স্টাফ রিপোর্টার,বঙ্গনিউজঃ
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের বংশীকুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা সাজেদা আহমেদ হাওর সাহিত্য উন্নয়ন সংস্থা (হাসুস) পরিচালিত হাওরভিত্তিক দেশের একমাত্র পাঠাগার “ কেন্দ্রীয় হাওরসাহিত্য গণপাঠাগারের আজীবন সদস্য পদ লাভ করেছেন।পাঠাগারে ৫০ টি বই দান করে গতকাল শনিবার তিনি সদস্য পদ পান।উল্যেখ্য এর আগে পাঠাগারে তিনি একটি বুক সেল্ফ দান করেছিলেন।
পাঠকদের জ্ঞাতার্থে সাজেদা আহমদ’র সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরা হলো-
সাজেদা আহমেদ, স্বামী : রাসেল আহমদ
মাতাঃরাবেয়া খাতুন,গ্রাম- বংশীকুণ্ডা,পোঃ : বংশীকুণ্ডা,উপজেলা - ধর্মপাশা জেলা - সুনামগঞ্জ পেশাঃগৃহিণী,সমাজকর্মী,রাজনীতিক।
এছাড়াও, প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুব মহিলা লীগ, বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন শাখা,সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদ,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, মধ্যনগর থানা শাখা, সুনামগঞ্জ ।
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্ম পরিচিতি :
প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক,
জলজনপদ নারী ও শিক্ষা উন্নয়ন সংস্থা (জনাশিউস),বাংলাদেশ।মহিলা বিষয়ক সমন্বয়কারী,আমরা হাওরবাসী,কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি, বাংলাদেশ।সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটি ,
হাওরপারের ধামাইল (হাপাধা), বাংলাদেশ।
শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান সমূহ :
উদ্যোক্তা ও সভাপতি, পরিচালনা কমিটি
পাঠশালা শিশু একাডেমি (বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ),ডাকঘর : বংশীকুণ্ডা,ধর্মশাপাশা,সুনামগঞ্জ ।
উদ্যোক্তা ও সদস্য, পাঠশালা গার্লস একাডেমি , ধর্মপাশা, সুনামগঞ্জ,সাবেক এক কালীন দাতা সদস্য (দুই মেয়াদে),বংশীকুন্ডা মমিন উচ্চ বিদ্যালয়, ধর্মপাশা, সুনামগঞ্জ ।
এছাড়া দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা, বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ প্রদান, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে সহযোগিতা মুলক কর্মসূচি গ্রহণ সহ স্থানীয় ভাবে হাওরপারে বাংলা বর্ষবরন অনুষ্ঠানের আয়োজক ও পৃষ্ঠপোষক ।
হাওরপারের নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ের একটি বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে তিন মাসের সেলাই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজক।
প্রত্যন্ত হাওর জনপদে প্রসূতি মায়ের নিরাপদ প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সেবামূলক সংস্থা ‘কেয়ার বাংলাদেশ’ এর ‘পিসিএসবি’ দের বিভিন্ন উপকরণ সহায়তা প্রদান।
পারিবারিক জীবনে দুই সন্তানের জননী । পুত্র অভিজিৎ ও কন্যা রাইসা আহমেদ বর্ষা।
প্রিয় শখ: বই পড়া, গান শোনা ।
এক সংক্ষিপ্ত প্রেস বার্তায় আজ বঙ্গনিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি, হাওরকবি জীবন কৃষ্ণ সরকার।
জানতে চাইলে তিনি বলেন এই পাঠাগারটি হাওরের লেখকদের কথা,হাওরের কৃষ্টিকালচার সংরক্ষণের বিষয়টিকে মাথায় নিয়ে ২০১৭ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে।ইতোমধ্যে পাঠাগারটিতে ২৪০০ গুরুত্বপূর্ণ বই রাখা হয়েছে।বই প্রেমিক সকলে পাঠাগারটি ভিজিট করবেন এবং আজীবন সদস্য হবেন।
এসময় তিনি নবনির্বাচিত আজীবন সদস্য সাজেদা আহমেদ সম্পর্কে বলেন আমরা চাই এমনসব সমাজ উন্নয়ন কর্মীরা আমাদের পাঠাগারের কল্যাণে এগিয়ে আসুক।দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠিত হাওরসাহিত্যভিত্তিক পাঠাগারটিকে দেশের শীর্ষস্থানীয়দের পাশে দাঁড় করাতে সামাজিক,রাজনীতিক সকল প্রকার মানুষেরই প্রয়োজন রয়েছে।ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য পাঠাগারের দরজা খোলা।আপনারা পাঠাগারে আসুন,বই পড়ুন,বই দান করুণ।পরে আজীবন সদস্য সাজেদা আহমেদকে পাঠাগার ও হাসুস’র পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৬:২৭ ৭৯৪ বার পঠিত