যুথিকা দাসের লেখা গল্প’ বাংলাদেশ ভ্রমণ’

Home Page » সাহিত্য » যুথিকা দাসের লেখা গল্প’ বাংলাদেশ ভ্রমণ’
বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৯



যুথিকা দাসখুব মনে পড়ছে,  দিনটা ছিল ১২ই জুলাই, ২০১৯ বার ছিল শুক্রবার,  ইতিহাসের পাতায় এক যুগান্তকারী দিন। দিনটা খুব বৃষ্টিভেজা দিন, আষাঢ়ের একটা মেঘচঞ্চল দিন। আমন্ত্রিত অনেকেই  বিসানি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ঢাকায়।  সঙ্গী হলেন শিলচর থেকে আদিমা মজুমদার,  জাহানারা মজুমদার,  স্মৃতি দাস, নাজিম উদ্দিন বড়ভূঁইয়া,  জাহিদ রুদ্র। ছেলেবেলার স্বপ্নের দেশ আমার সোনার বাংলাদেশ।কত খড়কুটো পুড়াতে পুড়াতে এই দিনটি এসেছিল একমাত্র আমিই জানি। তা ছাড়া দেশ ও সমাজের একজন মানুষ হতে খুব লোভ আমার ছিল অনেক আগে থেকেই।

দশ জুলাই ভোর পাঁচটা থেকেই যাত্রার পরিপাটি শেষ করে রওয়ানা দিলাম বাংলাদেশ এর উদ্দেশে। দেশ বিদেশ থেকে অনেকেই আমন্ত্রিত ছিলেন সবাই যোগাযোগ করছেন, বের হলাম কি না!  কলকাতা থেকে সোমা মিত্র,  মধুমিতা বসু, সিদ্ধার্থ মিত্র,  পৃথা বিশ্বাস ওরাও ছিলেন বিসানি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত।  ওরা ফোনে যোগাযোগ রেখেই চলেছেন।

নেপাল থেকে দুজন কবি এসেছেন, দিল্লি থেকেও এসেছেন, কলকাতার নদীয়া, উত্তরবঙ্গ, খরদাহ, দূর্গাপুর, আসামের শিলচর, হাইলাকান্দি, করিমগঞ্জ,  বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, বরিশাল,  রাজশাহী, টাংগাইল, খুলনা, পাবনা, যশোর,  রংপুর, বান্দর বান,  জামালপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ,  নেত্রকোণা থেকে কবিরা আমন্ত্রিত ছিলেন। প্রবল বর্ষা, প্রকৃতির গদগদ ভাব, তার উপর গরমের প্রতাপ সব মিলিয়ে একটা অভাবনীয় অনুষ্ঠান এর আয়োজন হল ঢাকার স্বামীবাগ, জাতীয় প্রেসক্লাবে।

ছোটবেলা থেকেই  বাংলাদেশ আমার স্বপ্নের দেশ প্রিয় মানুষের দেশ, নজরুল, রবীন্দ্রনাথের সোনার বাংলাদেশ, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জল নৌকোয় ভেসে যেত মনের আঙিনা। বেতার বার্তা ধরেই বাংলাদশকে এত চিনে নিয়েছিলাম এক নাড়ীর টানে উনিশের শহর  ভেদ করে পাড়ি দিলাম একুশের দেশে।  এক মাটি জল আলোয় এত বিভেদ হয় কি করে, একই রকম নদী ফুল গাছ চারদিক আকুলিত। অথচ দুটি ভিন্ন দেশ পাশাপাশি বাঙালি ও বাংলায় কথা বলা লোক গুলো।
শিলচর থেকে যাত্রা শুরু করি সকাল আটটায় করিমগঞ্জ  গিয়ে পৌঁছালাম প্রায় সাড়ে দশটা নাগাদ। এর সাথে যাবতীয় অফিসিয়াল কাজ শেষ করে রওয়ানা দিলাম বর্ডার পথে। ভাবতে না ভাবতেই গাড়ি থেমে গেল বললো এসে গেছি।  গাড়ি থেকে নেমে জিনিস পত্র নিয়ে হেটে হেটে গেলাম বর্ডার অফিসে, পরবর্তী অফিসিয়াল প্রোসেস শেষ হল একেক করে প্রায় তিনটে নাগাদ। তার সাথে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল। বাংলাদেশে পা রেখেই বৃষ্টির মধ্যেই কিছু ছবি তুললাম সবাই, কি আনন্দ আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।

