স্টাফ রিপোর্টার বঙ্গ-নিউজঃঃসুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে।এরই মধ্যে তুখোর ও বর্ষীয়ান আওয়ামীলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন নুরী কে একক আহবায়ক করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ। আগামী ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় এই সম্মেলন ঘিরে চলছে নানা সমীকরণ। এই সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়েই যত আলোচনা।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে সভাপতি পদ নিয়ে আলোচনায় সেভাবে আগ্রহ দেখা না গেলেও সাধারণ সম্পাদক নিয়ে নানামুখী আলোচনা চলছে। থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য একাধিক নেতা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত তাদের সক্রিয় দেখা যাচ্ছে নেতাকর্মীদের।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের প্রথম দিকে আবদুল হক শাহকে সভাপতি ও সুকেশ রঞ্জন তালুকদারকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা আওয়ামী লীগ। পরবর্তীতে ২০০১ সালে আবদুল আউয়াল তালুকদারকে আহ্বায়ক করে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি প্রয়াত আব্দুজ জহুর ও সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আইয়ুব বখত জগলুল একটি আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন।পরে আবার ২০০৮ সাল থেকে বারবার আহবায়ক কমিটি হলেও অদ্যবধি কোনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি।
এইদিকে সাধারন সম্পাদক পদপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে আছেন একাধিক প্রার্থী। মোবারক হোসেন তালুকদার, প্রবীর বিজয় তালুকদার,মাহবুবুল আলম ফারুকী,পরিতোষ সরকার,শেখ মোহাম্মদ আলী হোসেন এবং শামীম আহমেদ।
মোবারক হোসেন তালুকদার প্রতিবেদকে জানান,আমি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে আসছি। আমাদের মধ্যনগর তৃণমূল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের ইচ্ছায় আগামী ৩১ শে অক্টোবরের সম্মেলনে মধ্যনগর থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী।এতে আমি জেলা আওয়ামীলীগ সহ তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সমর্থন ও দোয়া প্রত্যাশী।
প্রবীর বিজয় তালুকদার বলেন, আসন্ন মধ্যনগর থানা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে আমি সাধারন সম্পাদক পদপ্রত্যাশী।মুজিব আদর্শের চেতনায় বিগত ইউপি নির্বাচনে মধ্যনগর সদরে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছেন জনগণ আমাকে ভালোবেসে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছে। বিগত দিন থেকেই ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব হিসেবে আমি মধ্যনগর থানা আওয়ামীলীগের সদ্য সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলাম।মধ্যনগর থানা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে কাউন্সিলিংয়ের মধ্য দিয়ে আশা রাখি তৃণমূল নেতাকর্মীর ভালবাসায় এবং জেলা আওয়ামীলীগের সুদৃষ্টিতে আমি সাধারন সম্পাদক হিসেবে মনোনিত হব।
শেখ মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতি আমার অস্তিত্বে, শিরা উপশিরায় মিছে আছে।সেই ছাত্রজীবন থেকেই আমি রাজনীতির সাথে সংযুক্ত। মুজিব আদর্শের রাজনীতি করার কারনে ২০০৬ সালে আমি কারাববন করেছি।যাহোক আগামী ৩১ অক্টোবরের সম্মেলনে আমি একজন তরুন নেতৃত্ব হিসেবে মধ্যনগর থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী।আমি বিশ্বাস করি নেতাকর্মীদের আস্থা ও ভালোবাসা আমার সাথে আছে।
এছাড়াও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি থেকে অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী বাদ পড়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের একটি সূত্র জানায়, তারা আগামী দিনে মধ্যনগর থানা আওয়ামীলীগের কমিটিতে এমন কিছু নেতৃত্ব চান।যারা ত্যাগী এবং বিগত দিনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতি করেও দলীয় কোনো পদ-পদবী থেকে বঞ্চিত ছিল।যাদের জনপ্রিয়তা বেশী তারাই ঐ কমিটিতে স্থান পাবে।বিশেষ যাতে কোনো কোনো জামাত-বিএনপি থেকে অনুপ্রবেশকারী কমিটি না ঢোকতে পারে সেই দিকে খেয়াল রেখে আগামী ৩১ অক্টোবরের সম্মেলনে একটি সুন্দর, সাবলীল কমিটি গঠন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:০১:৩৯ ১১৮৬ বার পঠিত #মধ্যনগর থানা আ.লীগ