ছবি: প্রতীকী
বঙ্গ-নিউজ: ঢাকার উঠতি র্যাম্প মডেল সুমাইয়া আকতার। মডেলিং ছাড়াও বিভিন্ন মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেন নিয়মিত। শুটিয়ের সুবাদে মাঝে মধ্যে আসেন ইয়াবার ট্রানজিট পয়েন্ট কক্সবাজারে। শুটিং শেষে বাড়ি ফিরে যাওয়ার সময় নিয়ে যান ইয়াবার চালান।
শুটিং ইউনিটের সঙ্গে করে বেশ কয়েকটি ইয়াবার চালান নিয়ে যান সুমাইয়া ও তার সহযোগীরা। অভিন্ন কায়দায় ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে গত সেপ্টেম্বরে দুই লাখ পিস ইয়াবাসহ শুটিং ইউনিটের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব-৭।
শুধু শুটিং ইউনিট নয়, কখনো কখনো পর্যটক, কখনো মসজিদের ইমাম, কখনো সাপুড়ের বেশে কক্সবাজার থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার হচ্ছে ইয়াবা। যদিও এর নগণ্য কিছু চালান আটক করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সদস্যরা।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা বলেন, ‘মাদক পাচারের রুটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অধিক সক্রিয় রয়েছেন। তাই মাদক পাচারকারীরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। এ কৌশলের অংশ হিসেবে বিভিন্ন পেশার লোকজন ইয়াবা পাচারে যুক্ত হচ্ছে।’
চট্টগ্রাম মেট্রো মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামীম আহমেদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সদস্যদের ফাঁকি দিতেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের ইয়াবা পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এত কৌশল অবলম্বন করার পরও প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকার কারণে রক্ষা পাচ্ছে না মাদক পাচারকারীরা।
জানা যায়, দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান ও মাদকের রুটে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। কক্সবাজার থেকে সারা দেশে মাদক পরিবহনের বিভিন্ন রুটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়াকড়ির কারণে ইয়াবা পাচারে নানা পদ্ধতি অনুসরণ করছে মাদক পাচারকারীরা।
এরই অংশ হিসেবে মাদক ব্যবসায়ীরা পাচারে নানা পদ্ধতি অনুসরণ করছে, যাতে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সহজে ইয়াবার চালান বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছানো যায়। এতে যুক্ত করা হচ্ছে ভিন্ন পেশার লোকজন।
এরই মধ্যে ইয়াবা পরিবহন করার সময় গ্রেফতার করা হয় মডেলকন্যা, বিমানবালা, মসজিদের ইমাম, আইনজীবী, সাপুড়ে, বাবুর্চিসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে। ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যটকের বেশে ইয়াবা পাচারের সময় আটজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। পৃথক এ দুটি অভিযানে ২ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ও দুটি বাস জব্দ করা হয়।
২৬ জানুয়ারি নগরীর মইজ্জ্যার টেক এলাকায় ইয়াবা পাচারের সময় এনায়েত উল্লাহ নামে মসজিদের এক ইমামকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার পেট থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা বের করা হয়। সাপুড়ে সেজে সাপের বাক্সে করে ইয়াবা পাচারের সময় আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে পাঁচ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
২২ জানুয়ারি নগরীর স্টেশন রোড এলাকায় ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয় বেসরকারি একটি এয়ারলাইনসের বিমানবালা স্মৃতি আকতারকে। এ সময় তার কথিত প্রেমিক জুবাইরকেও গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে প্রায় ৮ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
১৪ সেপ্টেম্বর নগরীর স্টেশন রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। তারা বাবুর্চি সেজে মাদক পাচার করে আসছিলেন। এরা হলেন মো. চঞ্চল ও মো. আসমাউল। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।
বাংলাদেশ সময়: ১০:১১:১১ ৫২১ বার পঠিত #bangla news #bangladeshi News #bd news #bongo-news(বঙ্গ-নিউজ) #জাতীয় #শিরোনাম