স্টাফ রিপোর্টার, বঙ্গ-নিউজঃমধ্যনগর থানার বংশীকুন্ডা(উঃ) ইউনিয়নের “ঘিলাগড়া আদিবাসী কালচারাল একাডেমি ” ভবন নির্মাণের নামে কাজের গুনগতমা ভাল নয় এং টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে পরিদর্শনকালে লক্ষ করা যায় যে, ঘিলাগড়া আদিবাসী কালচারাল একাডেমির নির্মাণাধীন ভবনটির দৈর্ঘ্য ৬০ফুট,প্রস্ত ২০ফুট এবং মাত্র ৮টি পিলারে ৩ইঞ্চি ইটের দেওয়াল রড বিহীন লিংকটারে নির্মাণ কাজ চলছে। আট সিসি পিলারের নামে কাজ চালাচ্ছে আড়াই সুতু রড দিয়ে । জানা যায় স্পেশাল এপেয়ার্স বিভাগ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তোপ বরাদ্দকৃত অর্থের অবকাঠামো নির্মাণ। এই কাজের বরাদ্দ ৭লক্ষ টাকা।
এই কাজের তদারকি করছেন ঐ অঞ্চলের আদিবাসী ট্রাইবল চেয়ারম্যান আশুতোষ হাজং। কিন্তু এই কাজটি পরিচালনা ও তদারকির জন্য ৫সদস্য পিআইসি গঠন করা হয়।
পিআইসির সদস্য সচিব অজিত হাজং জানান,আমাদের পাঁচ সদস্যদের পিআইসি কমিটির অন্য সদস্যদের ছাড়াই ট্রাইবল চেয়ারম্যান আশুতোষ হাজং নানান অনিয়মের মধ্য দিয়ে ঘিলাগড়া আদিবাসী কালচারাল একাডেমির কাজ চালাচ্ছেন। এ বিষয়ে পিআইসি সদস্য কুমোদ হাজং সাংবাদিকদের জানান আমরা এই প্রকল্পের বিষয়টি কিছুই জানি না, আমাদের জাতীয় পরিচয় পত্র ট্রাইবল চেয়ারম্যান প্রতারনা করে কখন কোথায় ব্যবহার করেছে তা আমাদের সম্পুর্ন অজানা।
পিআইসির অভিযুক্ত সভাপতি আশুতোষ হাজং এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই কাজের কোন ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাপ এবং ওয়ারকর্ডার আমার কাছে নেই, মাস্টার রোলের মাধ্যমে কাজ করছি।
অনিয়মের বিষয়ে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওবাইদুর রহমানের সাথে মুটো ফোনে কথা বললে তিনি বলেন,বিষয়টি আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
এলাকার আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বিশিষ্ট সমাজ সেবক সাবেক ট্রাইবল চেয়ারম্যান হিতেন্দ্র রেমার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এই কালচারাল একাডেমি আমাদের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বিশেষ উপকারে আসবে। আমাদের ছেলে মেয়েরাই শিক্ষা অর্জন করে আমাদের মুখ উজ্জল করবে। সেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে আমরা কয়েকজন সুনামগঞ্জ জেলা প্রসাশকের বরাবরে লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে এসব উন্নয়ন মুলক কার্যক্রম চলছে। আমাদের দাবী আদিবাসী জনগোষ্ঠীর কল্যাণে অর্থের যেন অপব্যাবহার না হয়। সেজন্য উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এলাকায় খবর নিয়ে জানা যায়,আরও জানা যায় অভিযুক্ত আশুতোষ হাজং বর্তমান আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ট্রাইবল চেয়ারম্যান। সে দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ ট্রাইবুন্যাল নীতিমালা লঙ্ঘন করে ক্ষমতার বলে রাজত্ব কায়েম করছে। শিক্ষা খাতের উপকরণ, উপবৃত্তি, ও বিভিন্ন সহায়ক নামের তালিকা করণ টাকার বিনিময়ে তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করছে। আরও জানা যায় তালিকায় দরিদ্ররা উৎকোচ প্রদান না করলে সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে স্বাবলম্বীদের সুবিধা দিয়ে থাকে। এসব দুর্নীতি ও অপকর্মের পরিত্রান পেতে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির ও সরকারের প্রসাশনিক কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি দেওয়ার জোর দাবী জানান তারা। বাংলাদেশ ট্রাইবল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক স্বর্ণকান্ত হাজং প্রতিনিধির সাথে দীর্ঘ সময় মুটোফোনে কথা বললে তিনি বলেন ২০১১ সালে নীতিমালা অনুযায়ী প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ২০১৫ সালে ১৫ই ডিসেম্বর সাধারন সভায় সাক্ষরিত সিদ্ধান্ত পত্র আমাদের কাছে দাখিল করলে অনুমোদন দেয়া হয়। ইতিমধ্যেই আমরা অভিযোগ পেয়েছি নির্বাচনের ব্যাপারে সংবাদপত্রের মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা করা হবে এবং খুব শীগ্রই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:২৯:৪৫ ৫৬৮ বার পঠিত #bangla news #bd news #bongo-news #bongo-news.com #hot news #news 24 #online news #thikadar #বঙ্গ-নিউজ #বঙ্গ-নিউজ ডটকম #বাংলা নিউজ