“রঙ্গে ভরা আমার ব্যাংকিং জীবন “-জালাল উদদীন মাহমুদ

Home Page » বিনোদন » “রঙ্গে ভরা আমার ব্যাংকিং জীবন “-জালাল উদদীন মাহমুদ
সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮



 

জালাল উদদীন মাহমুদ

৪৬ তম কিস্তি—
ডেমাজানি শাখা ,বগুড়া ৬ষ্ঠ পর্ব।

ডেমাজানি শাখাটি আমার বাসা থেকে তিন কি সাড়ে তিন মাইলের মত দুরে। তবে পাকা রাস্তা দিয়ে যেতে বা আসতে চাইলে আমাকে যেতে ও আসতে প্রতিবার দুই বার করে একদিনে মোট চারবার করতোয়া নদী পার হতে হতো। আর কাঁচা রাস্তা ব্যবহার করলে করতোয়া নদী পারই হতে হতোনা । একটা ধাঁধার মত হয়ে গেল, না ? পরবর্তীতে কেউ না হয় ঐ এলাকায় গেলে গবেষনা করে সত্যতা যাচাই করবেন। তবে আমার জীবনের সত্যতা এই যে আমি চোখ বন্ধ করে যদি অতীত জীবনের দিকে তাকাই তবে কর্মস্থল সমূহের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল হয়ে ধরা দেয় এই ডেমাজানি। পল্লী শাখা। পল্লী এলাকায় অবস্থিত। শহরের কোলাহল মুক্ত। বাংলার ষড়ঋতুর শতাধিক রূপ অনুধাবনের উপযুক্ত স্থান বটে। ব্যাংকে নিত্য সাথী ছিল আমার বাড়ীর পাশের সেকেন্ড অফিসার জামাল উদ্দিন ও একদম স্থানীয় অস্থায়ী পিওন রাজকুমার। আরো ছিল আমার সমবয়সী রনজু আর আমার এক বছরের বড় কিন্তু একই স্কুলের ছাত্র রফিক । এছাড়াও ছিল গার্ড সোলায়মান ও আরো ২ জন মাঠ সহকারী ও একজন ক্যাশিয়ার আর করতোয়া নদী ।একে একে সবার কথা আসবে। তবে সবার আগে করতোয়া নদীর কথা বলতে চাই।
করতোয়া নদীর নামটি দুটি বাংলা শব্দ কর বা হাত এবং তোয়া বা পানির সমন্বয়ে গঠিত। বখতিয়ার খিলজি যখন ১১১৫ সালে বাংলার উত্তরাঞ্চল দখল করেন সে সময় করতোয়া নদী গঙ্গা বা পদ্মার চেয়ে তিন গুণ বড় ছিল। করতোয়া নদী, বগুড়া জেলার মহাস্থানগড় দিয়ে (যা পুণ্ড্রনগর নামে পরিচিত ও প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধন নগরীর রাজধানী) প্রবাহমান। মহাভারতেও করতোয়া নদীর পবিত্র পানির কথা উল্লেখ রয়েছে।মহাভারতে বলা আছে যে, তিনদিন উপবাসের পর করতোয়া নদীতে ভ্রমণ করা অশ্বমেধা (ঘোড়া বলিদান) এর সমান পূণ্যের সমান।মহাভারতে বর্ণিত করতোয়ার এই মাহাত্ম্য এর অতীত ঐতিহ্যের বিষয়টি প্রমাণ করে। আরেকটি প্রাচীন শহর শ্রাবস্তী, খুব সম্ভবত মহাস্থানগড়ের উত্তরে করতোয়ার পাড়ে অবস্থিত ছিল। অবশ্য শ্রাবস্তীর সম্ভাব্য অবস্থান নিয়ে বিতর্ক আছে। কবি জীবনানন্দের কাছে বনলতার সেনের মুখায়ব প্রতীয়মান হয়েছিল শ্রাবস্তীর কারুকার্যের মতো। ১৭৮৭ সালের ২৭ আগস্ট তিস্তায় এক প্রলয়ঙ্করী বন্যা হয়। এ বন্যার ফলেই করতোয়ার সঙ্গে তিস্তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তিস্তার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর করতোয়া তার মূল স্রোতধারা হারিয়ে খর্বকায় হতে থাকে। ধীরে ধীরে করতোয়া পাঁচটি অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে।বর্তমানে তাই উত্তরবঙ্গে পাঁচটি করতোয়া নদী আছে এছাড়াও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন ছোট ছোট নদীও করতোয়া নামে প্রচলিত ।
প্রকৃতির শান্ত শিষ্টরূপের সাথে অধুনা যৌবন লুপ্ত সেই করতোয়া নদী তখনও অনেকটা যৌবনবতী ছিল । বর্ষাকালে বিপুল জলরাশি যখন তার জিম্মায় আসতো তখন তার সে কি দাপাদাপি। ছয় ঋতুকে তার মিনিমাম ১৮টি রূপ। ঋতুর শুরুতে একরকম, মাঝখানে একরকম আবার শেষদিকে অন্যরকম। পাকা রাস্তা দিয়ে আসতে চাইলে আমাকে আবার এ নদী প্রত্যহ দুই বার করে দৈনিক মোট ৪ বার পার হতে হতো, যা আগেই বলেছি।

