গাংনীতে গ্রীষ্মকালীন ফুলকপির বাম্পার ফলন

Home Page » বিবিধ » গাংনীতে গ্রীষ্মকালীন ফুলকপির বাম্পার ফলন
বুধবার, ৩ জুলাই ২০১৩



67811.jpgচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি কাঞ্চন : মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার দু টি মাঠে এবারে গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি আবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। অসময়ে কপি বাজারে আসায় যেমনি এর ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে তেমনি বেশি লাভের কারণে গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি আবাদের দিকেই নজর দিচ্ছেন কৃষকরা। কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, এভাবে সময় বুঝে সবজি চাষ করলেই ব্যাপক লাভের পাশাপাশি সবজি নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পাবেন কৃষকেরা।
মেহেরপুর জেলার প্রায় সব গ্রামেই কমবেশি সবজির আবাদ হলেও গাংনী উপজেলার সাহারবাটি সবজি গ্রাম হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এখানকার কৃষকদেরকে বলা হয়ে থাকে আধুনিক সবজি চাষি। নিত্য নতুন সবজি জাত আবাদের মাধ্যমে সফলতার পর তা ছড়িয়ে পড়ে অন্য গ্রামের চাষিদের মাঝে। এরই ধারাবাহিকতায় সাহারবাটি গ্রামের মাঠে চলতি মরসুমে প্রায় ২০ একর জমিতে গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি আবাদ হয়েছে। গত বছর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এই কপি চাষ করছেন সাহারবাটি গ্রামের কৃষক তহসিন আলী। এবারে তিনি ১০ কাঠা জমি চাষে মাত্র ৬ হাজার টাকা খরচে কপি বিক্রি করেছেন ২২ হাজার টাকায়। তিনি জানালেন, চৈত্র মাসের শেষের দিকে কপি চারা রোপনের পর ৫০ দিনের মাথায় উত্তোলন সম্ভব হয়েছে। সামার ড্রাগন জাতের এ ফুলকপি নির্দিষ্ট সময়েই উত্তোলন করা যাচ্ছে। একই ক্ষেতে বছরে দু থেকে তিন বার আবাদ করা সম্ভব বলে জানালেন কৃষকরা। একই মাঠে পার্শ্ববর্তী গাড়াডোব গ্রামের চাষিরাও ফুলকপির আবাদ করেছেন। সাহারবাটির গ্রামের চাষিরা বলছেন, ক্ষেত থেকেই ৫শ গ্রাম ওজনের একটি কপি বিক্রি হচ্ছে ১৭/১৮ টাকায়। স্থানীয় বাজারে কিছুটা কম দামে বিক্রি হলেও ঢাকার বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা। ঢাকার ব্যবসায়ীরা ক্ষেত থেকে ক্রয় করছেন আবার চাষিরাও নিজ উদ্যোগে ঢাকায় নিয়ে কপি বিক্রি করছেন। শীতকালীন কপির চেয়ে গ্রীষ্মকালীন কপি চাষে কম খরচ ও বেশি লাভ পাওয়া যাচ্ছে। তবে বৃষ্টিতে কিছু কিছু ক্ষেতে পচনও ধরেছে। পচনরোধে চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছে গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাজেদুল ইসলাম বলেন, শুধুমাত্র শীতকালে ব্যাপকভাবে সবচি চাষ করায় অনেক সময় চাষিরা নায্যমূল্য থেকে বঞ্ছিত হচ্ছেন। কোন সময় দাম বেশি পাওয়া যায় সে বিবেচনা করে যদি চাষিরা সাহারবাটি গ্রামের চাষিদের মতো এভাবে সবজি আবাদ করতেন তাহলে একদিকে সবজির অপচয় হতো না অন্যদিকে চাষিদের নায্যমূল্যও নিশ্চিত হতো।

বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৫:১০   ৭৯০ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

বিবিধ’র আরও খবর


ইসলামী ব্যাংকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ, সরানো নিয়ে প্রশ্ন
১৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০৫ কোটি ৯৯ লাখ ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক
দেখা হবে কতো দিনে: রাধাবল্লভ রায়
মধ্যনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শেখ কামালের জন্মদিন পালন
দেশের ১৫ জেলায় ঝড়বৃষ্টির আভাস
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
ড. ইউনূসের মামলা বাতিল আবেদন শুনানি ১১ আগস্ট
সীমান্ত ভ্রমণের সাতটি দিন ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা ; পর্ব- ৩৪; স্বপন চক্রবর্তী
রোহিঙ্গা যুবক নুর বারেক আটক ,২০ লাখ টাকা উদ্ধার
ইসফাহান নেসফে জাহান

আর্কাইভ