আজ ভালো নেই আমাদের ভাগ্যাকাশ— আবু তালহা বিন মনির

Home Page » সাহিত্য » আজ ভালো নেই আমাদের ভাগ্যাকাশ— আবু তালহা বিন মনির
বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল ২০২০



---

আজ ভালো নেই আমাদের ভাগ্যাকাশ।ঈশাণ কোণ থেকে প্রবল বেগে ধেঁয়ে আসছে কালো ধোঁয়া।আমাদের মাথায় আজ আকাশ ভেঙে পড়া অবস্থা।

বাবা চিন্তিত।মা আঁড়ালে চোখের জল ফেলছেন।মহামারী করোনার আতংকে ঘাবড়ে গেছেন সবাই।কবে জানি হানা দেয় আমাদের উপর।

বিষণ্ন মুখ নিয়ে বাবা সেই ভোরে বের হয়েছেন।ঘরে ধান-চাল নেই।চৈত্র মাস।বছরের শেষ সময়।যাই ছিল গোলা ঝারা অবস্থা।আমাদের মুখে অন্ন জোগাড়ের চিন্তায় কঠিন মূহুর্ত পার করছেন বাবা।কবে জানি আবার মহামারীর কবলে পড়ে যাই।পথ্য জোগানোর টাকা আসবে কিভাবে!

চারদিকে কাজ-কর্ম নেই বললেই চলে।বাবার বেকার অবস্থা।চৈত্র মাসে তেমন কোনো উপার্জনের পথ থাকে না।উপার্জনহীন বাবার চোখে তাঁকানো যায় না।বাবাও তাঁকান না আমাদের দিকে।

কি বলে শান্তনা দিবেন আমাদের।দারিদ্রের করাল ঘ্রাসে জর্জরিত হয়ে বাবার বেহালদশা।

আজ বিশ্ব ব্যাপি করোনা মহামারী আতংকে।এই মূহুর্তে আমার দেশের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য উর্ধ্ব গতিতে।এ যেন বাবার মরণদশা।চৈত্র মাস বেকারত্ব নিয়ে বাস করছেন।সেই সাথে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি।বাবার মাথায় যেন বাজ পড়েছে।আঁড়ালে আঁচল ভিজাচ্ছে মা।

মা মাঝে মধ্যে শান্তনা দিচ্ছেন।কিন্তু বাবার মুখে কোনো কথা নেই।মেঘাচ্ছন্ন মুখটি আঁড়াল করছেন বারবার।

চালের দাম দ্বিগুন।এছাড়াও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলোর মূল্য আকাশচুম্বী।

আর করোনা মহামারী।

কি করবেন এ অবস্থায়।

সেই সকালে বের হয়েছেন।এখনো ফিরেননি।হয়তো আমাদের মুখে দু-মুঠো অন্ন জোগাড়ের আশায় দোয়ারে দোয়ারে ঘুরছেন।

হ্যাঁ- আমাদের মতো দরিদ্র পরিবারের পিতা-মাতা এভাবেই ঘুরছেন। দেশের এই দুর্যোগ মূহূর্তে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে আমাদের মরণদশায় ফেলে রেখেছে এই সমাজের অসাধু চুর ব্যবসায়ীরা।দেশের যে কোনো দুর্যোগ মূহূর্তে সিন্ডিকেট তৈরি করে মরণদশার দিকে ঠেলে দেয় আমাদের।

আমাদের রক্তচুষে নেয়ে ঐ চুর ছ্যাছড়ার দলেরা।

প্রশাসনও আজ তাদের কাছে ব্যর্থ।সমূলে উচ্ছেদ করতে পারছে না এসব দেশদ্রোহীদের।চুর ছ্যাছড়ার দলেরা এখনো মাথা নেড়ে উঠছে।

ঐসব সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বলছি শোন- আজ বাবা ভালো নেই।মেঘাচ্ছন্ন মুখ নিয়ে হাটছেন অবিরত।কারণ- আমাদের মুখে অন্ন জোগাতে হবে।করোনায় আক্রান্ত হলে পথ্য জোগাতে হবে।

আর মা!আমাদের চোখের আঁড়ালে আঁচল ভিজাচ্ছেন।যেন আমরা না দেখি।কারণ, মা জানেন।জিজ্ঞেস করলে আঁচল ভেজানোর কারণ কি বলতে পারবেন না।

বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৪:৪৫   ৮৯০ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

সাহিত্য’র আরও খবর


সাধক কবি রামপ্রসাদ সেন: স্বপন চক্রবর্তী
ড. গোলসান আরা বেগমের কবিতা “আমি তো গাঁয়ের মেয়ে ”
৫০ বছরের গৌরব নিয়ে জাবির বাংলা বিভাগ বিশাল ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’ উৎসব আয়োজন করেছে
অধ্যক্ষ ড. গোলসান আরা বেগমের কবিতা- ‘তোমার খোঁজে ‘
অতুলপ্রসাদ সেন: ৩য় (শেষ ) পর্ব-স্বপন চক্রবর্তী
অতুলপ্রসাদ সেন;পর্ব ২-স্বপন চক্রবর্তী
অতুলপ্রসাদ সেন-স্বপন চক্রবর্তী
অধ্যক্ষ ড. গোলসান আরা বেগমের কবিতা ” যাবে দাদু ভাই ?”
বাদল দিনে- হাসান মিয়া
ইমাম শিকদারের কবিতা ‘ছোট্ট শিশু’

আর্কাইভ