২২ জানুয়ারি ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

Home Page » জাতীয় » ২২ জানুয়ারি ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০



 ফাইল ছবি

বঙ্গ-নিউজঃ ২২ জানুয়ারি বুধবার ইলেকট্রনিকস পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন করবেন।

রবিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ই-পাসপোর্ট ভবন ও ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, এই পাসপোর্ট বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করবে এবং পাসপোর্টের নিরাপত্তা অধিকতর নিশ্চিতকরণসহ ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমণ ও ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সহজ হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের আওতাধীন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় জার্মান কোম্পানি ভেরিডোস জিএমবিএইচ কর্তৃক ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ৫ থেকে ১০ বছর।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর প্রাথমিকভাবে রাজধানীর আগারগাঁও, উত্তরা ও যাত্রাবাড়ী থেকে ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৩৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৫৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৭৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫০০০ টাকা, জরুরি ফি ৭০০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৯০০০ টাকা।

নতুন পাসপোর্টের ক্ষেত্রে অতীব জরুরিতে ৩ দিনে, জরুরিতে ৭ দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে ২১ দিনের পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। তবে পুরনো অথবা মেয়দোত্তীর্ণ পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার ক্ষেত্রে অতীব জরুরি পাসপোর্ট ২ দিনে, জরুরি পাসপোর্ট ৩ দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট ৭ দিনের মধ্যে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

এছাড়া, বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে সাধারণ আবেদনকারী, শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আলাদা ই-পাসপোর্ট ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে সাধারণ আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ১০০ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ১৫০ মার্কিন ডলার। ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ১২৫ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ১৭৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্মনিবন্ধন সনদ (বিআরসি) অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের ডিজিটালাইজড আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছে। সেটি নিবন্ধন রয়েছে। কাজেই তথ্য গোপন করে কোনও রোহিঙ্গাদের ই-পাসপোর্ট গ্রহণের সুযোগ নাই। তারপরও রোহিঙ্গারা যদি বিভিন্ন ধরনের ফাঁক-ফোকরের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট করতে যায় তাহলে বিভিন্ন প্রশ্নে তারা ধরা পড়বে।

তিনি বলেন, ই-পাসপোর্টের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে তবে বিভিন্ন ধরনের নাজেহাল এড়াতে এটি অনলাইনে করার চেষ্টা করছি যেন অতীতের তুলনায় সহজ হয়।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে দেশের সর্বত্র ই-পাসপোর্ট চালু হবে। বাংলাদেশে প্রথম ই-পাসপোর্ট পাবে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী। প্রতিদিন ২৫ হাজার পাসপোর্ট ইস্যু করা যাবে।’

সংবাদ সম্মেলনে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। বাসস

বাংলাদেশ সময়: ১১:২২:২৭   ৫৮২ বার পঠিত   #  #  #  #




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

জাতীয়’র আরও খবর


সালাম, আমান, রিজভী, খোকন, শিমুল ও এ্যানিসহ গ্রেফতার শতাধিক
ভারতকে হারিয়ে টাইগারদের সিরিজ জয় নিশ্চিত
 নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ,নিহত ১
বিয়েবর্হিভূত যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ: প্রতিবাদে বিক্ষােভ ইন্দোনেশিয়ায়
আড়াইহাজারে অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কোয়ার্টারে ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি
ব্যাংকে টাকা নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির লটারি ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর
২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ
সউদী আরব তৈরি করবে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর

আর্কাইভ