কৃষ্ণচূড়া গাছ, ফলের গাছ, আম জাম নানা ধরণের গাছ আমাদের টানছিল, পেটে কিছু আর পড়েনি,  বর্ডার থেকেই সি এন জি করে সিলেটের পথে রওয়ানা হলাম, একি আনন্দ। তখন  ভারতের মোবাইল নেট কেটে দিলো, সবার মোবাইল এখন শুধু কালো বাক্স হয়েই রইল। দুবাগ, বিয়ানি বাজার পার হয়ে গোলাপ গঞ্জের আগে যেতেই পড়েছিলাম দূর্গম জ্যামে প্রায় দুঘণ্টা। ড্রাইভাবের ফোন দিয়ে যোগাযোগ করলাম সিলেটে প্রতীক্ষারত পলাশের সাথে, মোস্তাফিজুর দাদার সাথে। ওনারা দুপুর থেকেই রঙমহল এসে পৌঁছেছিলেন। আগেই কথা ছিল মোস্তাফিজুর দাদার বাড়িতে থাকবো এবং ডাল ভাত খেয়ে পরদিন ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবো। দূর্ভাগ্য রাস্তার জ্যামে পড়ে শাহ জালালের মাজার আর পরিদর্শন হল না, ভেবেছিলাম চারটের দিকে পৌঁছালে এ সুযোগ নিতাম। প্রায় সাড়ে সাতটা নাগাদ পৌঁছালাম রঙমহল, এখান থেকেই আমরা কজন ভাগ হয়ে তিনজন হোটেলে গিয়ে থাকলেন, আর আমরা তিনজন মোস্তাফিজুর দাদার বাড়িতে সি এন জি করে রওয়ানা দিলাম। পলাশের বাড়ি মৌলবী বাজার ও পথেই নেমে গেল। ও আমাকে বাংলাদেশি সিম দিয়েছিল তাই আবার সবার সাথে যোগাযোগ করতে শুরু করলাম গাড়িতে বসে বসেই। বিসানি সাধারণ সম্পাদক ভাইয়া ইমরান শাহ্ কে আগে ফোন নং দিলাম এবং পিতৃতুল্য হুমায়ুন কবীর দাদাকে ফোন নং দিলাম। পৃথা বিশ্বাস ও সোমা মিত্রকে ফোন নং দিলাম। যাই হোক কথা হলো সবার সাথে, কিন্তু এত টাকা যাচ্ছিল নেট স্লো দেখাচ্ছিল,  সঙ্গে ছিলেন জাহানারা মজুমদার, স্মৃতি দাস উনাদের বাড়ির সাথেও যোগাযোগ করলাম।

মোস্তাফিজুর দাদার বাড়িতে পৌঁছে স্নান সেরে চা-টা হল, বৌদির সাথে কথাও হল। মোস্তাফিজুর দাদার তিনটি ছেলে মনে হল হিরের টুকরো একেক জন,  এত প্রশিক্ষার সাথে ওদের আপ্যায়ন এত মুগ্ধ করেছিল  কি বলব! রানা, সানি ওরা একদম নিজের ছেলের মতোই মনে হল।

