বঙ্গ-নিউজঃ বাংলাদেশের সকল সরকারি ও আধা-সরকারি অফিস এবং স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাসমূহে ২০২০সালে ছুটি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার।
সাধারণ ছুটিসমূহ হচ্ছে- ২১ ফেব্রুয়ারি, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস; ১৭ মার্চ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস; ২৬ মার্চ, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস; ১ মে, মে দিবস; ৬ মে, বুদ্ধ পূর্ণিমা; ২২ মে, জুমাতুল বিদা; ২৫ মে, ঈদ-উল-ফিতর; ১ আগস্ট, ঈদ-উল-আযহা; ১১ আগস্ট, শুভ জন্মাষ্টমী; ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস; ২৬ অক্টোবর, দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী); ৩০ অক্টোবর, ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.); ১৬ ডিসেম্বর, বিজয় দিবস; ২৫ ডিসেম্বর, যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড় দিন) সহ মোট ১৪ দিন।
নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটিসমূহ হচ্ছে- ৯ এপ্রিল, শব-ই-বরাত; ১৪ এপ্রিল নববর্ষ; ২১ মে, শব-ই-ক্বদর; ২৪ ও ২৬ মে, ঈদ-উল-ফিতর (ঈদের পূর্বের ও পরের দিন); ৩১ জুলাই ও ২ আগস্ট, ঈদ-উল-আযহা (ঈদের পূর্বের ও পরের দিন); ৩০ আগস্ট, আশুরা-সহ মোট ৮ দিন।
ঐচ্ছিক ছুটি (মুসলিম পর্ব)সমূহ হচ্ছে- ২৩ মার্চ, শব-ই-মিরাজ; ২৭ মে, ঈদ-উল-ফিতর (ঈদের পরের ২য় দিন); ৩ আগস্ট, ঈদ-উল-আযহা (ঈদের পরের ২য় দিন); ১৪ অক্টোবর, আখেরি চাহার সোম্বা; ২৭ নভেম্বর, ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম-সহ মোট ৫ দিন।
ঐচ্ছিক ছুটি (হিন্দু পর্ব) সমূহ হচ্ছে- ২৯ জানুয়ারি, শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা; ২১ ফেব্রুয়ারি, শ্রী শ্রী শিবরাত্রি ব্রত; ৯ মার্চ, শুভ দোলযাত্রা; ২২ মার্চ, শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব; ১৭ সেপ্টেম্বর, শুভ মহালয়া।
আরও পড়ুন: হেলিকপ্টার শো দিয়ে শুরু হবে ইডেন টেস্ট
২৫ অক্টোবর, শ্রী শ্রী দুর্গাপূজা (নবমী); ৩০ অক্টোবর, শ্রী শ্রী লক্ষ্মী পূজা; ১৪ নভেম্বর, শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা-সহ মোট ৮ দিন।
ঐচ্ছিক ছুটি (খ্রিস্টান পর্ব) সমূহ হচ্ছে- ১ জানুয়ারি, ইংরেজি নববর্ষ; ২৬ ফেব্রুয়ারি ভস্ম বুধবার; ৯ এপ্রিল, পুণ্য বৃহস্পতিবার; ১০ এপ্রিল, পুণ্য শুক্রবার; ১১ এপ্রিল, পুণ্য শনিবার; ১২ এপ্রিল, ইস্টার সানডে; ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর, যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড় দিনের পূর্বের ও পরের দিন)-সহ মোট ৮ দিন।
ঐচ্ছিক ছুটি (বৌদ্ধ পর্ব)সমূহ হচ্ছে- ৮ ফেব্রুয়ারি, মাঘী পূর্ণিমা; ১৩ এপ্রিল, চৈত্র সংক্রান্তি; ৪ জুলাই, আষাঢ়ি পূর্ণিমা; ২ সেপ্টেম্বর, মধু পূর্ণিমা (ভাদ্র পূর্ণিমা); ১ অক্টোবর, প্রবারণা পূর্ণিমা (আশ্বিনী পূর্ণিমা)-সহ মোট ৫ দিন।
ঐচ্ছিক ছুটি (পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে কর্মরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের জন্য) সমূহ হচ্ছে- ১২ ও ১৫ এপ্রিল, বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসমূহের অনুরূপ সামাজিক উৎসব-সহ মোট ২ দিন।
উল্লেখ্য, চাঁদের সাথে সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় ছুটির তারিখ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। একজন কর্মচারী তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক মোট ৩ (তিন) দিন ঐচ্ছিক ছুটি ভোগের অনুমতি পেতে পারেন এবং প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত ৩ (তিন) দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সাথে যুক্ত করে ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেয়া যেতে পারে।
যে সকল অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে অথবা যে সকল অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার কর্তৃক অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ঘোষণা করবে। এর আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৩০ অক্টোবর এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। বাসস
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৩:৫৪ ৯৩৮ বার পঠিত # #ছুটির #বাংলাদেশ #সরকারি