স্টাফ রিপোর্টার বঙ্গ-নিউজঃঢাকা থেকে দুবাইগামী বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটি জিম্মি করে এক ছিনতাইকারী। অস্ত্রের মুখে পাইলটকে বিমানটি অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সে। বিমানে এ সময় ১২৪ যাত্রী, ১৪ পাইলট ও ক্রু ছিলেন। ছিনতাইকারী সব যাত্রীকে সিটে বসে থাকার হুমকি দিয়ে ককপিটে গিয়ে পাইলটকে জিম্মি করে। একপর্যায়ে ককপিটের দরজায় গুলিও করে সে। তার এক হাতে ছিল পিস্তল। আরেক হাতে ছিল ব্যাগভর্তি বিস্ম্ফোরক।ঢাকা থেকে বিমান ছাড়ার ১৫ মিনিট পরেই এসব ঘটছিল। এতে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ছিনতাইকারী বারবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবে বলে চিৎকার করছিল। এ সময় পাইলট বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানালে ছিনতাইকারীর সঙ্গে কথা বলতে থাকেন বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান। কথোপকথনের মধ্যেই পাইলট বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিমানটি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেন। সঙ্গে সঙ্গে সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী, র্যাব, পুলিশসহ যৌথ বাহিনীর চৌকস দল আট মিনিটের এক অপারেশনে চারদিক ঘিরে যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়। এ সময় ছিনতাইকারী আক্রমণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। তার নাম মাহাদী। এ ঘটনার পর গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ছিল। এতে ১০টি ফ্লাইটের উড্ডয়ন বিলম্বিত হয়। পরে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জনেন্দ্র সরকারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনা জানাজানি হলে দেশ-বিদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম তাৎক্ষণিক ‘লাইভ’ খবর প্রচার করতে থাকে।ব্রিফিংয়ে যা বলল যৌথ বাহিনী :গতকাল রাতে এক ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনীর বিশেষ কমান্ডো টিমের সঙ্গে র্যাব-পুলিশের সম্মিলিত অভিযানে ওই অস্ত্রধারীর মৃত্যু হয় বলে গণমাধ্যমকে জানান ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এসএম মতিউর রহমান। কমান্ডো অভিযান চালিয়েছেন হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানের নেতৃত্বে থাকা লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরুল।ওই উড়োজাহাজের যাত্রীদের সবাই অক্ষত অবস্থায় নেমে এসেছেন। অস্ত্রধারী ওই যুবক কেবিন ক্রুদের জিম্মি করেছিল। তবে ছিনতাইকারী যাত্রীদের কোনো ক্ষতি করেনি। কয়েকজন যাত্রী বলেন, উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী ওই অস্ত্রধারী বাংলায় কথা বলছিল। অস্ত্র হাতে সে যাত্রীদের উদ্দেশে বলে, ‘কেউ কোনো শব্দ করবে না।’এদিকে, কড়া নিরাপত্তার মধ্যে অস্ত্রধারী ওই যুবক কী করে আন্তর্জাতিক একটি ফ্লাইটে উঠে পড়েছিল, তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এম নাইম হাসান।বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, যাত্রীদের মধ্যে ৮৬ জন ছিলেন দুবাইগামী। বাকিরা অভ্যন্তরীণ যাত্রী, যাদের চট্টগ্রামে নামার কথা ছিল।গতকাল রাত ৮টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে বেবিচক চেয়ারম্যান নাইম হাসান জানান, ‘বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারীকে জখম অবস্থায় আটক করা হয়েছে।’ এর পৌনে এক ঘণ্টা পর আরেক সংবাদ সম্মেলনে এসে মেজর জেনারেল এসএম মতিউর রহমান জানান, আহত ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। নিহত ওই ব্যক্তির নাম ‘মাহাদী’। নাম ছাড়া মারা যাওয়া ওই ছিনতাইকারীর আর কোনো পরিচয় দিতে পারেননি অভিযানে থাকা সেনা ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা। ওই যুবকের কাছ থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তার গায়ে বোমার মতো তার জড়ানো ছিল। কিন্তু তাতে বিস্টেম্ফারক ছিল কি-না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
