমা খাতুন দাতা হয়ে হয়ে গত ২/২/১৯৯৫ তারিখে ৮৭৯ নং দলিল মুলে হাজী মহিউদ্দিন বিশ্বাসের পুত্র ইয়াহিয়া বিশ্বাস ও ইলিয়াচ বিশ্বাসরা আরএস ৩১৫ নং খতিয়ানে ৭ দাগে গোলাম কিবরিয়া বিশ্বাস সিনাক্ত হয়ে ৮৭ শতাংশ জমি খরিদ করে। বর্তমানে এই জমি নিয়ে ইলিয়াচ বিশ্বাস বাদি হয়ে ফরিদপুর এডিএম কোর্টে ১৪৪ ধারা মতে মামলা করেন। ভাঙ্গা পিটিসন নং ২২৭/২০। বর্তমানে মামলা তদন্তাধীন অবস্থায় আছে। বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০:২৭:৫৩ ১০৯১ বার পঠিত #জমিদখলের চেষ্টা #ফরিদপুর #ভাঙ্গা #সংবাদ সম্মেলন