পরদিন ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম, সারাদিন জার্নি শেষে এসে পৌঁছালাম স্বপ্নের বাংলাদেশ ঢাকায়, শায়েদাবাদে নেমে সি এন জি করে গেলাম লোক নাথ বাবার আশ্রমে,  দূর্ভাগ্যবশত আমাদের জন্য বুক করা রুম গুলো আর পেলাম না, কারন পরদিনই ছিল একটা বিশেষ পরীক্ষা দূর দূরান্ত থেকে ছাত্র ছাত্রীরা আসায় উপরিভাগের চাপে আশ্রম কর্তৃপক্ষ রুম ছেড়ে দিতে হল। যা হয় ভালোর জন্যই হয় পরে সেখান থেকেই চলে গেলাম বিউটি বোডিং এ, বাংলা বাজার। সেখানে নিজের মতো করে স্নানটান সেরে রাতের ডিনার শেষ করি মরা সবাই। কলকাতা থেকে আরো কয়েকজন এসেছিলেন আমাদের সাথে এই বিউটি বোডিং এ সবাই খুব আনন্দে রাত কাটালাম পরদিন আবার বিশ্ববাংলা সাহিত্য নিকেতনের সম্মেলন ছিল ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে,  স্বামীবাগে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই নাস্তা করার জন্য বের হলাম,  খুব ভালো লাগলো ঘিয়ে ভাজা পরটা ও সব্জি ডাল সহ উপাদেয় খাবার খেলাম সবাই মিলে। সঙ্গে ছিলেন কলকাতার একজন বাচিক শিল্পী, উনি আবার কুকুর ভয় পান খুব বেশি, রাতের বেলা একটা কুকুর ছিলো হোটেলের মালিকের ও রাতে ছাড়া থাকতো। ওকে দেখেই উনি লাফিয়ে, কাঁদিয়ে উঠতেন,  বড় মজা হল উনাকে দেখে, কুকুর আর মানুষের মধ্যে বিস্তর এক ব্যবধান আছে, প্রায় কুকুররাই প্রভুভক্ত, তবে মানুষ কিন্তু তেমন খুব কম হয়, ওরা সুযোগ পেলে ওদের প্রভুকে ছোবল দিতে পারেন। যাক নাস্তা সেরে হোটেলে গিয়ে স্নান সারলাম, অনুষ্ঠানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতেই ইমরান চলে এলো অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়ে। আমিও প্রস্তুতি নিয়ে সঙ্গে যাবতীয় জিনিসপত্র গুলো গাড়িতে তুলে চলে গেলাম প্রেসক্লাবে।
প্রকৃতির উচ্ছ্বসিত ভাবনায় শুরু হল মুষলধারার বৃষ্টি, এই বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে ঢাকা শহরের অন্যান্য কাজ সারলাম আমি ও ইমরান। ঘড়িতে একটা বেজে ত্রিশ মিনিট প্রেসক্লাবে লোক সমাগম শুরু হয়ে গেলো, বাহিরে চলছে তুমুল বৃষ্টি,  এই বৃষ্টি উপেক্ষা করে দূর দূরান্ত থেকে কবি লেখক বিসানির অনুষ্ঠানে হাজির হলেন। সব প্রিয়মুখ গুলো দেখে যার পর নেই আনন্দে ভরে গেল মন।
এত প্রতিকুলতা উপেক্ষা করে মানুষের ঢল নেমেছে ঢাকা প্রেসক্লাবে বিসানির আয়োজিত অনুষ্ঠানে।

দুপুর দুটো থেকে আনুষ্ঠানিক প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ভারত বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হল, প্রথমেই এক ঘণ্টা চললো স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর। চারটেয় এলেন বিসানির প্রধান অথিতি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী  মাননীয় আ,ক,ম মোজাম্মেল হক ও একুশের পদক প্রাপ্ত কবি অসীম সাহা উদ্ভোধক হিসেবে শুদ্ধতার কবির শুভাগমন।

অনুষ্ঠানের প্রথমেই মোড়ক উন্মোচিত হল বিসানির পত্রিকা বরাকবাংলা থেকে প্রকাশিত ঈশানী পত্রিকার, এর পর সাত তারার আকাশ, কবিতার অন্তর্বয়ন,  ভুবন পাহাড়ের মেয়ে, শাহ কামাল সবুজের একটি ভাষা বিষয়ক গ্রন্থ পর পর মোড়ক উন্মোচন হল। এর পর মাননীয় মন্ত্রীর কিছু মূল্যবান কথা শুনলাম, অসীম সাহার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বক্তব্য শুনলাম। খুব প্রাণিত হলাম।

অনুষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল সম্মাননা বিতরণ, ভিন্ন ভিন্ন সংগঠন, কবি, লেখক সর্বমোট একশত ত্রিশ জন কবি লেখককে সংবর্ধনা দেওয়া হল বিসানি বিশেষ সম্মাননা।
ভারত, বাংলাদেশ, কলকাতা, সৌদীআরব, নেপাল, দিল্লী, শিলচর, করিমগঞ্জ, চট্টগ্রাম,  রাজশাহী,  রংপুর থেকেও নবীন কবি লেখকদের সংবর্ধনা দেওয়ায় ওরা খুবই উৎসাহিত  হলেন।
তার পর গান পরিবেশন করে টেলিভিশন শিল্পী এম এ মন্নাফ,  রাব্বি, আরো অনেকেই।
সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ ছিল সেদিনের মিলন মেলা। মোট বাটোটা মিডিয়া এসেছিলো, চারটা টিভির সাংলবাদিকরাও ছিলো উপস্থিত।  সব মিলিয়ে একটা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য অনুষ্ঠান মনে হয় বিরল বলেই অনেকেই আখ্যায়িত করেন।
ভারতের যুথিকা দাসের প্রতিষ্ঠিত সাহিত্য সংগঠন এখন দেশ ছাড়িয়ে দেশান্তরে পৌঁছে গেল, এমন অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করে নিজেকে বড় গৌরবান্বিত মনে হয়।

