বঙ্গ-নিউজ: পোশাক শ্রমিকদের নতুন মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ১ম গ্রেড সর্বমোট ১৮,২৫৭ টাকা। ২য় গ্রেড সর্বমোট ১৫,৪১৬ টাকা, ৩য় গ্রেড ৯,৮৪৫ টাকা, ৪র্থ গ্রেড ৯,৩৪৭ টাকা ও ৫ম গ্রেডে ৮,৮৭৫ টাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
রোববার (১৩ জানুয়ারি) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এ মজুরি ঘোষণা করেন। এতে প্রথম গ্রেডে ১৮ হাজার ২৫৭, দ্বিতীয় গ্রেডে ১৫ হাজার ৪১৬, তৃতীয় গ্রেডে ৯ হাজার ৮৪৫, চতুর্থ গ্রেডে ৯ হাজার ৩৪৭ ও পঞ্চম গ্রেডে ৮ হাজার ৮৭৫ ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবার ঐক্যমতের ভিত্তিতে ৩, ৪, ও ৫ নম্বর গ্রেডে মজুরি সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে ১ এবং ২ নম্বর গ্রেডের মজুরি সমন্বয়েরও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ফলে প্রতিটি গ্রেডেই শ্রমিকদের মজুরি যৌক্তিক হারে বেড়েছে। এদিকে, সব কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মালিকপক্ষ।
বেতন ও ভাতার সমন্বয়ের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছেন। এ বিক্ষোভ প্রথমে গাজীপুর থেকে শুরু হলেও এখন সেটির রেশ রাজধানীসহ আরও কয়েকটি স্থানে ছড়িয়েছে। যার কারণে দাবি আদায়ে প্রায় প্রতিদিন রাস্তায় নামছেন শ্রমিকরা। তাদের অভিযোগ, সরকার তাদের যে বেতন-ভাতা সমন্বয় করার কথা বলেছিল, তা মানছেন না কারখানা মালিকরা।
এদিকে সোমবারের (১৪ জানুয়ারি) মধ্যে শ্রমিকরা কারখানায় কাজে না ফিরলে তাদের মজুরি দেওয়া হবে না এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ। ১৩ জানুয়ারি, রবিবার সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি।
এমতাবস্থায় পোশাক শ্রমিকদের চলমান বিক্ষোভে পোশাকখাতে যৌক্তিক হারে তিন গ্রেডের মজুরি সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্টদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে শ্রমিকদের স্বার্থে ৩, ৪ ও ৫ নম্বর গ্রেডে মজুরি সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে মজুরি সমন্বয় হলে প্রতিটি গ্রেডেই যৌক্তিক হারে মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর আগে শ্রম মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সীসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে গ্রেডগুলো সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
তার আগে গার্মেন্টস শিল্প দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের খাত হওয়ায় এ শিল্প এবং শিল্পখাতের শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয় বিবেচনায় সরকার ত্রি-পক্ষীয় মজুরি কমিটি গঠন করে।
প্রসঙ্গত, গত বছর মালিক-শ্রমিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পোশাক খাতে সর্বনিম্ন ৮ হাজার টাকা মজুরি চূড়ান্তের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে এ মজুরি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। আর এ মজুরি কার্যকর নিয়ে শ্রমিকরা আন্দোলন করে।
সর্বশেষ ২০১৩ সালের নভেম্বরে ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়। ঘোষণার এক মাস পর ডিসেম্বর থেকে তা কার্যকর হয়। সে অনুযায়ী এন্ট্রি লেভেলে একজন শ্রমিক নিম্নতম ৫ হাজার ৩০০ টাকা মজুরি পাচ্ছেন। এর অতিরিক্ত বছরে ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট পাচ্ছেন শ্রমিকরা। কিন্তু গার্মেন্টস শ্রমিকরা ন্যূনতম বেতন চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছিল ১৬ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩১:৩০ ৭৪২ বার পঠিত #bangla news #bangladeshi News #bd news #bongo-news(বঙ্গ-নিউজ) #জাতীয় #শিরোনাম