চাকুরী কালীন একমাত্র এখানেই বাংলার ষড়ঋতুর রুপ নিবিড়ভাবে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। বাহিরের চোখ বন্ধ করে হৃদয়ের চোখ খুলে দিলে এখনও আমি সে সব দিনে ফিরে যেতে পারি।

মনে পড়ে ষড়ঋতুর আসা যাওয়ার পালায় কাঠফাটা রৌদ্র নিয়ে একদিন হাজির হতো চৈত্র। তবে মাঠে মাঠে ইরিধানের জমিতে সেচের জন্য পানি দেয়া থাকতো এবং সবুজ সবুজ চারা গাছে সারা দিকে ছেয়ে যেত বিধায় এত তীব্র রোদেও অন্ততঃ দৃষ্টি জুড়াতো। আবার মাথার উপর অনলবর্ষী সূর্যের তাপ অগ্রাহ্য করে কৃষকরা ইরিক্ষেতের পরিচর্ষা করতো দেখে বাঙ্গালীদের কঠোর পরিশ্রমী রূপও চোখে পড়তো। তখন বুঝেছিলাম চৈত্র -বৈশাখ পাড়ি দেওয়া বাঙালী জাতির নতুন প্রজন্ম যে মধ্যপ্রাচ্যের মরুতে চষে বেড়াতে পারবে তাতে অবাক বিস্ময়ের কিছু নাই। বর্ষাকালে ব্যাংকে যাবার রাস্তায় যেমন কাঁদায় পা ডেবে যেত ,চৈত্র বৈশাখে তেমনি কাঁচা রাস্তার ধুলাতেও পা আটকে যেত।
চৈত্রের কাঠফাটা রোদের মাধ্যমেই গ্রীষ্মের পদধ্বনি শোনা যেত। বৈশাখ–জ্যৈষ্ঠ এলে রোদের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেত।কিছু দিন আগেও পথে যেতে যেতে এত কোকিলের ডাক শুনতাম – শিমুলের ডালে ডালে এত লাল লাল ফুল দেখতাম তা যেন হঠাৎ কোথায় হারিয়ে যেত । বসন্তের সিজনাল ফুলগুলি বিবর্ণ হয়ে উঠতো - বুঝতাম বাংলায় গ্রীষ্মের আগমন ঘটেছে। ফুলে ফুলে না হোক ফলে ফলে অবশ্য গাছগাছালি ভরে যেত । গ্রীস্ম ফুলের ঋতু নয় ,ফুল ফোটাবার তাড়াও নাই তার , শুধু ফলের ডালা সাজিয়েই নিঃশব্দে বিদায় নেয় সে। রাস্তার দু পাশে কত ফলের গাছ-আম, জাম, জামরুল,কাঠাঁল ,আনারস,পেয়ারা,লিচুতে ভরে থাকতো। ক্ষেতে দেখতাম তরমুজ -বাঙ্গি । নিজের বাড়িতে এবং ব্যাংকে যাওয়া –আসার পথে চোখের সামনেই- আমের বোল ধরতো ,গুটি হতো , গুটি গুলো বড় হতো , কাঁচা আমের গায়ের বরণ আস্তে আস্তে পরিবর্তিত হতো ।আর আমি চেয়ে চেয়ে দেখতাম। দআম নিয়ে ছোট বেলায় শেখা একটা ছড়া খুব মনে পড়তো-

পোষে কুশি মাঘে বোল,
ফাগুনে গুটি, চৈত্রে আঁটি
বৈশাখে কাটি কুটি,
জ্যৈষ্ঠে দুধের বাটি,
আষাঢ়ে বাজায় বাঁশি।
মাটিতে ফেলে রাখা রুপান্তরিত আমের আঁটি ঘষে আষাঢ় মাসে ভেপুবাঁশি বাজানো হতো।

