“রঙ্গে ভরা আমার ব্যাংকিং জীবন “-জালাল উদদীন মাহমুদ

Home Page » বিনোদন » “রঙ্গে ভরা আমার ব্যাংকিং জীবন “-জালাল উদদীন মাহমুদ
শুক্রবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৮



 

জালাল উদদীন মাহমুদ

৫০তম কিস্তি—
ডেমাজানি শাখা ,বগুড়া,১০ম পর্ব।

হেমন্ত হলো ষড়ঋতুর চতুর্থ ঋতু, যা কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসের সমন্বয়ে গঠিত। শরৎকালের পর এই ঋতুর আগমন। এর পরে আসে শীত, তাই হেমন্তকে বলা হয় শীতের পূর্বাভাস। ‘মরা’ কার্তিকের পর আসে সর্বজনীন লৌকিক উৎসব নবান্ন। সম্রাট আকবর অগ্রহায়ণ মাসকেই বছরের প্রথম মাস বা খাজনা তোলার মাস ঘোষণা দিয়েছিলেন। সম্রাট আকবরের মতো ব্যাংকের গ্রামীন শাখার ম্যানেজারদেরও শস্য ঋণ আদায়ের প্লান এ মাসকে ঘিরেই করা উচিৎ বলে মনে করি।

ষড়ঋতুর বাংলাদেশে হেমন্তের প্রথম মাস কার্তিকে এক রূপ, পরের অগ্রহায়ণ মাসে সম্পূর্ণ ভিন্ন। মূলত হেমন্ত দুটি বিপরীতধর্মী সময়কে জোড়া লাগানোর কাজ করে। কার্তিকে কৃষকের ঘরে সারা বছরের জন্য জমিয়ে রাখা চাল প্রায় শেষ হয়ে যেত। এ জন্য কার্তিকের দুর্নাম করে বলা হয় ‘মরা কার্তিক’। কৃষি ঋণের সাথে জড়িত শাখা সমূহে এ মাসে শস্য ঋণ আদায় খুব কম হতো। অগ্রহায়ণে অবশ্য আবার উল্টো চিত্র দেখা যেত ।

অগ্রহায়ণ মাস সমৃদ্ধির। শরতের পর সোনার ধানের আয়োজন নিয়ে আসে হেমন্ত। এ সময় মাঠের সোনালী ফসল কাটা শুরু হয়। বাড়ির আঙিনা নতুন ধানে ভরে ওঠে। ধান পালা দিয়ে রাখা হতো উঠানে , সেই ধানের স্তূপ (গাদা) মাঝে চলতো ছেলেমেয়েদের লুকোচুরি খেলা। এ সময় দিনের দৈর্ঘ্য কমে আসে , রাত বড় হয়। ভোরে এবং দিন শেষে চারদিকে জমতে থাকে কুয়াশা। সবুজ ঘাসের ডগায় রূপালি কুয়াশার উপর ভোরের রোদ পড়লে তা চিক চিক করে উঠতো। চারদিকে তাকালেই বোঝা যেত প্রকৃতিতে হেমন্ত এসেছে। কার্তিক মাসের মৃদু হিম আর নরম আলোয় ধান গাছের বুক চিরে বের হতো সবুজ সবুজ ধানের শীষ। অঘ্রাণে ভরা খেতে তাকিয়ে কৃষক স্বপ্ন দেখতো।

ফসল সমৃদ্ধ হেমন্তে গ্রামীন জীবন বদলে যেত। গ্রামের বধূ উঠানে নতুন মাটি লেপন করে নতুন ধানকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় থাকতো। হেমন্তের বাতাসে বাতাসে ভেসে বেড়াতো পাকা ধানের মিষ্টি মিষ্টি ঘ্রাণ। পথে পথে দেখা পেতাম পাকা ধানের আঁটি একটি বাঁশে ভারসাম্য বজায় রেখে বেধেঁ কাঁধের দুপ্রান্তে (এ এলাকায় মাথায় নেবার রেওয়াজ নাই) নিয়ে কৃষক ফিরছে নিজ বাড়ীতে । ধানের আটিঁর ‍ঝুনঝুন সুর কৃষকদের কানে বাজতো পৃথিবীর মধুরতম সঙ্গীত হয়ে। দেখতে দেখতে কৃষকের ধানের গোলা ভরে উঠতো । ব্যাংকের মাঠ সহকারীরা নব উদ্যমে তাগাদায় বের হতো। রুটিন করে আমিও সাথে থাকতাম।

