বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র নির্বাচনে উৎসবের আমেজে শুরু হয়েছে ভোট।এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ৮টায় নির্ধারিত সময়েই ৩৯২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
আয়তনের দিক দিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় এ সিটি কর্পোরেশনের সোয়া ১০ লাখ ভোটার ছয় জন প্রার্থীর মধ্যে থেকে তাদের প্রথম মেয়র বেছে নিতে ভোট দিচ্ছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সব প্রস্তুতেই নেয়া হয়েছে। ভোটের শুরুতে কোথাও কোনো গোলোযোগের খবর পাওয়া যায়নি।
সব ভোট কেন্দ্রে শুক্রবারই ভোটের সরঞ্জাম পৌঁছে দেয়া হয়। নির্বিঘ্নে ভোট অনুষ্ঠানে মোতায়েন করা হয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ১১ হাজারেরও বেশি সদস্য।
আগের নির্বাচনগুলোর মতো এবারো বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ এবং কারচুপির আগাম আশঙ্কা প্রকাশ করে সেনা মোতায়েনের দাবি জানালেও নির্বাচন কমিশন তা আমলে নেয়নি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, সেনা মোতায়েনের মতো কোনো পরিস্থিতি গাজীপুরে হয়নি। সবকিছু মিলিয়ে গাজীপুরে নির্বাচনের ‘ইতিবাচক’ পরিবেশ রয়েছে বলেই তিনি মনে করছেন।
শনিবার নির্বাচনী এলাকায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনের কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে সিটি কর্পোরেশন এলাকার সব পোশাক কারখানা।
গত মাসে চার সিটি কর্পোরেশনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের জয়ের পর গাজীপুর নির্বাচন নিয়েও আত্মবিশ্বাসী ১৮ দলীয় জোট নেতারা। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে গাজীপুরে জয়ের মধ্য দিয়ে তারা নিজেদের অবস্থান আরো শক্ত করে নিতে চান।
তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও গাজীপুরে দীর্ঘদিনের অবস্থান ধরে রাখতে মরিয়া। বিগত পৌরসভা ও সংসদীয় নির্বাচনগুলোতে গাজীপুরে জয় পেয়ে আসছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। আর গাজীপুর নিবাচন নিয়ে শুরু থেকে দ্যোদুল্যমান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদও শেষ মুহূর্তে ১৪ দল সমর্থিত প্রার্থীকে সমর্থন দেয়ায় আওয়ামী লীগ অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী।
এমন রাজনৈতিক মেরুকরণের ফলে মেয়র পদের ছয় প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আজমত উল্লা খান ও বিএনপি সমর্থিত এম এ মান্নানকে নিয়েই মূল আলোচনা। জয়ের ব্যাপারে পুরো মাত্রায় আশাবাদী থাকার কথা বলেছেন দুজনেই।
১৯৯৫ সাল থেকে টঙ্গী পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালন করে আসা আজমত সিটি নির্বাচনে লড়ছেন দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে। আর ১৯৯১ সালে গাজীপুর সদর থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে বিএনপি সরকারের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা মান্নানের প্রতীক টেলিভিশন।
এছাড়া আমান উল্লাহ তালা প্রতীক, ডা. নাজিম উদ্দিন আহমেদ ঘোড়া নিয়ে, মো. মেজবাহ উদ্দিন সরকার রুবেল হাঁস নিয়ে, রিনা সুলতানা প্রজাপতি এবং জাহাঙ্গীর আলম আনারস প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন।
গাজীপুরের ৫৭ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৫৬ জন এবং সংরক্ষিত ১৯ কাউন্সিলর পদে ১২৮ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারসহ সাত হাজারেরও বেশি নির্বাচনী কর্মকর্তা গাজীপুরে ভোটের দায়িত্বে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ৮:২৭:০৭ ৪৬৫ বার পঠিত