বঙ্গ-নিউজ: পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র সঙ্গে বিএনপি নেতারা বৈঠক করেছেন এমন বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সোমবার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে গুলশানের বিএনপির চেয়ারপারসেন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
এসময় বিএনপির সঙ্গে আইএসআই’র বৈঠকের বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ যে বক্তব্য দিয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, এই বক্তব্য শুধু বিএনপিকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য। আওয়ামী লীগের এই প্রবণতা আছে যে বিএনপিকে এমন সংস্থা বা দেশের সঙ্গে যুক্ত করে বিপদে ফেলতে চায়। আমরা সব সময় জনগণের মতামত নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছি। কোনো সংস্থা বা দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নেই।
তিনি আরো বলেন, প্রথমে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহমান, পরে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা নাকি পাকিস্তানি দূতাবাসের সঙ্গে বসেছি। আব্দুর রহমানকে না হয় বাদ দিলাম। তিনি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। ওবায়দুল কাদের সাহেব এর মতো দায়িত্বশীল নেতা মুখ দিয়ে এমন চরম জঘন্য মিথ্যাচার শুধু অপ্রত্যাশিতই নয়, এটি রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
ওবায়দুল কাদের ও আবদুর রহমানের বক্তব্য প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।’
মির্জা ফখরুলের অভিযোগ, সরকারি অর্থ ব্যয় করে তারা এই জঘন্য মিথ্যাচারের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও প্রিন্ট মিডিয়াকে ব্যবহার করছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তিন শতাধিক ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলেছে, যার একমাত্র উদ্দেশ্য বিরোধী দল ও খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা, নোংরা ছবি ছড়ানো এবং মিথ্যা ও বানোয়াট গল্প তুলে ধরা।
বিএনপির নেতাদের ছবি নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে, দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই ধরনের চরিত্রহনন ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। আমরা এখন থেকে মামলা করা শুরু করব। দেখব সরকার সেগুলোর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা ড. কামাল হোসনকে নিয়ে একটি কার্টুন দেখিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, কার্টুনকে আমি কিছু মনে করি না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী বা আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে এই ধরনের কার্টুন দেওয়াতে অনেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ৭ বছর জেলও হয়েছে। আমাদের অনেক অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টকেও জেলে রাখা হয়েছে।
এ সময় ফখরুল সব অনলাইন অ্যাকটিভিস্টের মুক্তি দাবি করেন।
৫৮ টি অনলাইন পোর্টাল বন্ধের সুপারিশের নিন্দা জানান মির্জা ফখরুল। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং ৫৭ ধারা অবশ্যই বাতিল করব।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:১২:১১ ৭৯৪ বার পঠিত #bangla news #bangladeshi News #bd news #bongo-news(বঙ্গ-নিউজ) #জাতীয় #শিরোনাম