৪৪ তম কিস্তি—
ডেমাজানি শাখা ,বগুড়া ৪র্থ পর্ব।
লুৎফর রহমান সরকার এর সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ-
১৯৩৪ : জন্ম ১ ফেব্রুয়ারি। ফুলকোট, , ডেমাজানি ,শাজাহানপুর বগুড়া।
১৯৫৫ : এমএ পাস। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯৫৬ : অ্যানালিস্ট, মনিটরিং বিভাগ, ব্রডকাস্টিং হাউজ, রেডিও পাকিস্তান, করাচিতে প্রথম চাকরিতে যোগদান। চাকুরী পরীক্ষায় তিন শতাধিক পরীক্ষার্থী ছিল। তিনি প্রথম স্থান লাভ করেন ।
১৯৫৭ : পাকিস্তানের করাচিতে অফিসার হিসেবে তৎকালীন হাবিব ব্যাংকে লিঃ ( বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ব অগ্রণী ব্যাংক লিঃ) যোগদান।
১৯৬৪ : উচ্চতর ব্যাংকিং প্রশিক্ষণের জন্য লন্ডন গমন।
১৯৬৫ : সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, পাকিস্তান।
১৯৭২ : ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে রূপালী ব্যাংক লিঃ, -এ যোগদান।।
১৯৭৫ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে খন্ডকালীন শিক্ষকতা শুরু। শিক্ষকতা করেন ২০০৬ সাল পর্যন্ত।
১৯৭৬ : অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডে জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে যোগদান ও পরবর্তীতে ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে পদোন্নতি ।
১৯৮৩ : ম্যানেজিং ডিরেক্টর, সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশ।
১৯৮৫ : এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, বাংলাদেশ ব্যাংক।
১৯৮৬ : ‘বিকল্প’ মামলায় সামরিক আদালতের বিচারের রায়। দীর্ঘ ৮১ দিন কারাভোগের পর মুক্তিলাভ।
১৯৮৭ : চিফ অ্যাডভাইজার, ইসলামী ব্যাংক লিঃ।
১৯৯৫ : ম্যানেজিং ডিরেক্টর, প্রাইম ব্যাংক লিঃ।
১৯৯৬ : গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক।
১৯৯৯ : চিফ অ্যাডভাইজার, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিঃ।
২০০৫ : ১৫ এপ্রিল ২০০৫ তারিখে ব্যাংকিং চাকরি থেকে অবসর গ্রহন।।
মৃতুঃ ২৪ জুন ২০১৩ সালে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে মারা যান। । মৃত্যু কালে বয়স হয়েছিল প্রায় ৮০ বছর। বগুড়ার আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে মরহুমের জানাজা শেষে শহরের ঠনঠনিয়ায় দক্ষিণ বগুড়া কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে দেশের ব্যাংকিং শাখার উন্নয়নে সাবেক এই গভর্নরের অবদানের কথা স্মরণ করে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছিলেন। এছাড়া লুৎফর রহমানের এক সময়ের সহপাঠী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত শোক প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে বলেছিলেন “হাবিব ব্যাংক দিয়ে লুৎফর রহমান তার কর্মজীবন শুরু করেন। ব্যাংকার হিসেবে তার তুলনা হয় না। গভর্নর হিসাবে তিনি ব্যাংকিং খাতকে একটি সুশৃঙ্খল ভিত্তির উপরে দাঁড় করিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন।”
প্রকাশিত বই সমূহঃ-
রম্যরচনা গ্রন্থ : দৈনন্দিন (১৯৬৭), সূর্যের সাত রং (১৯৭৬), জীবন যখন যেমন (১৯৮০), কতিপয় জনপ্রিয় কার্যকলাপ (১৯৮৮)।
ছড়ার বই : টিয়ে পাখির বিয়ে, নতুন বউ, খুকুমণির শ্বশুরবাড়ি।
সংকলন : হাদিসের বাণী (২০০২), বরণীয়জনের স্মরণীয় বাণী (২০০২)।
যে সব প্রতিষ্ঠানে জড়িত ছিলেন-
ট্রাস্টি, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র,বাংলাদেশ, ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম) এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা এবং ব্যাংকার্স ক্লাব (পরবর্তীতে এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স) এর প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা ও প্রথম সভাপতি।
এই অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) যৌথভাবে লুৎফর রহমান সরকারকে তার জীবদ্দশায় ২০১০ সালে ডিসেম্বর মাসে রাজধানীর র্যাডিসন হোটেলে সংবর্ধনা প্রদান করেছিল।
লুৎফর রহমান সরকার –এর সাথে আমার এ জীবনে দুই বার দেখা হয়েছিল।
(ক্রমশঃ)
বাংলাদেশ সময়: ২১:৫৫:০৬ ৪৮৬ বার পঠিত #bangla news #bangladeshi News #bd news #bongo-news(বঙ্গ-নিউজ) #জাতীয় #শিরোনাম