অগ্রহায়ণ মাসে গ্রামে গ্রামে নতুন ফসল ঘরে তোলার পর ঢেঁকির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠত গ্রামের অধিকাংশ বাড়ি। অবস্থাসম্পন্ন বাড়ি গুলোতে ঢেঁকিঘর হিসেবে আলাদা ঘর থাকত। গৃহস্থ বাড়ির মহিলারা ঢেঁকির মাধ্যমে চাল তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় কাটাতেন। পিঠা-পুলির জন্য চালের আটাও বানাতো তারা।
হেমন্তকাল রহস্যময় হয়ে উঠতো আমার কাছে তার ৫টি বৈশিষ্ট্য নিয়ে -শিশিরস্নাত সকাল, কাঁচাসোনা রোদমাখা স্নিগ্ধ সৌম্য দুপুর, পাখির কলকাকলি ভরা ভেজা সন্ধ্যা আর মেঘমুক্ত আকাশে জ্যোৎস্না ডুবানো আলোকিত রাত ।

তবে ঢাকা বা বড় বড় শহরে হেমন্তের প্রকৃতি তার সব বৈশিষ্ট্য নিয়ে তেমন স্পষ্ট করে ধরা পড়ে না,খানিকটা প্রচ্ছন্নই থেকে যায়। সবাই অবশ্য টের পায় দিনগুলো একটু একটু করে ছোট হয়ে আসছে। বেলা পড়ে এলেই দ্রুত সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে । অফিস শেষ হতে হতেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে যায়। তবে বাহিরে বের হলে বোঝা যায় রোদ তার তেজ আস্তে আস্তে হারিয়ে ফেলছে। দোকানে দোকানে অফিস যাত্রীদের গায়ে গায়ে শীতের কাপড়ের আধিক্য দেখা যায়।মহানগরের পাড়া-মহল্লা, গলির মোড়ে, ফুটপাতে নতুন চালের গুঁড়ি নিয়ে টিনের ভ্রাম্যমান হেঁসেলে পিঠা তৈরি করে বিক্রী শুরু হয়ে যায় । মায়েরা সন্তানদের ঠান্ডা না লাগানোর উপদেশ বিতরণ শুরু করে আর ছোট ছোট বারান্দার টবে লাগায় গাঁদা ফুলের চারা। -এসব দৃশ্য দেখেই শহুরের বাসিন্দারা এখন বুঝতে পারে বদলে যাচ্ছে ঋতু। শীত আসছে। হেমন্ত –এর নামও কেউ তেমন উচ্চারণ করেনা । হেমন্ত ঊহ্যই থেকে যায়, সবাই দেখে শীতের আগমনের পদধ্বনি।
অবশ্য শীত, গ্রীষ্ম বা বর্ষার মতো হেমন্ত তীব্র প্রখর অথবা মুখরা রমনীর মত অত মুখরা নয়। হেমন্তকে আলাদা করে দেখতে চাইলে সবার চোখে এ শহরে দেখা মিলবেও না। ম্লান, ধুসরিত আর অস্পষ্ট হেমন্তকাল তাই এখানে শুধু অনুভবের। বসন্তের রঙীন বা তীব্র ফুলের গন্ধ, কোকিলের গান অথবা গ্রীষ্মের প্রচন্ড খরতাপ, কালবৈশাখী ঝড় কিংবা বর্ষার ভরা নদী –খাল-বিল-নালা, সারা দিনব্যাপী ঝমঝম বৃষ্টির মতো করে হেমন্ত জানান দেয় না আমি আছি, আমি এসেছি।
বাংলার কাব্যে সাহিত্যেও হেমন্ত প্রচ্ছন্নই থেকে গেছে । জীবনানন্দ দাশ ছাড়া কবিদের কাছে এই হেমন্ত তেমন করে ধরাও দেয় নাই। হেমন্তের ধূসরতায় মুগ্ধ ছিলেন জীবনানন্দ দাশ। ”অবসরের গান “ কবিতায় তিনি লিখেছেন, নরম হেমন্তের কথা-
‘শুয়েছে ভোরের রোদ ধানের উপরে মাথা পেতে/ অলস গেঁয়োর মতো এইখানে কার্তিকের ক্ষেতে/ মাঠের ঘাসের গন্ধ বুকে তার—চোখে তার শিশিরের ঘ্রাণ,/তাহার আস্বাদ পেয়ে অবসাদে পেকে ওঠে ধান,…।’
কবি জীবনানন্দ দাশ ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতায় কার্তিকের এ নবান্নের দেশে আবারও ফিরে আসার আকুতি জানিয়ে লিখেছিলেন ‘আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে-এই বাংলায়/ হয়তো মানুষ নয়-হয়তো বা শঙ্খচিল শালিখের বেশে;/ হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে’।
আমারও আজ লিখতে ইচ্ছে করছে , ‘আবার যাইব ফিরে করতোয়া নদীটির তীরে-সেই ব্যাংকে / হয়তো ম্যানেজার নয়-হয়তো বা অচেনা কোন খরিদ্দারের বেশে;/ হয়তো ভোরের পথিক হয়ে সেই কার্তিকের নবান্নের দেশে’।
হেমন্তের রূপে মুগ্ধ জীবনানন্দ দাশ তাঁর স্বপ্নের রূপসী বাংলা থেকে চিরবিদায় নিয়েছিলেন একদিন হেমন্তের কার্তিক মাসেই।
এক সময় বলা হতো ‘হাতিকে ঠেলা যায়- কিন্তু কার্তিককে ঠেলা যায় না।’আবার কার্তিক মাস এলেই উত্তরবঙ্গে বলা হতো এই এলো মরা কার্তিক। আসলে বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের পাঁচটি জেলায় আশ্বিনের শুরুতে ধান-রোপনের কাজ শেষ হয়ে গেলে, পরের ক্ষেতে-কাজ-করা গরিব লোকের হাতে না থাকে কাজ, না থাকে টাকা-পয়সা। স্থানীয় লোকের মুখের ভাষায় কার্তিক তাই মরা কার্তিক। কাজের অভাবে মানুষজন অভাবে পড়ত ,খাদ্যের অভাবে মানুষ মারা যেত। ক্ষেতের ধান কম দামে আগাম বিক্রি করে দিন কাটাত ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষিরা। চড়া সুদে ঋণ বিতরণ করত মহাজনরা। প্রত্যেক বছরই এমনটি