আর কি ফেরা হবে না!

Home Page » ফিচার » আর কি ফেরা হবে না!
বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০



ফাইল ছবি

প্রিয় ঢাবি,
রক্তিম আভায় উদীয়মান নক্ষত্রের মতো সগৌরবে দাড়িয়ে সবার মনিকোঠরায় জায়গা করে নেয়া ৬০০ একরের ভালোবাসা কেমন আছো তুমি?তোমাকে অনেক মিস করছি।মিস করছি স্যাডোতে দাড়িয়ে ভিড় ঠেলা লোকের মাঝের আনন্দকে।মিস করছি টি এস সিএর এক কাপ হৃদয় জুড়ানো চায়ের চুমুক সাথে চারমিনার হালকা আভা।মিস করছি মল চত্ত্বরে ক্রিকেটকে,সমাজবিজ্ঞান চত্ত্বরের সিগারেটের ধোয়া আর উড়ছে না,বাজছে না আর টি এস সির গীটার।টাকার হিসাব নিয়ে বসছে না কেউ সবুজ চত্ত্বরে।সারারাত দাপিয়ে বেড়ানো ফাস্ট ইয়ারদের এখন আর দেখা যায় না।নতুন করে কোনো প্রেমিকা জুটছে না বারবার ছ্যাকা খাওয়া ছেলেটার।আর বোধহয় দাড়িয়ে থাকছে না লাল গোলাপ হাতে কোনো প্রেমিক তার প্রিয়জনের জন্য।ক্যাম্পাস আর প্রকম্পিত হচ্ছে না কোনো নেতার ভাষনের আওয়াজে।ফুলার রোডের কাপল গুলোও এখন আর আসে না।বাজছে না চারুকলার সামনে রুবেলের বাশি।বকুল তলায় এখন শুধুই পাতা আর পাতা, কোনো কপোত-কপোতী আর বসে না তাদের গল্প ভাগাভাগির হেতু ।আমি মিস করছি ক্যাম্পাসের সেই শিল্পীকে যে তার সোনালী গীটার দিয়ে মজিয়েছে অনেক মঞ্চ,হয়েছে সকলের নয়নের মনি ও ভালোবাসা পেয়েছে ক্যম্পাসের প্রত্যেকটা মানুষের।সেই টোকাই এর জ্বালা সহ্য করতে আবার ইচ্ছা করছে যে বলতো ভাইয়া একটা ফুল নেন আপুর লাইগ্যা। বড্ড মিস করছি ঘাম ঝরা রোদে জ্যাম ঠেলে সাইকেল নিয়ে টিউশনে যাওয়া সেই ছেলেটাকে।

ফাইল ছবি

আমি মিস করছি ক্যাম্পাসের সেই মেয়েটাকে যে একাধারে দাপিয়ে বেড়িয়েছে ক্লাস থেকে কার্জন,হল থেকে টি এস সির খোলা বারান্দা, জায়গা করে নিয়েছে সব বন্ধুদের হৃদয়ে,যে নুপুর পায়ে কাপিয়েছে টি এস সির অডিটোরিয়াম। মিস করছি হলের ক্যান্টিনের খাবার,কার্জনের কাঠগোলাপের গন্ধ।আমি মিস করছি ক্যাম্পাসের সেই ফটোগ্রাফারকে যে সবার ছবি তুলে দেয় কিন্তু অবশেষে আর কেউ থাকে না তার ছবি তোলার জন্য।হ্যাঁ আমি মেডিকেলের নাপা ও প্যারাসিটামল কেও মিস করছি।মিস করছি রক্ত নিয়ে অবিরাম ছুটে যাওয়া বাধনকে।এখন আর শব্দ হয় না ককটেলের, আওয়াজ হয় না কোনো মিছিলের, কেউ আর বোনের ধর্ষনে বিরুদ্ধে অনশন করে না রাজুতে।কোনো পাগল কিছু না বুঝে এখন আর বলে না বঙ্গবন্ধু আমার পিতা,জিজ্ঞেস করে না শেখ মুজিবের কম্বল কোথায়!এখন আর কেউ ভোর ৬ টায় উঠে দাড়ায় না লাইব্রেরির লাইনে।ছুটে যায় না কেউ পরীক্ষার আগের দিন নীলক্ষেতে বই কিনতে।জানো,ফুসকা, আইস্ক্রিম এমনকি চুড়ি নিয়েও কেউ বসে না এখন।কেউ এখন আর প্রেম বাচানোর তাগিদে ছুটে আসে না রোকেয়া,প্রেম চত্ত্বরের সামনে বা কেউ কিছু নেয়া বা দেয়ার অপেক্ষায় দাড়িয়েও থাকে না।সুফিয়া,বঙ্গমাতা থেকে এখন আর আসে না সাদা বাস,আসে না কোনো লাল বাসও দূর থেকে। শোনা যায় না রিকশাওয়ালা মামার ভাড়ায় দরকশাকশি।কেউ আর বেড়াতে আসে না জগন্নাথ হলে।মনিরভাই এর ক্যান্টিনেও এখন আর ভিড় নেই।উপাসনালয়ের প্রার্থনাও হয় না এখন।এ সবই আমি মিস করছি। অবশেষে আমি মিস করছি তোমার দেয়া গনরুমের ভালোবাসার প্রিয় বন্ধুর মুখ,মিস করছি মাঝরাতে মেডিকেলের সামনের নাস্তাকে।কবে ফিরব তোমার কোলে?মায়ের মতো তুমিও সাজিয়ে রাখো আমাদের ভালোবাসার ক্যাম্পাসকে সব সংকট কেটে গেলে আবার ফিরতে পারবো!

ইতি
রক্তে রক্তে জড়িয়ে ফেলা ঢাবিয়ান।(শুভ হালদার)

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ সময়: ১৩:০১:৪৮   ৮৮০ বার পঠিত   #  #




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ফিচার’র আরও খবর


অ্যানেন্সেফ্লাই কী? - রুমা আক্তার
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়নের অগ্রদূত : স্পিকার ; ১০০০ নারী উদ্যোক্তা’র মধ্যে ৫ কোটি টাকার অনুদান প্রদান
“ম্রো’ আদিবাসীর গো হত্যা’ অনুষ্ঠাণ ” - তানিয়া শারমিন
আলোকিত স্বপ্ন নিয়ে তৃতীয় বর্ষে রবিকর ফাউন্ডেশন
নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন রক্ষায় প্রয়োজন জেন্ডার সংবেদনশীল নীতির পর্যালোচনা
জিনগত ত্রুটির অপর নাম “ডাউন সিনড্রোম”- রুমা আক্তার
মোহাম্মদ শাহ আলমের জীবন ও কর্ম
ইসফাহান নেসফে জাহান
সিলেটে গ্রুপ ফেডারেশনের কর্মশালায় বির্তকিত মুরাদ- আয়োজকদের দুঃখ প্রকাশ
ডলারের দাম যেভাবে বাড়ছে, টাকার দাম কেন কমছে

আর্কাইভ