বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকসমূহ, (CSR)সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে থাকে।তারই অংশ হিসেবে বেসরকারি ব্যাংক নিজেদের ব্যাংকের নামে ফাউন্ডেশন গঠন করে।আর সেখান থেকে, নানা প্রকার সমাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকে, “শিক্ষাবৃত্তি প্রদান “তাদের মধ্য অন্যতম।
আর এই শিক্ষাবৃত্তি দেশের অধিকাংশ বেসরকারি ব্যাংক দেশের অসহায়, দারিদ্র,মেধাবী ও বিভিন্ন গুণ বিচার করে প্রদান করে থাকে। শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে, জে এস সি থেকে স্নাতক পর্যন্ত।
তেমনি, ডাচ্ বাংলা ব্যাংক ফাউন্ডেশন তাদের মধ্য একটি শিক্ষাবৃত্তি প্রদানকারী ব্যাংক। এই ব্যাংক প্রতিবছর এস এস সি, এইচএসসি ও স্নাতক লেভেল ভালো ফলাফলধারী, দারিদ্র্য,অসহায়, গ্রামীণ, শহুরে ও মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করে।
বিশেষকরে,বৃত্তি প্রাপ্ত স্টুডেন্ট এর রকেট একাউন্ট মাধ্যমে ব্যাংকটি শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে থাকে, যা প্রতিমাসের বৃত্তির টাকা, পরের মাসে প্রদান করে থাকে।
শিক্ষাবৃত্তির প্রাপ্ত সকল ছাত্র -ছাত্রীর বৃত্তির ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য এইচএসসি ও স্নাতক চলমান বৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্র ছাত্রীর জন্য,প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে ব্যাপী নবায়ন করতে হয়।অর্থাৎ, তার আগের বছরের ভালো ফলাফল ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে, নবায়ন টাকা প্রতিবছর মার্চের শেষ সপ্তাহে বা এপ্রিল শুরুতে দেওয়া হতো।কিন্তু এ বছর জুন পেরিয়ে গেলেও১৫ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীকে টাকা প্রদান করেনি ডাচ্ বাংলা ব্যাংক ফাউন্ডেশন।
যেখানে অন্যান্য সকল শিক্ষাবৃত্তি প্রদান কারী ব্যাংক যেমন, ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন, আল আরাফা ইসলমী ব্যাংক ফাউন্ডেশন ও প্রাইম ব্যাংক ফাউন্ডেশন তাদের বৃত্তি প্রাপ্ত চলমান ছাত্র ছাত্রীদের কে তাদের শিক্ষা বৃত্তির টাকা তাদের একাউন্ট দিয়ে আসতেছে।
এ ব্যাপার ডাচ্ বাংলা ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি বিষয়ক হেল্পলাইন অফিসার ফোনের মাধ্যমে অনেক ছাত্র -ছাত্রী বলেছে যে,তাদের হেল্পলাইন অফিসার জানিয়েছেন, তাদের এইবছর নবায়ন টাকা সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর প্রদান করা হতে পারে
আবার নাও দিতে পারে। যেহুেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, সুতরাং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খুললে টাকা প্রদান করা হবে না এমনটাও বলছে।
বৃত্তিপ্রাপ্ত অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রী এই মহামারী কভিড -১৯ তে, খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে।
বৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্র সাগর হোসেন বলেন,ডাচ্ বাংলা ব্যাংক ফাউন্ডেশন এর শিক্ষাবৃত্তি আমার শিক্ষাজীবন বিকাশ করেছে, কিন্তু এবার আমি এখন টাকা পর্যন্ত টাকা পাই নি,আমার ৫ মাসের মেসের ভাড়া বাকি তাছাড়া আরো অনেক টাকা ধার -দেনা করেছি, টাকা পাবো বলে কিন্তু আজও পেলাম না।
কেউবা ধার - দেনা,খাবার বিল,মেসের ভাড়া ইত্যাদি অনেক বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী তাদের নবায়ন টাকা পাবে বলে, আশায় বুক বাধছিল , কিন্তু তা আর হলো না তাদের।
করোনাকালীল সময় অন্যান্য বেসরকারি ব্যাংক যখন তাদের বৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্র ছাত্রীর অনুদান হিসেবে অতিরিক্ত টাকা প্রদান করেছে সেখানে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক ফাউন্ডেশন এমন আচরণ, বৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্র ছাত্রীর মধ্য হতাশা,ক্ষোভ এবং শোচনীয় অবস্থা তৈরি করছে।বৃত্তি প্রাপ্ত হাজারো শিক্ষার্থী দাবি যে ,বিষয়টি আমলে নিয়ে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক ফাউন্ডেশনকে এই করোনা কালীন সময়ে তাদের নবায়নকৃত টাকা যেন অতি শিগগিরই ব্যাংক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা্র সাথে মিটিং করে, বৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্র -ছাত্রীর নিজ একাউন্ট প্রদান করা হয়।
মোঃউবায়েদ
শিক্ষার্থী,
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:২৭:৫০ ১১৫১ বার পঠিত #ডাচ বাংলা ব্যাংক #দেশের সংকটময় মুহূর্ত #শিক্ষার্থীদের পাশে নেই ডাচ বাংলা ব্যাংক