বঙ্গ-নিউজঃ বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়লে জলাবদ্ধতাও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্নিষ্টরা। কিন্তু এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তির জন্য বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মন্ত্রী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। কিন্তু কেউ কথা রাখেনি। গত শুক্রবারই ভারি বর্ষণে ঢাকার বহু অঞ্চল জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। স্থবির হয়ে যায় সার্বিক নাগরিক জীবন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী থাকাকালে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর হোটেল সোনারগাঁওয়ে একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, আগামী বছর (২০১৮ সাল) রাজধানীতে জলাবদ্ধতা হবে না। গত বছরও রাজধানীতে জলাবদ্ধতা হলে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আগামী বছর (২০১৯ সাল) আর রাজধানীতে জলাবদ্ধতা হবে না। গত ১ ফেব্রুয়ারি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ডিএনডি এলাকার পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা পরিদর্শনকালে ঘোষণা দেন, ‘এবার রাজধানীতে জলাবদ্ধতা হবে না।’ শুধু মন্ত্রীরাই নন, ঢাকার জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য নিয়োজিত প্রধান সংস্থা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান গত ২৮ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিশ্রুতি দেন, ‘ঢাকায় আর জলাবদ্ধতা হবে না।’ সরকারের এই দায়িত্বশীল গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা কেউই কথা রাখেননি।
মুষলধারে বৃষ্টি হলেই ঢাকাবাসীর আর রক্ষা নেই। গত শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে হাঁটুপানি জমে যায়। নিদারুণ দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। বিশেষজ্ঞরা সমকালকে জানান, চলতি বর্ষা মৌসুমে রাজধানীতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার আশঙ্কা রয়েছে। মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় পানি নিস্কাশন ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। গত কয়েক দিনেও তার নমুনা পাওয়া গেছে। মাঝারি বর্ষণেই রাজধানীর অনেক এলাকায় তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে ভারি বৃষ্টিপাত হলে জলাবদ্ধতা যে ভয়াবহ রূপ নেবে এতে কারও সন্দেহ নেই। বিষয়টি অস্বীকার করছেন না ওয়াসা ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারাও। যদিও তারা নাম প্রকাশ করে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হচ্ছেন না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন গতকাল শনিবার সমকালকে বলেন, ‘তখন বলেছিলাম, আমি যে কাজ করেছি, তাতে রাজধানীতে পানি জমলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পানি সরে যাবে। জলাবদ্ধতা হবে না। এখন বৃষ্টি বেশি হলে তো জলাবদ্ধতা হবেই। আমি যখন মন্ত্রী ছিলাম, তখন খালগুলো পরিস্কার করেছিলাম। দুটো প্রকল্প পাস করে দিয়েছিলাম। সেভাবে ওয়াসা কাজ করলে জলাবদ্ধতা হওয়ার কথা না। আমি চলে আসার পর মনে হয় ওয়াসা আর কোনো কাজ করেনি। আসলে সমস্যাটা অন্য জায়গায়। ওয়াসা ও সিটি করপোরেশন একজন আরেকজনের ওপর দায় চাপায়। ওয়াসার ড্রেনেজ সার্কেলকে সিটি করপোরেশনের হাতে ন্যস্ত করার জন্য আমি চেষ্টা করেছিলাম। সেটাও হয়নি। এ অবস্থায় ওয়াসা যদি খালগুলো পরিস্কার রাখে, তাদের কাজগুলো ঠিকমতো করে, তাহলে এবার জলাবদ্ধতা কম হওয়ার কথা।’
ঢাকা ওয়াসা ও দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা সমকালের কাছে দাবি করেন, জলাবদ্ধতায় যাতে দুর্ভোগ না হয় সেজন্য এবার সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ড্রেনের উপরিভাগে কিছুটা পরিস্কার করা হয়েছে। শান্তিনগর, গুলশান, বনানী, বারিধারা ও কুড়িল এলাকায় ড্রেনেজ সিস্টেমের আধুনিকায়ন করা হয়েছে। খিলক্ষেত এলাকার সাড়ে তিন কিলোমিটার ও প্রগতি সরণির মালিবাগ পর্যন্ত এলাকায় নতুন ড্রেন করা হয়েছে। আধুনিক ড্রেন করা হয়েছে মিরপুরের কিছু এলাকায়। উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে কাজ চলমান। তবে অন্য এলাকায় তেমন কোনো কাজ হয়নি। তারা আরও জানান, তবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ চলায় বিমানবন্দর সড়কের আর্মি স্টেডিয়াম থেকে কাকলী পর্যন্ত থাকা প্রাকৃতিক জলাধার মাটি ফেলে সম্পূর্ণ ভরাট করে ফেলা হয়েছে। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই ওই এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়ছে। সবচেয়ে বড় আশঙ্কার বিষয় হলো, কুড়িল থেকে পূর্বাচল খাল খননের কাজ এখনও শেষ হয়নি। ফলে কুড়িল এলাকার পানি খালে প্রবেশের কোনো প্রশস্ত চ্যানেল নেই। ভারি বৃষ্টিপাত হলে ওই এলাকাও ডুববে। ইতিমধ্যে সেই নমুনা পাওয়া গেছে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী একেএম শরিফ উদ্দিন বলেন, প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক প্রথম থেকেই জলাবদ্ধতার ব্যাপারে খুব সচেতন ছিলেন। বর্তমান মেয়রও এ বিষয়ে সচেতন। ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনের যাবতীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে খালগুলো পরিস্কার রাখা খুবই প্রয়োজন। আর উন্মুক্ত ড্রেন দিয়ে পানি যাতে স্টর্ম স্যুয়ারেজে প্রবেশ করতে পারে, সেটা দেখার দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার।
জানা যায়, বিদ্যমান ড্রেনেজ ব্যবস্থায় ঘণ্টায় ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলে সেই পানি সরতে সময় লাগবে তিন ঘণ্টা। ৫০ মিলিমিটার হলে চার ঘণ্টা। তবে ৭০ মিলিমিটার হলে লাগবে অন্তত ১০ ঘণ্টা। ভরা বর্ষা মৌসুমে ঘণ্টায় ৭০ মিলিমিটারের অধিক বৃষ্টিপাত হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। কাজেই তখন ১০ ঘণ্টার জলাবদ্ধতা তৈরি হবে নগরীতে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ঘণ্টায় ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত না হলেও অনেক স্থানেই ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মতিঝিল, আরামবাগ, সেগুনবাগিচা, কাকরাইলসহ আশপাশের ১০ দশমিক ৯২ বর্গকিলোমিটার এলাকার পানি টিটিপাড়া পাম্প হাউস দিয়ে মানিকনগর খালে পড়ে। সেখানে তিনটি পাম্প রয়েছে। কিন্তু ভারি বৃষ্টিপাতের সময় এই পাম্প দিয়েও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা সম্ভব না। এ ছাড়া শাজাহানপুর খালে একটি পাম্প হাউস স্থাপন করা প্রয়োজন। কিন্তু ওয়াসা পাম্পের সক্ষমতা বাড়ায়নি। পাম্পের সংখ্যা না বাড়ালে জলাবদ্ধতার নিরসন হবে না। মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, বর্ষাকালে ঢাকার আশপাশের পানির স্তর শহরের চেয়ে উঁচু হয়ে যায়। তখন পানি নিস্কাশনও কঠিন হয়ে পড়ে। খিলগাঁও, বাসাবো, সবুজবাগ এলাকা অনেকটাই অরক্ষিত। পূর্বাঞ্চলের পানির উচ্চতা বেড়ে গেলে ওইসব পয়েন্ট দিয়ে নগরীতে পানি প্রবেশ করলে তখন ঢাকা শহরের অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সমকালের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, জলাবদ্ধতা নিরসনে রাজধানীর দুই প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়হীনতা এবার আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। কারণ ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে সিটি করপোরেশনের হাতে ন্যস্ত করার জন্য ওয়াসা বারবার অনুরোধ করছে। বিপরীতে সিটি করপোরেশন ড্রেনেজ নামক ‘পঙ্গু সন্তান’কে নিতে অনীহা প্রকাশ করে যাচ্ছে। এমন অবস্থার মধ্যে ওয়াসাও ড্রেন-খাল পরিস্কার না করে হাত গুটিয়ে বসে আছে। বর্ষা মৌসুম শুরু হলেও ড্রেন, বক্স কালভার্ট ও খাল পরিস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অথচ এসব কাজ বর্ষা মৌসুমের অন্তত ছয় মাস আগে শুরু করার কথা। ড্রেন নিয়ে এই টানা-হেঁচড়ার কারণে সেটা থমকে আছে।
রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিয়ে গবেষণা করা বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন সিপ ইন্টারন্যাশনালের ‘জার্নি টুওয়ার্ডস ডিসাস্টার রেজিস্ট্যান্ট ঢাকা সিটি’ প্রকল্পের সমন্বয়ক সাইফুন নাহার সমকালকে বলেন, রাজধানীর জলাবদ্ধতার মতো বড় সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে যেভাবে সিটি করপোরেশন এবং ওয়াসাকে যৌথভাবে প্রকল্প গ্রহণ করতে হয়, এখনও পর্যন্ত সেটা করা হয়নি। সিটি করপোরেশনের কাছে জানতে চাইলে তারা বলে জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার। ওয়াসার কাছে জানতে চাইলে তারা বলে সিটি করপোরেশন দেখবে। এমন অবস্থার মধ্যে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম এলেই ভোগান্তিতে পড়ছেন নগরবাসী।
