বঙ্গ-নিউজ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সরে না দাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (০৩ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে ওলি আহাম্মেদের নির্বাচন বয়কট করা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা উৎসবমুখোর পরিবেশে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চাই। যারা পরাজয় নিশ্চিত জেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তারা দোষারোপের কথা বলে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর পথ খোঁজবে। এটা নতুন কিছু নয়। আমারা আহ্বান জানাবো জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচন থেকে সরে না দাড়ানোর। একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসার মাঝে কোন আনন্দ নেই। এটা ওয়ান সাইডেড গেম, ওয়ান সাইডেড ম্যাচ হোক আমরা চাই না। প্রধানমন্ত্রীও ফাকা মাঠে নির্বাচন করতে চান না।’
খালেদা জিয়ার প্রার্থীতা বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কাদের অযোগ্য করা হবে তা নির্বাচন আচরণ বিধিতে সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে, দু’বছরের অধিক কারাদণ্ড, ঋণখেলাপীদের অযোগ্য করে কমিশন আইনে। বেগম জিয়ার দুই বছরের অধিক কারাদণ্ড হয়েছে, তাই তিনি অযোগ্য হয়েছেন। এখানে সরকারের কোন হাত নেই। আমরাও বহু জায়গায় ভয়ে ছিলাম প্রার্থীতা বাতিল নিয়ে, বিশেষ করে হাজী সেলিমের আসনে, তাই সেখানে আর একজন প্রার্থী দিয়েছে। সৌভাগ্যের বিষয় হলো হাজী সেলিম টিকে গেছেন। এটা আমাদের কী করার আছে।’
হাজী সেলিমের প্রার্থীতা বৈধতা প্রসঙ্গে বিএনপির কড়া অভিযোগের আলোকে তিনি এ কথা বলেন।
প্রার্থী বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারে থাকলেও নির্বাচন কমশনের উপর কোন প্রকার হস্তক্ষেপ পূর্বেও করিনি এবং ভবিষ্যতেও করবো না। নির্বাচন কমিশন কাকে যোগ্য আর কাকে অযোগ্য ঘোষণা করবেন সেটা শুধু মাত্র নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। আমাদের উপর দোষারোপ করা অন্যায় হবে বলে তিনি জানান।
কাদের বলেন, আমারা যদি নির্বাচন কমশনে হস্তক্ষেপ করে থাকতাম, তবে কী করে আমদের অন্যতম শরীক জাতীয় পার্টি মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারের প্রার্থীতা বাতিল হতো? রুহুল আমিনের প্রার্থীতা বাতিল হওয়াতে আমদের মনোকষ্ট হচ্ছে না। অতএব এ থেকে স্পষ্ট নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। এখানে হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
কর্নেল ওলির সঙ্গে ফোন আলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে আমি আশ্বস্থ করতে চাই, আপনারা নির্বাচনে থাকুন, সরকার নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অক্ষুণ্ন রাখতে সচেষ্ট থাকবে। কোন রকম বৈরি পরিবেশ তৈরি করবে না। আমরা নির্বাচন কমিশনে হস্তক্ষেপ করবো না। আমি সরকারের একজন প্রতিনিধি হিসেবে বলছি, নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করা হবে এবং প্রশাসনকেও সহযোগিতা করার জন্য বলা হয়েছে। কারণ দলের দায়িত্বশীল পদে থেকে এখন একটা কথা বললাম আর ২৫/২৬ দিন পরে সেটা রক্ষা করতে পারলাম না সেটা চাই না। আমরাতো দেশ ছেড়ে যাবো না, আমাদের এ দেশেই থাকতে হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মির্জা আজম, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, কামাল আরও অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:১৯:১৪ ৪৬৫ বার পঠিত #bangla news #bangladeshi News #bd news #bongo-news(বঙ্গ-নিউজ) #জাতীয় #শিরোনাম