বঙ্গ-নিউজ ডেস্কঃ- জমি সংক্রান্তের জের ধরে গাছের ডাল ভাগ করা নিয়ে মহিলাদের বেধড়ক মারপিটের ঘটনার অভিযোগের ভিত্তিতে থানা চত্বরের গোল ঘরে শালিশের সময়ে মুঠোফোনে রেকর্ড করার অনুমতি চাওয়ায় তদন্ত ওসি ইদ্রিস আলীর দ্বারা লাঞ্চনার শিকার হয়েছে একজন সাংবাদিক। রবিবার সন্ধ্যা সাতটায় গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানায় উপস্থিত থাকা পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর, উপজেলার ভাবড়াসুড় ইউনিয়নের বামনপাড়া গ্রামের অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত পক্ষদ্বয়ের সকলের সম্মুখে লাঞ্চনার শিকার হন ঐ সাংবাদিক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে লাঞ্চনার শিকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ সাংবাদিক বলেন, “আত্বীয়তার সূত্রে অভিযোগ দায়ের কারীর কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ জানার পরে, মুকসুদপুর থানার গোল ঘরে (শালিশ কক্ষ) প্রবেশ করে পরিচয় প্রদানের পর শালিশের উপযুক্ত বিচারের অনুরোধ জানিয়ে পরবর্তীতে সংবাদের সত্যতার স্বার্থে ডকুমেন্টরী হিসাবে শালিশের কথপকথন মুঠোফোনে রেকর্ডের মাধ্যমে সংরক্ষণ করার জন্য তদন্ত ওসিকে অবগত করে অনুমতি চাইলে, তিনি হঠাৎ রাগান্নিত কর্কশ কন্ঠে আমাকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন- আমি তদন্ত ওসি, আইনের কোথায় লেখা আছে আপনি রেকর্ড রাখতে পারবেন? আমি সমস্ত আইন জানি। বিনয়ের সাথে আমি (সাংবাদিক) তখন জানতে চাই, তাঁর ক্ষুব্ধ হয়ে রাগান্নিত কর্কশ কন্ঠে এমন প্রশ্ন করার কি কারণ। তিনি আমার কথা বোঝার চেষ্টা না করেই ক্রমান্বয়ে রাগান্নিত কন্ঠে আমার সাংবাদিকতা পেশার বয়স জানতে চান। উত্তরের অপেক্ষা না করেই তদন্ত ওসি হুমকি দিয়ে আমাকে তিনি দেখে নিবেন বলে আমার নাম, ঠিকানা জানতে চান। পরে আমি তাঁকে তার শ্রেনীর স্তর অনুযায়ী এমন আচরণ অপ্রত্যাশিত বলে প্রতিবাদ করলে তিনি আমাকে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। তাঁর আচরণের প্রতিবাদের ফলে উপস্থিত মহিলা কাউন্সিলর ও শালিশের জন্যে আসা পক্ষদ্বয়ের ব্যক্তিবর্গ হতাশা গ্রস্থ্য হয়ে গুঞ্জন শুরু করলে থানার মধ্যে থাকা অন্যান্য পুলিশ সদস্য এগিয়ে এসে তারা আমাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে ‘ভূয়া সাংবাদিক ও বেয়াদব’ বলে আক্ষা দেয়। এরই মধ্যে স্থানীয় সাংবাদিকদের ডেকে আমাকে সায়েস্তা করবে বলে হুমকি প্রদান করেন তদন্ত ওসি। বেশকিছু সময় পরে হায়দার হোসেন নামক একজন প্রবীণ সাংবাদিক এসে তদন্ত ওসির কথা শোনার পরে আমাকে তাঁর (সাংবাদিক হায়দার) ছোট ভাই স্বরুপ মেনে নিয়ে ‘সরি’ বলতে বলেন। আমার কথা শোনার পর আমার ভূলের জন্য ক্ষমা চাইব বলে অনুরোধ করলে, তিনি বলেন আমার কোন কথা তারা শুনবেন না তাঁরা শোনার জন্য আসে নাই। যে যা পারবে করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করে তারা বের হয়ে যান। পরে তাঁর সাথে কথা বলার জন্য আমিও গোল ঘর থেকে বের হয়ে যাই। এরপর বাদীর মাধ্যমে জানতে পারি বিবাদীকে ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটানোর জন্য মুচলেকা প্রদান করতে বলা হয় এবং বাদীকে শালিশের বিচার মেনে নিয়ে স্বাক্ষর করানো হয়েছে।” এ বিষয়ে মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সরকারী মোবাইল নাম্বারে মুঠোফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছেন মর্মে সাংবাদিকদের অবহিত করে। পুলিশ প্রশাষণের একজন অফিসারের এমন আচরণ কতটা প্রত্যাশিত? জাতীর বিবেক স্বরুপ একজন গণমাধ্যম কর্মীর পরিচয় প্রকাশিত হয় কি তাঁর লিখনীর দক্ষতার মাধ্যমে নাকি সুধুমাত্র বাহ্যিক পোষাক-পরিচ্ছদ, চেহারার গঠনের চাকচিক্য প্রদান করার মাধ্যমে? শুশীল সমাজের বিবেকবানদের কাছে ঐ সাংবাদিকের মর্মাহত হাহাকার চিত্বের আবেগ ঘণ এই প্রশ্ন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩৩:১৪ ৬৯৪ বার পঠিত #শালিশের রেকর্ড রাখতে তদন্ত ওসির নিকট অনুমতি চাওয়ায় সাংব