স্টাফ রিপোর্টার বঙ্গ-নিউজঃসুনামগঞ্জের দুর্গম জনপদ মধ্যনগর থানার বংশীকুন্ডা উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ বংশীকুন্ডা, নিশ্চিন্তপুর, বাট্টা, দক্ষিণউড়া, ঢুলপুশি, হামিদপুর চৌরাস্তা,মহেষখলা, জামালপুর, কার্তিকপুর, হোসেনপুর, সাউদপাড়া গ্রামে আজ শুক্রবার (১ নভেম্বর)বিদ্যুৎ সংযোগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন সুনামগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। ১৩ গ্রামের ৩ হাজার ৪৮৯ জন গ্রাহক পল্লী বিদ্যুতের সেবার আওতায় আসবে। ৪৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এ লাইন ৭ কোটি ৭০ লাখ ৮৬ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে ২,৯৪৫ জন আবাসিক, ৪৯০ টি বাণিজ্যিক, শিল্প ১৮টি,অগভীর নলকূপ ১৩ টি ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান ২৩ টি বিদ্যুৎ পরিসেবার মধ্যে অর্ন্তভুক্ত হবে। নেত্রকোণা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অধীনে এসব গ্রামে বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে বংশীকুন্ডা মমিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মঞ্জুরুল হকের সভাপতিত্বে আওয়ামীলীগনেতা সামিউল কিবরিয়ার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিবুল কিবরিয়া তালুকদার। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সদস্য সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকন, মধ্যনগর থানা যুবলীগের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর শহীদ আজাদ,কুতুব উদ্দিন তালুকদার,মোবারক হোসেন তালুকদার,মধ্যনগর থানা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক বিদ্যুৎ কান্তি সরকার প্রমুখ।
এহসান বিন মরতুজ ছাত্রলীগ নেতা জাকির হোসেন সহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,স্বেচ্ছা সেবকলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম রতন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে যখন উন্নয়ন হচ্ছে আরেকটি মহল তখন ষড়যন্ত্র করছে। আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে জনগনকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। আমি সাধারণ কৃষক পরিবারের সন্তান জনগনের ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি তা তাদের সহ্য হচ্ছে না। তাই একটি কুচক্রী মহল আমার নামে বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে। জনগণ সঙ্গে থাকলে অপবাদ ও অপপ্রচার করে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। রাজনীতি করতে হলে মাঠে আসতে হবে ঢাকায় বসে ষড়যন্ত্র করে রাজনীতি করা যাবে না। এই এলাকার জনগন আমাকে ভালোবাসে আওয়ামীলীগকে ভালোবাসে। আজ প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় দূর্গম এলাকায় বিদ্যুতের আলো পৌছে দেয়া হয়েছে। এই এলাকার সেতু গুলোর নির্মান কাজ শেষ হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে। ধান শুকানোর জন্য মুজিব কেল্লা ও হাওরের ধান পরিবহনের জন্য সাবমার্জিবল সড়ক নির্মাণ করা হবে। হাওরের বুকে ফ্লাইঅভার নির্মাণ করে জেলা সদরের সঙ্গে সংযোগের ব্যবস্থা করা হবে। কোন ষড়যন্ত্র আমাকে দাবিয়ে রাখতে পারবেনা। কুচক্রি মহল বিরোধ বিভেদ সৃষ্টি করে নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে চায়। তারা অপপ্রচার করে জনগনের কাছে যেতে চায় কিন্তু সেটা ভুল নীতি। সমাজের ঘৃণ্যলোকেরা বিভেদ বিরোধের রাজনীতি করে। যারা অপপ্রচার করেছেন তারা কি জানেন আমার সন্তান যখন এ বিষয়ে প্রশ্ন করে তাদের কোন উত্তর দিতে পারি না। আমি জমিদারের সন্তান নই সাধরণ কৃষকের সন্তান এমপি এটাই তাদের সহ্য হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৩৮:৩৯ ৮৪০ বার পঠিত