ঘটতো রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট আর গাইবান্ধায়। এই সময়টা উত্তারঞ্চলে মঙ্গা নামে পরিচিত। ২০০৪ সালে মঙ্গার বিষয়টি হঠাৎ করে গণমাধ্যমের নজরে পড়ে যাওয়ায় ব্যাপারটা নিয়ে চারদিকে বেশ শোর -গোল পড়ে যায়। দিনের পর দিন দৈনিক পত্রিকার পাতায় খবর, সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয় ইত্যাদি প্রকাশিত হতে থাকে। বর্তমানে অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। ২০০৮ সালে এসব জেলার ২৩ শতাংশ পরিবার মঙ্গার সময় তিন বেলা খেতে পারত। এখন ৭৪ শতাংশ বা তারও বেশী পরিবার তিন বেলা খেতে পারছে।
যা হোক এমনি এক মরা কার্তিক মাসে আমি মটর সাইকেল যোগে অফিসে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি রাস্তার ধারে দুজন লোক পড়ে আছে। থামলাম। কাছে যেয়ে দেখি একজনের বয়স ৫০ এর কাছাকাছি আর এক জনের বয়স ১৭/১৮ হবে। শুনলাম তারা চাচা-ভাতিজা। দুইদিন ধরে কিছু খাবার পায় নাই। কাজের খোঁজে বের হয়েছে। কাজ পায় নাই। বাড়ী গাইবান্ধায়। তারা আর হাঁটতে পারছে না , তাই রাস্তায় শুয়ে আছে। গোঙায়ে গোঙায়ে কথা বলছিল। আমার সাথে কথা বলার এক ফাঁকে অতি কষ্টে তারা উঠে দাঁড়ালো। কোন সাহায্য চাইল না । আবার হাঁটা শুরু করতে যাচ্ছে –আমি জিজ্ঞাসা করলাম –কোথায় যাবেন ? চাচা বলল –দেহি বাহে ,কোন কাজ-করমো পাই কিনা। আমি বললাম –এখন তো এ এলাকাতেও কৃষি কাজ নাই। কিন্তু তারা কাজের খোঁজে আরো সামনে যেতে চায়। আমি থামালাম। আমি আসলে একজন পথচারী খুঁজছিলাম যিনি এদের আমার বাড়ী পৌঁছে দিতে পারবে। রাস্তার এখানে একদিকে করতোয়া নদী অন্যদিকে ফসলের ক্ষেত। তখন হয়তো সকাল আটটা কি সাড়ে আটটা হবে। এ সময় লোকজনের তেমন চলাচল নাই বললেই চলে। ১০/১৫ মিনিট অপেক্ষার পর একজনকে পেলাম । সে এদের আমাদের বাড়ীতে পৌঁছে দিতে রাজী হলো। তাকে বললাম এদের যেন খাবার দিয়ে আমাদের বাড়ীতেই রাখে । আমি সন্ধ্যায় এসে কথা বলবো। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে কথা বললাম। আমার দাদা জানালো আদি কাল থেকেই অগ্রহায়ন মাসে ধান কাটার মৌসুমে রংপুর এলাকা থেকে প্রচুর কামলা এ দিকে আসে। তারা অনেক কাজ পায়। কিন্তু কার্তিক মাসে ভুল করে কেউ কেউ আসে তাদের অনেক কষ্ট হয়। এ দিকেও তেমন কাজ থাকেনা তখন। যা হোক দিনাদুয়েক থাকার পর চাচা চলে যেতে চাইলো। তাকে রাহা খরচা এবং সাথে আরো কিছু হাতখরচা দিয়ে বিদায় দিলাম। তবে ভাতিজা সাত্তার আর ফিরে যেতে চায়না । সে আমাদের বাড়ীতে থেকে যেতে চাইলো। আমাদের বাড়ীতে সে অনেক বছর ছিল। পরে আমার ছোট ভাই স্থানীয় ক্যান্টনমেন্টের এক ঠিকাদারের অধীনে তাকে ধোপার কাজে লাগিয়ে দেয়। সে যে ইউনিটে কাজ করতো সে ইউনিট এক সময় আফ্রিকার একটি দেশে জাতিসংঘের অধীনে শান্তি মিশনে যায়। ধোপী হিসাবে সাত্তারও সাথে যাবার সুযোগ পায়। আমার সাথে দেখা হওয়ার বছর বিশেক পরের ঘটনা এটি।  আমি ততদিনে ঢাকায় বদলী হয়ে এসেছি। শান্তি মিশনে যাবার আগে সাত্তার আমাকে মোবাইলে কল করে। জানায় সে বিদেশ যাচ্ছে বৌ –বাচ্চাকে রেখে, ছয় মাস বা এক বছরের আগে সে হয়তো আর আসতে পারবেনা। এতদিন চলার জন্য বৌয়ের হাতে কিছু টাকা দিয়ে যেতে হবে। আমার কাছে সে হাজার বিশেক টাকা ধার চায়। আমার কাছে তখন তেমন নগদ টাকা হাতে ছিলনা। আমি বললাম স্থানীয় কারো কাছ থেকে ধার নেয়া যায় না ? সে জানালো কন্ট্রাকটার টাকা দিতে চায় কিন্তু অনেক সুদ চায়। আমি দুই দিন পরে ফোন করতে বললাম। টাকার ব্যবস্থা করে দিলাম। সে খুব খুশী । বারবার বলতে লাগলো বিদেশ থেকে কি আনতে হবে। আমি জানালাম কিছুই না। অনেক দিন হয়ে গেছে –তার আর কোন খবর নাই । এক সময় আমি তার সন্ধান করে জানতে পারলাম সে মাস দুয়েক আগেই দেশে ফিরে এসেছে। মিশনের টাকাও পেয়েছে। আমি আমার টাকা ফেরৎ পাবার আশায় তার কাছে লোক পাঠালাম। সে নাকি বলেছে সব টাকা দিয়ে দেশে সে জমি কিনেছে , টাকা শোধ দিতে পারবে না আর তার স্ত্রী নাকি বলেছে এ কয়টা টাকা না নিলে তাদের এমন কি ক্ষতি হবে ? পরে আবার অন্য একজন টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে তার স্ত্রী নাকি মারমুখী হয়ে উঠেছিল। আবার কোন তাগাদা দিতে আমি সবাই কে নিষেধ করে দিলাম।

