বাবার সাথে কৃষি কাজ করে বিসিএস ক্যাডার হয়েছে হাওরাঞ্চলের ডলি

Home Page » পড়ালেখা ও সাজেশন্স।। » বাবার সাথে কৃষি কাজ করে বিসিএস ক্যাডার হয়েছে হাওরাঞ্চলের ডলি
মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০



ফাইল ছবি

বঙ্গ-নিউজ- 

হাওরের মে’য়ে ডলি রানী সরকার। অনেক বাধা-বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন তিনি। জীবনের শুরু থেকে অনেক ক’ষ্ট করে পড়াশোনা করেছেন। দিনে ১৪-১৫ ঘণ্টা পড়াশোনা করে আজ তিনি সফল।

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ৩৮তম ব্যাচের পু’লিশ ক্যাডারে সহকারী পু’লিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন ডলি রানী সরকার।

ডলি’র কৃষক বাবা রাজকুমার সরকার মন্টু ও গৃহিণী মা সুনীতি রানী সরকার’এর জন্য ৬ মেয়ে ও এক ছেলের খাবার যোগান দেওয়াই ছিল কষ্টের।

ডলিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করা অবস্থায়ই টিউশনি করতে হয়েছে।

হাওরের মেয়ে ডলি রানী সরকার। অনেক বাধা-বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন তিনি। জীবনের শুরু থেকে অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করেছেন। দিনে ১৪-১৫ ঘণ্টা পড়াশোনা করে আজ তিনি সফল। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ৩৮তম ব্যাচের পুলিশ ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন ডলি রানী সরকার।

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থানার দক্ষিণ বংশিকুন্ডা ঘাসী গ্রামের কৃষক বাবার সন্তান ডলি রানী সরকার। নবম শ্রেণি পর্যন্ত বাবার সঙ্গে হাওরের মাঠে কৃষিকাজ করেছেন। বর্ষাকালে পড়াশোনা আর হেমন্তে বাবার সঙ্গে হাওরে ধান কাটা, ফসল লাগানোসহ সব ধরনের কাজে বাবাকে সহযোগিতা করেছেন ডলি। মূলত কৃষিজমি থেকেই শুরু হয় তার জীবন সংগ্রাম।ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী ছিলেন তিনি। শিক্ষাজীবনের শুরুতে ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থানার ঘাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। মেধাবী হওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শুরু থেকেই স্বপ্ন দেখতেন প্রাথমিকে বৃত্তি পাবেন ডলি। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় বৃত্তি পাওয়ার সুবিধার জন্য গাইডবই কিনে দিয়েছিলেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক মুকুল। ওই শিক্ষকের কথা রেখেছেন ডলি, প্রাথমিকে পেয়েছেন বৃত্তি। এরপর বংশীকুন্ডা মমিন উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন ডলি। ষষ্ঠ থেকে সপ্তম শ্রেণিতে ওঠার পর তার বাবা অসুস্থ হন। এজন্য পরিবারে দুঃসময় চলে আসে তাদের। এ অবস্থায় সংসার চালানোর ভার পড়ে তার ওপর। পড়াশোনার পাশাপাশি বাবার সেবা-যত্ন, জমিতে কৃষিকাজ ও কষ্ট করে সংসার চালানোর সব দায়িত্ব এসে পড়ে ডলির কাঁধে।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক রতন কুমার পালের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে ডলি’র।

ডলি রানী বলেন, আমি বিসিএস ক্যাডার হয়েছি পু’লিশ প্রশাসনে। তবে আমি এখনও নিশ্চিত নই; এই পেশায় যাব কি-না। কারণ শিক্ষকতা আমা’র পছন্দ। তবে দেশের জন্য কাজ করার স্বপ্ন আছে আমা’র। একবার ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছি। আমি চাই না আমা’র মতো অন্য কেউ এর শিকার হোক। তবে আমি পু’লিশে যাই আর না যাই; যেখানেই থাকি ইভটিজিংয়ের বি’রুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।তিনি আরও বলেন, আমি হাওরের মে’য়ে। এখানেই বেড়ে উঠেছি। আমি বুঝি হাওরের মানুষের ক’ষ্ট। আমি চেষ্টা করব হাওরের মানুষের জন্য কিছু করার। আমা’র সাফল্যে মা-বাবা ও প্রতিবেশীরা খুশি। বাবার একটাই কথা তুমি জীবনে যা করবে সৎপথে থেকে করার চেষ্টা করবে। আমিও বাবার আদেশ মেনে সৎপথে সব কাজ করছি এবং করে যাব। অসৎপথে যাব না, এক পয়সাও অসৎপথে আয় করব না।

বাংলাদেশ সময়: ০:০৭:১৪   ১০৩৮ বার পঠিত   #  #  #




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

পড়ালেখা ও সাজেশন্স।।’র আরও খবর


শিক্ষিকাদের শ্লীলতাহানীর দায়ে ৪ বখাটে গ্রেপ্তার
স্কুলের শিক্ষক প্রশ্নফাঁস ব্যবসায় এখন কোটিপতি!
৩০ দিনের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
গরিব ও হতদরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবতার একতার আরেকটি প্রগাম সম্পন্ন
৩৫ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় এক টাকাও ব্যয় করেনি
অর্ধশত দেশ ভ্রমণকারী বাঙালী গবেষকের এক দীর্ঘ ভ্রমণ গল্প
প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব রটানোর চেষ্টায় আছে একটি চক্র : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট বিতরণ বন্ধ!!
এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা নভেম্বের অথবা ডিসেম্বেরেঃশিক্ষামন্ত্রী
টিকা দেওয়ার পর স্কুল খুলবে: প্রধানমন্ত্রী

আর্কাইভ