মশা !

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » মশা !
শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০১৯



এক প্রজাতির নারী মশা

বঙ্গ-নিউজঃ মশা এক প্রকারের ছোট মাছি প্রজাতির পতঙ্গ। অধিকাংশ প্রজাতির স্ত্রীমশা স্তন্যপায়ী প্রাণীর রক্ত পান করে থাকে। মেরুদণ্ডী প্রাণীর, যেমন স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি, সরীসৃপ, উভচর প্রাণী এবং এমনকি কিছু মাছের শরীর থেকে রক্ত শোষণ করে হাজার রকমের প্রজাতি আছে। যদিও যেসব প্রাণীর শরীর থেকে রক্ত শুষে নেয় তা তাদের শরীরের তুলনায় খুবই অল্প, কিন্তু কিছু মশা রোগজীবাণু সংক্রামক। মশার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়া, পীতজ্বর, জিকা ভাইরাস প্রভৃতি রোগ সংক্রমিত হয়ে থাকে।  পরিচ্ছেদসমূহ

মশা নেমাটোসেরা মাছি বর্গের অন্তর্ভুক্ত। আরও স্পষ্ট করে, মশা মূলত ক্রেন মাছি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। মশার কিছু প্রজাতির নারী মশা রক্ত শোষে এবং মারাত্মক সংক্রামক রোগ বিস্তার করে। কিছু প্রজাতির মশা রক্ত শোষণ করে না; আবার যেসব প্রজাতির মশা রক্ত শোষে তাদের মধ্যে অনেকেই রক্তে “উচ্চ থেকে নিম্ন চাপ” সৃষ্টি করে তা শোষণ করে এবং কোনওরকম রোগ বিস্তার করে না। রক্ত শোষণকারী প্রজাতির মধ্যে শুধু নারীরাই রক্ত শোষণ করে।পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ৩,৫০০ এর বেশি প্রজাতির মশা পাওয়া গেছে। যেসব মশা নিয়মিত মানুষকে কামড়ায় তারা প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষের শরীরে রোগজীবাণু সংক্রমণের চলক হিসেবে কাজ করে। অন্য যেসব প্রজাতি নিয়মিত মানুষকে কামড়ায় না, কিন্তু অন্যান্য প্রাণীদের শরীরে রোগ সংক্রমণের চলক, তারা মূলত বিভিন্ন কারণে, যেমন হঠাৎ বন ধ্বংস, তাদের বাসস্থান থেকে উৎখাত হলে ক্ষতিকর হয়ে ওঠে।

অ্যানোফিলিস, কিউলেক্স, এডিস, হেমাগোগাস, প্রভৃতি হল রোগ সংক্রমণের চলক হিসেবে কাজ করা মশাদের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ও সাধারণভাবে সবচেয়ে পরিচিত।
সকল মাছির মত, মশার জীবনচক্র চারটি পর্যায়ে বিভক্ত: ডিম, শূক, মুককীট, এবং পূর্ণাঙ্গ মশা। বেশির ভাগ প্রজাতির পূর্ণাঙ্গ নারী মশা বদ্ধ পানি বা জলাশয়ে ডিম পাড়ে; কিছু পানির কাছাকাছি ডিম পাড়ে, বাকিরা জলজ উদ্ভিদে ডিম পাড়ে। প্রত্যেক প্রজাতি ডিম পাড়ার জন্য পানিতে বা পানির কাছাকাছি অবস্থান নির্বাচন করে এবং পারিপার্শ্বকতার সাথে খাপ খাইয়ে নেয়।  কিছু হৃদে ডিম ছাড়ে, কিছু সাময়িক ডোবায় ডিম ছাড়ে, কিছু জলাভূমিতে ডিম ছাড়ে, আবার কিছু লবণাক্ত জলাভূমিতে ডিম ছাড়ে। লবণাক্ত পানিতে ডিম পাড়া মশাদের মধ্যে সমান সংখ্যক প্রজাতি বাড়িতে পরিষ্কার পানিতে ও লবণাক্ত পানিতে ডিম পাড়ে, যার এক-তৃতীয়াংশ সমুদ্রের পানিতে এবং বাকিরা লবণাক্তরার সাথে খাপ খাইয়ে নেয়।এডিস এজিপ্টি মশার শূক                                                           পানির উপরে ভাসমান মশার শূক ও মুককীট

প্রজাতি অনুযায়ী মশার ডিম পাড়ার ধরনের পার্থক্য রয়েছে। সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হল নারী মশা পানির উপরে উপর নীচে উড়াউড়ি করে এবং পানিতে ডিম ছাড়ে। এটা মূলত অ্যানোফিলিস প্রজাতি বেশি করে থাকে। অ্যানোফিলিস প্রজাতির ডিম অনেকটা চুরুটের আকৃতির এবং দুই পাশে পানিতে ভেসে থাকার উপাদান রয়েছে। কিছু প্রজাতির পূর্ণাঙ্গ নারী মশা তার জীবনচক্রে ১০০-২০০টি ডিম দিতে পারে।পশ্চিম জার্মানিতে প্রাপ্ত ৮ মিমি লম্বা অ্যানোফিলিস শূক

বাংলাদেশ সময়: ১৮:০৭:০৬   ৪৩৩ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আজকের সকল পত্রিকা’র আরও খবর


নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন হাজী মোহাম্মদ হারিজ খান
সেরে উঠলেন ক্যানসার রোগীরা
আশুলিয়ায় খুশবু রেস্তোরাঁ উদ্বোধন
ধর্মপাশায় ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে শিক্ষকদের কর্মসূচী
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা ও কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি পণ্য সরবরাহ
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা ও কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি পণ্য সরবরাহ
বিশ্বব্যাপী প্রবাসীদের প্রতি দায়িত্ব পালনে কূটনীতিকদের আন্তরিক হতে হবে: শেখ হাসিনা
শেখ রাসেলের ৫৮ তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় ইদুর নিধন
শেখ রাসেলের ৫৮ তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় ইদুর নিধন

আর্কাইভ