বঙ্গ নিউজ ডটকম : অফিসে হামলা করে হত্যা চেষ্টা ও ভাঙচুর এর অভিযোগে সালমান এফ রহমান ও তার ক্যাডারদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডিনিউজবিডি ডটকমের সম্পাদক গোলাম মাওলা রনি।
আলোচিত ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান ও তার মালকানাধীন ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের দুই কর্মী নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের ৪০/৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলায় হামলা-ভাঙচুর ও অপহরণ চেষ্টা এবং চাদাঁবাজীসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ১০/১২জন দুস্কৃতিকারী প্রকৃতির লোক ইনডিপেন্ডেট টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এমপি রনির অফিসে হাজির হয়। তারা ফ্রন্ট ডেস্কের কর্মচারীকে বলেন, এমপি রনির বিরুদ্ধে অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আছে। এসময় তারা রনিকে তাদের সঙ্গে মিচুয়াল হতে প্রস্তাব দিতে বলে এবং রনির সঙ্গে সাক্ষাত করার কথা বলে। এসময় অফিসের কর্মচারীরা বাধা দিলে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং অফিসের কয়েক কর্মচারীকে মারধর করে। এমন অবস্থায় শাহবাগ থানাকে অবহিত করেন এমপি রনি।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, রনির অফিসে গন্ডগোল হয়েছে এমন খবরে আশেপাশের অফিসের লোকজন সেখানে জড়ো হয়। দুস্কৃতিকারীরাও ফোন করে আরও ২৮/৩০ জনকে জড়ো করে। এসময় ওইসব সন্ত্রাসীরা এমপি রনিকে তুলে নেবার হুমকি দেয়। পাশাপাশি সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে কোন সাহসে কলাম লিখছো- তা জানতে চেয়ে গুম করারও হুমকি দেয়। এতে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের ধাওয়া করে। এসময় ক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের হাতে ধরা পড়েন মহসিন মুকুল ও ইমতিয়াজ মমিন। অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে র্যাব পুলিশ আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয় বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এমপি গোলাম মাওলা রনি বলেন, ‘পত্রিকা এবং টেলিভিশন টকশোতে কথা বলার আক্রোশে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার ও ইনডিপেন্ডেন্ট টিভির অন্যতম মালিক সালমান এফ রহমান আমার বিরুদ্ধে তার পোষ্য গুন্ডাবাহিনী লেলিয়ে দিয়েছে। এই গুন্ডাবাহিনী প্রথমে আমার কাছে চাঁদা দাবি করে। কিন্তু তা না পেয়ে আমাকে হত্যার জন্য অপহরণ বা গুম করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে তার পোষ্য গুন্ডাবাহিনী ও সাংবাদিকদের দিয়ে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়েছে।’
এদিকে দুই সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ এনে উল্টো সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনির বিরুদ্ধে মামলা করেছে ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ। শনিবার বিকালে রনিসহ অজ্ঞাতপরিচয়ের ২০/২৫ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন ওই টেলিভিশনের সহকারী ব্যবস্থাপক ইউনুছ আলী। মামলায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভাংচুরের অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রনি বলেন, ‘স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতার হাতে নাজেহাল হওয়া ওই দুই ব্যক্তি দাবি করেছে- তাদের টিভির তালাশ নামে একটি অনুষ্ঠানের জন্য আজ আমার কাছে এসেছিল। তাহলে গত এক সপ্তাহ ধরে আমার অফিসের সামনে ক্যামেরা নিয়ে তারা কেন বসেছিল।’
‘তাছাড়া তারা দাবি করছে- আমার কাছে নাকি পটুয়াখালীর এক কর্মকর্তা ঘুষ নিয়ে আসবেন। সেজন্য তারা এখানে বসেছিলেন। যদি তারা এ খবর জেনে এখানে এসেছেন। আবার তারাই বলেছে, আমার অনিয়মের বিষয়ে সাক্ষাতকার নিতে এসছেন। তবে তারা ৫/৬ দিন আমার অফিসের সামনে ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে বসে থাকে- এর দ্বারা কি বুঝা যায়। সালমান এফ রহমান ও তার টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ আমাকে ফাসাতে একটি নাটক সাজিয়েছিল। দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে কোন এক কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে আমাকে দুর্নীতিবাজ বানানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল বলেই স্পষ্ট হয়েছে।’- যোগ করেন এমপি রনি।
বাংলাদেশ সময়: ৯:৫৭:১৪ ৪৫৯ বার পঠিত