নেপথ্য কারণ : ওয়াসার অভিযোগ, ‘সিটি করপোরেশন উন্মুক্ত ড্রেনগুলো পরিস্কার রাখে না।’ আর সিটি করপোরেশন বলে, ‘ওয়াসা বক্স কালভার্ট ও স্টর্ম স্যুয়ারেজ ড্রেন পরিস্কার রাখে না। পরিস্কারের নামে প্রকৌশলী-ঠিকাদাররা টাকা লুটে নেয়।’
এই পাল্টাপাল্টি অভিযোগের এক পর্যায়ে ২০১৭ সালের বর্ষা মৌসুমে ঢাকার দুই মেয়র আনিসুল হক ও সাঈদ খোকন ওয়াসাকে তীব্রভাবে কটাক্ষ করেন। ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে সিটি করপোরেশনের হাতে ন্যস্ত করার কথা বলেন। কিন্তু সিটি করপোরেশন ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে পঙ্গু সন্তানের সঙ্গে তুলনা করে তা নিতে অস্বীকার করে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র প্রয়াত আনিসুল হক স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন কোনো পঙ্গু সন্তানকে তিনি ভালো করার দায়িত্ব নেবেন না। পঙ্গু সন্তানকে সুস্থ করে দিলেই দায়িত্ব নিতে রাজি আছেন। এ অবস্থায় তৎকালীন এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন দুই সিটি করপোরেশন ও ঢাকা ওয়াসার শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন। তার পরও সমস্যার সমাধান হয়নি। সেই থেকে ওয়াসাও স্টর্ম স্যুয়ারেজ ড্রেন ও বক্স কালভার্ট পরিস্কার থেকে বিরত রয়েছে।
আইনেও জটিলতা : ১৯৯৬ সালের পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিস্কাশন কর্তৃপক্ষ আইনের ১৭ ধারায় বলা আছে, ঢাকা ওয়াসা পানি নিস্কাশনের জন্য বড় ড্রেন নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও খাল দেখভাল করবে। অন্যদিকে, সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯-এর তৃতীয় তফসিলে বলা হয়েছে, ছোটখাটো নালা, ড্রেন নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে সিটি করপোরেশন। এই আইনের সুযোগে তারা পরস্পরের ওপর দোষ চাপিয়ে যাচ্ছে। এবার ওয়াসা খাল খনন ও বর্জ্য অপসারণ থেকেও পিছু হটেছে। যেখানে প্রতি বছর অক্টোবর মাস থেকেই ওয়াসা বক্স কালভার্ট ও স্টর্ম স্যুয়ারেজ ড্রেন পরিস্কারের ফাইলপত্র প্রক্রিয়াকরণের কাজ শুরু করে, এবার কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। পানি নিস্কাশনের জন্য ওয়াসার ড্রেনেজ সার্কেলের যে শ’ দেড়েক জনবল রয়েছে, তারাও বসে বসে বেতন নিচ্ছেন। এদিকে বক্স কালভার্টের ভেতরটা ইতিমধ্যে ভরাট হয়ে গেছে। ফলে পানি নিস্কাশিত হতে পারছে না।
জানা গেছে, রাজধানীতে প্রায় ১০ কিলোমিটার বক্স কালভার্ট রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে সাড়ে তিনশ’ কিলোমিটার স্টর্ম স্যুয়ারেজ লাইন। এ দুটি মাধ্যমেই বৃষ্টির পানি বিভিন্ন জলাশয়, খাল বা নদীতে পড়ে। এগুলো দেখভাল করে ঢাকা ওয়াসা। এ ছাড়া ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের রয়েছে ২ হাজার ৫১ কিলোমিটার উন্মুক্ত (সারফেস) ড্রেন। মূলত বৃষ্টির পানি ওই সারফেস ড্রেন দিয়ে বক্স কালভার্ট বা স্টর্ম স্যুয়ারেজ লাইনে প্রবেশ করে। স্টর্ম স্যুয়ারেজ লাইন বা বক্স কালভার্ট দিয়ে সরাসরি সেই পানি নিচু জলাশয়ে গিয়ে জমা হয়। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারণে এবারও অবস্থা বিগত বছরের মতো হওয়ার আশঙ্কা।
জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যর্থ হলেও ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান কিছুদিন আগে সমকালকে জানান, জলজট নিরসনে কিছু পদক্ষেপ তিনি নিয়েছেন। এগুলোর মধ্যে আছে ১৭টি খালের ৩০ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন, ৩০০ কিলোমিটার স্টর্ম ওয়াটার পাইপ ড্রেন পরিস্কার-মেরামত, ৭০০টি ক্যাচপিট নির্মাণ ও আধুনিকায়ন, ১২টি ম্যানহোল নির্মাণ, সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্টের ময়লা অপসারণ, চারটি স্থায়ী পাম্প রক্ষণাবেক্ষণ ও ১৫টি অস্থায়ী পাম্প স্থাপন। এসব কাজের ফিরিস্তি দিয়ে তিনি বলেন, ‘ফলে ভারি বৃষ্টিপাত হলেও জলাবদ্ধতা হবে না। কিছু সময় পরই পানি নেমে যাবে। আর জলাবদ্ধতা নয়, কিছুটা জলজট হতে পারে।’ কিন্তু গত শুক্রবারই নগরবাসী সেই জলাবদ্ধতার শিকারে পরিণত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৩৫:৩৬ ৭২৫ বার পঠিত #জলাবদ্ধতা #ঢাকা #বর্ষাকাল #বৃষ্টি #রাজধানী