বঙ্গ-নিউজ: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবাইদা রহমানের নামে ইংল্যান্ডের ব্যাংকে থাকা তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন, যা বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) প্রকাশ পেয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেয়।
দুদক সূত্র জানায়, জব্দ করার আদেশ হওয়া তিনটি ব্যাংক হিসাবই ব্রিটেনের সানটাডার ব্যাংক ইউকে পিএলসি’র।
জানা যায়, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং ও অর্থ পাচারপূর্বক বিদেশে বিনিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানে টিম গঠন করেছে দুদক।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, স্যানট্যান্ডার ব্যাংক ইউকে’তে পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে তারেক রহমান এবং জোবায়দা রহমানের তিনটি ব্যাংক হিসাবে ৫৯ হাজার ৩৪১ দশমিক ৯৩ ব্রিটিশ পাউন্ড স্থানান্তর এফআইইউ, ইউকের নির্দেশে আটক আছে। ওই অর্থ তারা অন্যত্র হস্তান্তর বা রূপান্তর করার চেষ্টা করছেন।
দুদক মনে করছে ওই অর্থের বিষয়ে এখনই কোনো ব্যবস্থা না নিলে তা বেহাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ১৭ ধারা মতে, রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না বিধায় রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ১৪ ধারা মতে এসব অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।
আদালতের দুদকের এক প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, আদেশটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে পাঠানো হবে। সেখানে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে পাঠিয়ে আদেশ কার্যকর করবেন।
দুদকের অনুমতি (পারমিশন) মামলার আবেদনে বলা হয়, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দেশ থেকে অর্থ পাচার করে বিদেশে বিনিয়োগ করার অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
গত বছর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচন প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে আসা দেড়শ কোটি টাকার একটি অংশ উদ্ধারের পর তার সঙ্গে তারেকের সম্পৃক্ততার দাবি করেছিল র্যাব।
তারেক রহমান তারেক রহমান খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক অর্থ পাচারের একটি মামলায় দেশের আদালতে দণ্ডিত; এছাড়া একুশে অগাস্টের গ্রেনেড হামলা এবং জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তার দণ্ড রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে যৌথবাহিনী। এরপর তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১১টি মামলা দায়ের করা হয়। তাকে ওই সব মামলায় ১২ দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি জামিন পান।
জামিনের আটদিন পর ১১ সেপ্টেম্বর তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানেই রয়েছেন। কিন্তু তার অবর্তমানে তিনটি মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন তিনি। মামলাগুলো হলো-২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং লন্ডনে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা পাঁচারের মামলায় ৭ বছর এবং জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৪৭:৩৪ ৪৬৫ বার পঠিত #bangla news #bangladeshi News #bd news #bongo-news(বঙ্গ-নিউজ) #জাতীয় #শিরোনাম