নাইম হাসান জানান, যারা ছিনতাইকারীর সঙ্গে কথা বলেছেন, তারা বলেছেন তাকে সাইকোলজিক্যালি একটু ইমব্যালেন্স (মানসিক ভারসাম্যহীন) মনে হয়েছে। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছোট নেইল কাটার, খেলনা পিস্তলও আমরা ধরে ফেলি। সিস্টেমে এটা করা আছে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তাবলয় পেরিয়ে অস্ত্র নিয়ে ভেতরে যাওয়া সম্ভব নয়, তারপরও কীভাবে গেল সেটি তদন্ত করার বিষয়। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখব। নিরাপত্তা নিয়ে কারও গাফিলতি ছিল কি-না সেটা খতিয়ে দেখা হবে।’
জঙ্গি বা সন্ত্রাসী উদ্দেশ্যে কেউ এমন ঘটনা ঘটাতে পারে কি-না- এ প্রশ্নের উত্তরে নাইম হাসান বলেন, এ ব্যাপারে আমি মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। আমাদের অনেকগুলো সেক্টরের অগ্রযাত্রা চোখে পড়ার মতো এবং আকাশপথের অগ্রযাত্রা সত্যিই একটি বিস্ময়কর ব্যাপার। ছোট ছোট এয়ারপোর্ট, যেগুলোকে আমরা আগে দাম দিতাম না। যেমন সৈয়দপুরে সারা দিনে একটি ফ্লাইট যেত। এখন ৮-৯টি ফ্লাইট যায়। এসব অগ্রযাত্রা অনেকে পছন্দ না-ও করতে পারে। তদন্ত করে বিষয়টি জানা যাবে।
৮ মিনিটের অভিযান :অস্ত্রধারী সম্পর্কে এক ব্রিফিংয়ে মেজর জেনারেল মতিউর রহমান বলেন, অপারেশনের ব্যাপ্তিকাল ছিল ৮ মিনিট। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল সে বিদেশি। কিন্তু পরে দেখা গেল, সে বাংলাদেশি। তার হাতে একটি অস্ত্র ছিল। তার বয়স ২৫-২৬ বছর। তার বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য জানা যায়নি। ছিনতাইকারীকে নিবৃত্ত করার জন্য কমান্ডো বাহিনী প্রথমে তাকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু সে আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় স্বাভাবিকভাবে যা হওয়ার কথা, তাই হয়েছে। গোলাগুলিতে প্রথমে সে আহত হয়। পরে সে মারা যায়।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল ছিনতাইকারী :ছিনতাইকারী প্রধানমন্ত্রী ও তার নিজের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল। এই ইস্যুতে তাকে ব্যস্ত রাখেন বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা। ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে উড্ডয়নের ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মাথায় মাহাদী বিমানের পেছন থেকে দৌড়ে আসে। এক পর্যায়ে সে ক্যাপ্টেনের রুমে ছুটে যায়। পরে তার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে সে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুবাইগামী ওই ফ্লাইটের চট্টগ্রামে যাত্রাবিরতি ছিল।
জিম্মিদশায় পড়ে পাইলট সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে শাহ আমানত বিমানবন্দরে উড়োজাহাজটি অবতরণ করান। পরে তাড়াহুড়া করে ওই ফ্লাইটের যাত্রীরা সবাই বেরিয়ে এলেও দু’জন কেবিন ক্রু ভেতরে আটকা পড়েন। এ সময় উড়োজাহাজটি ঘিরে রাখে পুলিশ, র্যাব, এপিবিএনসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
বিমানযাত্রীদের বর্ণনা :কয়েকজন যাত্রী বলেন, ওই যুবকের আনুমানিক বয়স হবে ২৪ থেকে ২৬ বছর। বিমানে তার সঙ্গে একটি ব্যাগ ছিল। বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই সে পেছন থেকে দৌড়ে ক্যাপ্টেনের রুমে গিয়ে বিমানটি জিম্মি করার চেষ্টা করে। এ সময় বিমানের ভেতরে গুলির শব্দও শোনা যায়। এ সময় কেউ কেউ মনে করছিলেন, বোমা বিস্ম্ফোরণ হচ্ছে। অনেকে মনে করেছিলেন, বিমানে আগুন ধরেছে। সে সময় সবাই দোয়া পড়ছিল। চিৎকার ও কান্নাকাটি করছিল। তখন যুবকটিকে বলতে শোনা যায়, আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চাই। বিমানটি এ সময় অনেকটা বাঁকা, উঁচু-নিচু হয়ে উড়ছিল। এয়ারহোস্টেসরা সিটবেল্ট বেঁধে যাত্রীদের আসনে বসে পড়েছিলেন। যাত্রীদের অনেকে লাইফ জ্যাকেট পরে ফেলেছিলেন। এভাবে অনেকক্ষণ থাকার পর বিমানটি অবতরণ করে। বিমান থেকে যাত্রীরা নামার পরও আতঙ্কে ছিল সবাই।
ফ্লাইটের যাত্রী ওসমান বলেন, উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী ওই অস্ত্রধারী বাংলায় কথা বলছিল। অস্ত্র হাতে সে যাত্রীদের উদ্দেশে বলে, ‘কেউ কোনো শব্দ করবে না।’ ঢাকা থেকে বিমান উড্ডয়নের ১৫ মিনিট পরই ওই অস্ত্রধারী হঠাৎ চিৎকার শুরু করে। এ সময় সে পাইলটের দরজায় তিন রাউন্ড গুলি করে। যাত্রীদের দিকেও অস্ত্র তাক করেছিল সে। এমন পরিস্থিতিতে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অস্ত্রধারী পুরোটা সময় অত্যন্ত উদ্ধত আচরণ করে। উড়োজাহাজটি অবতরণের পর যাত্রীরা দ্রুত গেট দিয়ে নেমে আসেন। পরে পাইলটও নেমে আসেন। এ সময় ওই অস্ত্রধারী ছিনতাইকারী কাউকে কিছু বলেনি। তবে কেবিন ক্রুদের আটকে রাখে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় কমান্ডো অভিযান :প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সেনা কমান্ডোরা চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানের নেতৃত্বে থাকা এয়ার ভাইস মার্শাল মুফিদুল আলম বলেন, ‘অস্ত্রধারী ছিনতাইকারী বিমানটিকে জিম্মি করার সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জানানো হয়। পরে সেখান থেকেই অভিযানের নির্দেশনা আসে। অস্ত্রধারী ওই ব্যক্তি পাইলটের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তার পারিবারিক সমস্যা নিয়ে একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার দাবি জানায় আমাদের কাছে। তবে সেনা কমান্ডোদের বিশেষ অভিযানে অস্ত্রধারী ছিনতাইকারী পরাভূত হয়েছে। সেনাবাহিনীর বিশেষ একটি কমান্ডো টিম এবং র্যাব, পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যরা সম্মিলিতভাবে এই অভিযান চালায়। অভিযানে উড়োজাহাজে আটকা পড়া কেবিন ক্রু দু’জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। উড়োজাহাজে আর কোনো যাত্রী জিম্মি নেই। বিমানে থাকা সব যাত্রী অক্ষত আছেন। এ ঘটনায় কোনো ক্রু আহত হননি।
অভিযানে নৌবাহিনীর ২২ সদস্য :অভিযানে ছিল বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২২ সদস্যের একটি সোয়াড কমান্ডো টিম। বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত এই টিমের সদস্যরা ঘটনার পরপরই বিমানবন্দর রানওয়েতে অবস্থান নেন ও পরে অভিযান চালিয়ে ওই সন্ত্রাসীকে আটক করেন। বিমানবন্দরের অদূরেই বিএনএস ঈসা খান নৌ-ঘাঁটি থেকে দ্রুত এই সোয়াড কমান্ডোরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আমেরিকান সিলের আদলে প্রশিক্ষিত এই কমান্ডোরা দেশের যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে এগিয়ে যান।
আইএসপিআরের ভাষ্য :গত রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এ ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে সহায়তা চাওয়া হলে সেনাবাহিনীর কমান্ডো দল ও ২৪ পদাতিক ডিভিশনের কুইক রিঅ্যাকশন ফোর্স (কিউআরএফ) প্লাটুন অতি দ্রুত চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সেনাবাহিনীর একটি কমান্ডো দল কুতুবদিয়ায় চলমান যৌথ অনুশীলনের জন্য চট্টগ্রামের নৌবাহিনী ঘাঁটি ইশা খাঁয় ওই সময় অবস্থান করছিল। এ অবস্থান সেনাপ্রধানের নির্দেশক্রমে ও জিওসি ২৪ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে এবং ১ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরুলের নেতৃত্বে ছিনতাইকারীকে আটক করার জন্য আনুমানিক ৭টা ২০ মিনিটে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
প্রাথমিক অবস্থায় ছিনতাইকারীকে আত্মসমর্পণের জন্য আহ্বান করা হলেও ছিনতাইকারী আত্মসমর্পণ না করে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। ফলে ছিনতাইকারীকে নিবৃত্ত করার লক্ষ্যে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ছিনতাইকারীকে বিমানের বাইরে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সেনা কমান্ডোদের ত্বরিত এবং সফল অভিযানের কারণে এই উদ্ভূত পরিস্থিতি মাত্র ৮ মিনিটেই নিয়ন্ত্রণে আনা এবং ছিনতাই নাটকের অবসান ঘটানো সম্ভব হয়।
সংশ্নিষ্টদের বক্তব্য : চট্টগ্রামে অস্ত্রধারীর হাতে জিম্মি থাকা বিমানের যাত্রীরা নিরাপদে নেমে এসেছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, যতটুকু আমরা জানতে পেরেছি একজন সন্দেহভাজন পাইলটের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়েছিল। তবে সব যাত্রী নেমে গেছে। পাইলটও নেমে গেছে। শাহ আমানতে বিমানের স্টেশন ম্যানেজার মাহফুজুল আলম বলেন, ‘বিমানটি ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে।’
ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া ওই বিমানটিতে যাত্রী ছিলেন চট্টগ্রামের সাংসদ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মইনউদ্দীন খান বাদল। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এক অস্ত্রধারী ছিনতাইকারী সেখানে পাইলটকে জিম্মি করে। গুলিও করে সে। যাত্রীরা নেমে গেলেও সে উড়োজাহাজের ভেতরে থেকে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২২:২৩:৩১ ৬৭৭ বার পঠিত