টাকা ধার দেবার এ কাহিনী ছাপিয়ে আজ আমার চোখে এখনও ভাসছে সেদিন রাস্তায় পড়ে থেকে ঘোলা ঘোলা দুটি অবিশ্বাসী চোখ দিয়ে আমার মাঝে আশ্রয় ও ভরসা খোঁজার তার মলিন কিন্তু তীক্ষ্ণ দৃষ্টি। তার খবর আর জানিনা। যেখানেই থাক- আল্লাহ তা”লা যেন সাত্তারকে ভাল রাখেন।(ক্রমশঃ)

বাংলাদেশ সময়: ২১:৪৯:৩৫   ৪৮৪ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

বিনোদন’র আরও খবর


১৬ ব্যান্ডের সবচেয়ে বড় কনসার্ট আজ আর্মি স্টেডিয়ামে
এবার হিন্দি সিনেমার নায়িকা বাংলাদেশের জয়া আহসান
আজ আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস, —”পুরুষ ও ছেলেদের সাহায্য করো”
শুভ জন্মদিন সুরের পাখী রুনা লায়লা
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্রে সানি লিওনের ছবি!
রক্তাক্ত অমিতাভ বচ্চন হাসপাতালে
চঞ্চল,মেহজাবীন, তিশা, ফারিণ,পলাশ, শাহনাজ খুশি -সবাই গেলেন আমেরিকায়
দুই না তিন পুত্র সন্তানের বাবা শাকিব খান! সূত্রঃ জনকন্ঠ
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়নের অগ্রদূত : স্পিকার ; ১০০০ নারী উদ্যোক্তা’র মধ্যে ৫ কোটি টাকার অনুদান প্রদান
বুবলীর সন্তানের বাবা শাকিব খান, বয়স আড়াই বছর

আর্কাইভ