মনে হত ছোট বেলার সেই আম বাগানে আবার একবার হারিয়ে যাই। ছোট কালে কুড়ে পাওয়া একটি পাকা আমের মূল্য সন্তষ্টির মূল্যমানে হিসাব করলে এখনকার ৩/৪ টি ইনটেনসিভ বোনাসের চেয়ে বেশী বই কম হবেনা।
বৈশাখ মাসে আমের গুঁটি একটু বড় হতেই স্কুলের সাথী রশিদ চুপিচুপি ডেকে নিয়ে যেত বাড়ীর পাশের হাটখোলায় । আমি তেমন গাছে উঠতে পারতাম না। রশীদ বাড়ী থেকে ছোট চাকু আর কৌটায় ভরতি লবণ ও মরিচের গুঁড়া সর্ষের তেল দিয়ে মেখে নিয়ে আসতো । আমি নীচে সেগুলি নিয়ে অপেক্ষা করতাম। আর সে গাছ থেকে আম পেড়ে নিয়ে আসতো । কাঁচা আম ছিলে মেখে আমরা দুজন খুব মজা করে খেতাম । কাঁচা আমের প্রতি সেই ছোট বেলা থেকেই আমার খুব লোভ।অন্য সময় শান্তশিষ্ট থাকলেও জ্যৈষ্ঠ মাসে আমরা একটু বেশি দুরন্ত হয়ে উঠতাম।ঝড় উঠলেই মুরব্বিদের বাঁধা নিষেধ অমান্য করেই ছুটে যেতাম আমগাছ তলায়।গাছে উঠে পাকা জাম পেড়ে খেয়ে মুখ রঙিন করার হিড়িক পড়ে যেত।

ছোটবেলা থেকেই ঝড়ে বা অন্য কোন কারনে আমের বোল বা গুটি ঝরা দেখলে কেন জানিনা আমার খুব দুঃখ পায়। সে সময় রাস্তায় যেতে আসতে আমের বোল ঝরা বা গুটি ঝরা প্রায়ই চোখে পড়তো। বৃষ্টিভেজা মাটিতে আমের মুকুল ঝরে পড়ে থাকার দৃশ্য বা পাকা জাম থেতলিয়ে মাটি তে পড়ে থাকা দেখলে আমার মনে অন্যরকম এক বিরহের অনূভূতি এনে দিত।এখন অবশ্য জানি আমে যতগুলো ফুল আসে তার ২০ থেকে ২৫ ভাগ গুটি আম হিসেবে টিকে থাকে। আবার আমে যতগুলো ফুল আসে তার শতকরা দশমিক ১ ভাগ আম হিসাবে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে যেগুলো আমরা আম ফল হিসাবে খেতে পারি। আমের ফুল আসা থেকে আম হওয়া পর্যন্ত এত কম পরিমাণে আম পাওয়ার একটি কারণ হলো- আমের ফুল ও গুটি ঝরা।

