‘কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের পড়াতে চাইলে বোরকা পরতে হবে, তাদের শিক্ষকও নারী হবেন: শফী

Home Page » এক্সক্লুসিভ » ‘কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের পড়াতে চাইলে বোরকা পরতে হবে, তাদের শিক্ষকও নারী হবেন: শফী
সোমবার, ১৪ জানুয়ারী ২০১৯



 

 

ফাইল ছবি-শাহ আহম্মদ শফি

স্বপন চক্রবর্তী,  বঙ্গ-নিউজ: হেফাজতে ইসলামির আমির শাহ আহমদ শফী মেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে নিজের দেওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যায় আবারও বিবৃতি দিয়েছেন। ওই বিবৃতিতে এবার তিনি বলেছেন, ‘কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের পড়াতে চাইলে বোরকা পরতে হবে। তাদের শিক্ষকও নারী হবেন।’

রবিবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার পরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

বিবৃতিতে আহমদ শফী কারও বক্তব্য বিকৃত না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। শফী বলেন, ‘কারও বক্তব্যকে ব্যাখ্যা দিতে হলে আপনাকে তার কথা বুঝতে হবে। অনুধাবন করতে হবে। না বুঝে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা দাঁড় করানো এক ধরনের অপরাধ। আর খণ্ডিত বক্তব্যকে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা আরও বড় অপরাধ। কোনো কিছু লিখতে চাইলে সুস্থ মস্তিষ্কে চিন্তাশীল হয়ে সঠিক কথাটি লিখবেন।’

হেফাজতের আমির বলেন, ‘একটি মহল আমাকে বিতর্কিত করতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে। আমাকে নারী বিদ্বেষী, নারী শিক্ষাবিরোধী হিসেবে উপস্থাপন করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। আমি এসব কথার জবাব দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আবারও বলছি, নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশে শিক্ষার ব্যবস্থা করুন এবং তাদের জীবন ও ইজ্জতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। কেউ কারও কন্যাকে অনিরাপদ পরিবেশের দিকে ঠেলে দিতে পারে না। কারণ, দৈনিক পত্রিকা খুললেই প্রতিদিন চোখে পড়ছে কোথাও না কোথাও কোনো নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে অথবা খুন করা হয়েছে। নৈতিকতা অর্জন না হলে ধর্ষণ, খুন ও উত্ত্যক্তকরণ বন্ধ হবে না। নারীর প্রতি বৈষম্য দূর হবে না। ইসলামই ফিরিয়ে দিয়েছে নারীর প্রকৃত সম্মান। আমার কথার সারাংশ হলো উচ্চশিক্ষা কিংবা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াতে চাইলে বোরকা পরতে হবে এবং তাদের শিক্ষকও মহিলা হবেন।’

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) জুমার নামাজের পর চট্টগ্রামের আল জামিআতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামির আমির শাহ আহমদ শফী উপস্থিতি লোকজনের কাছে মেয়েদের স্কুল-কলেজে না পাঠানোর জন্য ওয়াদা নিয়েছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, ‘আপনাদের মেয়েদের স্কুল-কলেজে দেবেন না। বেশি হলে ক্লাস ফোর বা ফাইভ পর্যন্ত পড়াতে পারবেন। বিয়ে দিলে স্বামীর টাকা-পয়সা হিসাব করতে হবে। চিঠি লিখতে হবে স্বামীর কাছে। আর বেশি যদি পড়ান, পত্রপত্রিকায় দেখছেন আপনারা, মেয়েকে ক্লাস এইট, নাইন, টেন, এমএ, বিএ পর্যন্ত পড়ালে ওই মেয়ে আপনার মেয়ে থাকবে না। অন্য কেহ নিয়ে যাবে। পত্রপত্রিকায় এ রকম ঘটনা আছে কি না? ওয়াদা করেন। বেশি পড়ালে মেয়ে আপনাদের থাকবে না। টানাটানি করে নিয়ে যাবে আরেকজন পুরুষ।’

আহমদ শফীর ওই বক্তব্যের পর দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এরপর শনিবার (১২ জানুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি দাবি করেন, তার বক্তব্যের একটি খণ্ডাংশ বিভিন্ন মিডিয়ায় ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। রবিবার (১৩ জানুয়ারি) তিনি এ বিষয়ে আবারও বিবৃতি দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১:৩৭:২৩   ৪৮২ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

এক্সক্লুসিভ’র আরও খবর


এস এস সি পাশের হার কমছে বেড়েছে জিপিএ-৫
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্রে সানি লিওনের ছবি!
শক্তিশালী প্রসেসরে নতুন স্মার্টফোন বাজারে আনছে মটোরোলা
ভারত ৩৬টি স্যাটেলাইট স্থাপন করল একসঙ্গে !!
স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস, পরে কথিত স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে পদযাত্রা
রাশিয়ার নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সাবমেরিন!
টিকিট দুর্নীতির প্রতিবাদে রনি, সহজ ডটকমকে ২ লাখ টাকা জরিমানা
ট্রাকচাপায় মেয়েসহ তারা তিনজন নিহত; রাস্তায় গর্ভস্থ শিশু ভুমিষ্ঠ
রোহিঙ্গা যুবক নুর বারেক আটক ,২০ লাখ টাকা উদ্ধার

আর্কাইভ