বঙ্গ-নিউজ-
আগামী ৪ থেকে ৫ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক ওপরে ওঠে আসবে, এ সময় ৩০ টি বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশের কাতারে থাকবে বাংলাদেশ। একইভাবে ২০৪৮ সালে ২০ তম অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) অডিটোরিয়ামে আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওয়ালটন র্যামের উৎপাদন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে র্যাম উৎপাদন কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২৮ সালে বাংলাদেশ ২৭ তম অর্থনীতির দেশ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সঠিক পথেই চলছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছাতে ওয়ালটন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ওয়ালটনের নিকট দাবি থাকবে দেশে বেশি বেশি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা। বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা অনেক দক্ষ। এদের হাত ধরে বাংলাদেশের শিল্প অনেক এগিয়ে যাবে। আমাদের দেশের জনগণ সব থেকে বড় সম্পদ। দেশে ৬১ শতাংশ মানুষ কর্মক্ষম যা বিশ্বের কোথাও নেই। বাংলাদেশের মানুষের বুদ্ধি ও মেধাও অনেক বেশি। তাদের কোনো কাজে প্রশিক্ষণ দিলে অনেক ভালো করে।
নিজের প্রতিষ্ঠানের উদাহরণ দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার একটা লেদারশিল্প ছিল। আমার প্রতিষ্ঠানে ফিনিশড পণ্য তৈরি করে বিদেশে পাঠাতাম। এই শিল্পের একটা মেশিন চালাতে ১৮ লাখ ডলার পারিশ্রমিক দিয়ে স্পেনের একটা নাগরিককে রেখেছিলাম। ওই নাগরিক আর আমার ফ্যাক্টরিতে ফেরেনি। পরে আমার দেশের দুইটা মেয়েকে দিয়ে সেই মেশিন চালিয়েছি। আমার দেশের মেয়েরা সব কিছু পারেন, দেশের মেয়েরা অনেক মেধাবী। এসব মেধাবীদের কাজে লাগাতে হবে। তাদের হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে যাবে বলে দাবি করেন অর্থমন্ত্রী।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, তরুণদের হাত ধরেই দেশ এগিয়ে যাবে। এর আগে তিনটি শিল্প বিপ্লব ঘটে গেছে। আমরা কোথাও অংশ নিতে পারিনি। আমার বিশ্বাস চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আর মিস করবো না। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে দেশকে এগিয়ে নেবো। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে আরো দক্ষ আরো ডায়নামিক।
তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সামনে আমরা র্যাম রফতানি করবো। সামনে ডেল ও আসুসের ভূমিকায় আসবে ওয়ালটন। বর্তমানে আইটি খাতে ১ বিলিয়ন ডলার রফতানি করছি সামনে এটা ৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে। দেশীয় পণ্য ব্যবহার প্রসঙ্গে পলক বলেন, বছরে প্রায় ৪ কোটি মোবাইল আমদানি করা হয়। বর্তমানে ১ কোটি ওয়ালটন ফোন মানুষের হাতে রয়েছে। দেশে আর বিদেশি ফ্রিজ চলে না এখন ঘরে ঘরে ওয়ালটন ফ্রিজ। আশা করি সামনেও ঘরে ঘরে ওয়ালটন ফোন চলে যাবে। ওয়ালটন একদিন বাংলাদেশের স্যামসাং হবে। বর্তমানে ওয়ালটন একটি গর্বের নাম।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ওয়ালটন ডিজি- টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি, ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মো. হুমায়ূন কবীর, কম্পিউটার বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্রকৌশলী লিয়াকত আলী, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিরোজ আলম, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মিলটন আহমেদসহ বাংলাদেশ সরকারের এবং ওয়ালটনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে একের পর এক সাফল্য দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ-কম্পিউটার এবং এর বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরির পর এবার দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে র্যাম (র্যানডম আ্যাকসেস মেমোরি)। কম্পিউটার ও ল্যাপটপের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ যন্ত্রাংশ তৈরির মাধ্যমে দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পে নতুন এক মাইলফলক সৃষ্টি করলো বাংলাদেশি টেক জায়ান্ট ওয়ালটন। র্যামের মতো উচ্চ প্রযুক্তির যন্ত্রাংশ তৈরির পর প্রসেসর উৎপাদনের বৃহৎ কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ সময়: ২২:২৮:৪৮ ৮১২ বার পঠিত #অর্থনীতি #অর্থমন্ত্রী #আমদানি-রপ্তানি #ডিজিটাল বাংলাদেশ