টুপ করে শেষ হয়ে যাওয়া শীতের দুপুরের কথা ভুলে গেলেও গ্রীষ্মের সেই দুপুর গুলোর কথা এখনও ভুলতে পারি না। কৃষি ঋণ আদায়ে মাঝেমধ্যে আমাকে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ঘুরতে হতো। মটর সাইকেলে একজন মাঠ সহকারী সহ বের হতাম। খাঁ খাঁ রোদ্দুর আর তপ্ত বাতাসের আগুনের হলকা মাথায় নিয়ে মাঝে মাঝে ফিরতাম গ্রীষ্মের দুপুরে। রাস্তার মোড়ে ঝাঁপখোলা দোকান-পাটে ঝিমধরা দোকানীর কাছে বসে মাঝে মাঝে চা -পান খেতাম । কম বয়সী ছেলেদের ভরদুপুরে পুকুরের পানিতে ঝাঁপাঝাঁপি করতে দেখলেই মুহূর্তের জন্য হলেও শরীর-প্রাণ সে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে সিক্ত হতে চাইতো।
বই পুস্তকে পড়েছিলাম বাংলার ৬টি ঋতুর দুপুর বেলার মধ্যে একমাত্র গ্রীষ্মকালের দুপুর হাজির হয় স্বমহিমায়। গ্রীস্মের দুপুরে অফিসের বাহিরে বের হলে বাংলায় দুপুর কেন আলাদা মহিমা বহন করে তা টের পেতাম। কর্মব্যস্ত সকাল হারিয়ে যেত গ্রীষ্মের দুপুরে। আকাশ থেকে আগুন ঝরে, বাতাস থেকে আগুন ঝরে সে আগুনে পুড়ে যায় গাছ পালা, পশু পাখি মানুষজন। কালো কালো রোদে পোড়া ঘেমে নেয়া থাকা মানুষগুলোকে তখন কুশল জিজ্ঞাস করতেও সংকোচ লাগে। এমন দিনের দুপুরে ফিল্ড থেকে অফিসে এসে দেখতাম হয়তো কারেন্ট নাই। ঘাম মোছার জন্য একটা তোয়ালা হাতে নিয়ে দাঁড়াতাম নিকটের একটা গাছ তলায়। পাতার আড়ালে ঘুঘু পাখির উদাস–করা ডাক শুনে ঘুমঘুম লাগতো। কর্মমুখর দিনে গ্রীষ্মের দুপুর যেন শেষ হতে চায় না। এমন দুপুরে মনে হতো সময় যেন কিছুটা ধীরগতিতে অগ্রসর হচ্ছে।
গ্রীষ্ম ঋতুর সঙ্গে হাত ধরাধরি করে কালবৈশাখী ঝড়ের আগমন ঘটে আমাদের দেশে ।গ্রীষ্মকালের শেষার্ধ্বে দু” একবার কালবৈশাখীর খপ্পরেও পড়েছিলাম। নয়ন মেলে কালবৈশাখী রুদ্র রুপ দেখার সৌভাগ্য অবশ্য তেমন হতো না। রাস্থার ধারের কোন গৃহস্থের ঘরের বারান্দায় আশ্রয় নিয়ে চোখ বন্ধ করে রাখতে হতো। না হলে যে চোখে ধুলা ঢুকবে। মাঠে মাঠে ধুলোওড়া বাতাসেরও সম্মুখীন হতে হতো। সারা শরীর ধুলায় ভরে যেত। ধুলি স্নাত হয়ে ব্যাংকে এসে হাত দিয়ে ঝেড়ে ঝেড়ে শার্ট প্যান্টের ধুলো পরিস্কার করতাম। রাজকুমার আমার অনুমতি নিয়ে শার্ট প্যান্টের গায়ে চড়-খাপ্পড় মেরে ধুলি পরিস্কারের চেষ্টা করতো। অফিস ছুটির পর সন্ধ্যাসমাগত সময়েও মাঝে মাঝে এলাকায় ধেয়ে আসতো বজ্রবিদ্যুৎসহ কালবৈশাখী ঝড়। বড় বড় গাছের ডাল ভেঙ্গে কখনও কখনও রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতো। আমাকে একবার মটর সাইকেল ঘুরিয়ে নিয়ে বিকল্প রাস্তা দিয়ে বাড়ী ফিরতে হয়েছিল। আমি তো কোন ছার ,বিমানচালকেরাও কালবৈশাখী ঝড়কে এড়িয়ে চলে।কালবৈশাখির অসংকোচ দুরন্ত সাহসই যুগ যুগ ধরে এ দেশের মানুষকে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকার প্রেরণা দিয়ে আসছে।

গ্রীষ্মের তপ্ত আকাশে এক সময় দেখা যেত সজল–কাজল ঘন ঘন মেঘ।নেমে আসতো স্বস্তির বৃষ্টি। গ্রীষ্মের দুপুরের ঝিমধরা প্রকৃতি আর নিশ্চল স্থবির জনজীবন,শস্যহীন মাঠ,নদীর ঘাটে বাঁধা নৌকা,রোদ ঝলসানো তপ্ত বাতাসের এই পরিচিত দৃশ্যের কথা এক সময় ভুলে যেতাম বর্ষার আগমনে। ।
তবু আজো আমার মনে গ্রীষ্মের শান্ত দুপুর গুলোর সে রেশ রয়ে গেছে যা মনে হলে অন্য এক উপলদ্ধির জগতে চলে যাই আমি।(ক্রমশঃ)

বাংলাদেশ সময়: ২২:০৭:১১   ৫৬১ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

বিনোদন’র আরও খবর


১৬ ব্যান্ডের সবচেয়ে বড় কনসার্ট আজ আর্মি স্টেডিয়ামে
এবার হিন্দি সিনেমার নায়িকা বাংলাদেশের জয়া আহসান
আজ আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস, —”পুরুষ ও ছেলেদের সাহায্য করো”
শুভ জন্মদিন সুরের পাখী রুনা লায়লা
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্রে সানি লিওনের ছবি!
রক্তাক্ত অমিতাভ বচ্চন হাসপাতালে
চঞ্চল,মেহজাবীন, তিশা, ফারিণ,পলাশ, শাহনাজ খুশি -সবাই গেলেন আমেরিকায়
দুই না তিন পুত্র সন্তানের বাবা শাকিব খান! সূত্রঃ জনকন্ঠ
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়নের অগ্রদূত : স্পিকার ; ১০০০ নারী উদ্যোক্তা’র মধ্যে ৫ কোটি টাকার অনুদান প্রদান
বুবলীর সন্তানের বাবা শাকিব খান, বয়স আড়াই বছর

আর্কাইভ