পরদিন বিসানির উপদেষ্টা প্রাক্তন প্রকৌশলী জনাব হুমায়ুন কবীর দাদার বাড়িতে ছিল দুপুরের লাঞ্চ,  দশটার দিকে বেরিয়ে পড়ি প্রায় বারোটা নাগাদ পৌঁছালাম দাদার বাড়িতে। কি আর বলবো এই রাজভোগ বৌদি খুব পাকা রাঁধুনিই বটে, প্রতিটা তরি তরকারী সুস্বাদু,  কি আপ্যায়ন গোটা হুমায়ুন পরিবারের দেখে প্রাণিত হলাম, না দেখলে বিশ্বাস হবে না, সম্পর্ক এমন একটি বস্তু দেখানোর মতো কিছু নয় শুধুই অনুধাবন করা, হুমায়ুন দাদার মতো একজন অমায়িক মানুষ কতটা স্বজ্জ্বনপ্রিয় উনার সাথে সম্পর্ক না হলে বুঝার ক্ষমতা কারো নেই। আমি থাকি শিলচরে অথচ দাদার স্নেহময়তা আমাকে ভাবিয়ে তোলে। মানুষ সব কিছুই অর্জন করে টাকা কড়ি সোনা দানা, কিন্তু প্রকৃত মনুষ্যত্ববোধ কজন অর্জন করে। দাদার সঙ্গে সাহিত্য চর্চার সুবাদে
পরিচয় অনলাইন থেকেই, মনে হয় উনি আমার কোনো জন্মের পূজনীয় দাদা ছিলেন তাই এই জন্মে উনার সাথে আবার পরিচয় হল, এই অমায়িক মানুষ আমাকে কাঁদিয়ে ফেলেন এত স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে। আমার সহযোগী যারা ছিলেন সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছেন। ফেরার পথে দাদা বৌদি অনেকগুলো বই ও নানা উপহার সামগ্রী তুলে দিলেন আমাদের হাতে।
প্রায় দুটোর দিকে বেরিয়ে পড়ি কারণ আরেকটা অনুষ্ঠানে আমি ছিলাম বিশেষ অতিথি, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে।  পথে পেলাম হাতিরঝিল, দুমিনিট ওলার বন্ধ করে কয়েকটা ছবি তুললাম।কি অপূর্ব লেইকটা। দাদা খুব বলেছিলেন সোনারগাঁও নিয়ে যাবেন, কিন্তু সময়ের অভাবে এবার আর ঢাকা ঘুরে দেখা হল না। তবে প্রত্যাশা রইল আবার যাবো এই স্বপ্নময় ঢাকা দেখতে।
সময়ের অভাবে  প্রিয় দেশ দেখা হল না, তবে প্রতিদিন  আমার সোনার বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য প্রার্থনা করি যেন দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সৌন্দর্য ও সৌর্হাদ্য বৃদ্ধি হোক।
ভালো থেকো বাংলাদেশ আমার প্রিয় মুখগুলো।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:২৮:২৮   ৮৪৬ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

সাহিত্য’র আরও খবর


সাধক কবি রামপ্রসাদ সেন: স্বপন চক্রবর্তী
ড. গোলসান আরা বেগমের কবিতা “আমি তো গাঁয়ের মেয়ে ”
৫০ বছরের গৌরব নিয়ে জাবির বাংলা বিভাগ বিশাল ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’ উৎসব আয়োজন করেছে
অধ্যক্ষ ড. গোলসান আরা বেগমের কবিতা- ‘তোমার খোঁজে ‘
অতুলপ্রসাদ সেন: ৩য় (শেষ ) পর্ব-স্বপন চক্রবর্তী
অতুলপ্রসাদ সেন;পর্ব ২-স্বপন চক্রবর্তী
অতুলপ্রসাদ সেন-স্বপন চক্রবর্তী
অধ্যক্ষ ড. গোলসান আরা বেগমের কবিতা ” যাবে দাদু ভাই ?”
বাদল দিনে- হাসান মিয়া
ইমাম শিকদারের কবিতা ‘ছোট্ট শিশু’

আর্কাইভ