বঙ্গ-নিউজ: বিএনপির গঠনতন্ত্রের সংশোধনী গ্রহণ বিষয়ে আদালতের দেয়া নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে নির্বাচন কমিশন। আদালতের বেঁধে দেয়া এক মাস সময়ের মধ্যে বিষয়টি নিস্পত্তি করা হবে।
শনিবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে দলের সদস্যপদে রাখতে এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে গঠনতন্ত্র থেকে সাত নম্বর ধারা তুলে দিয়ে গঠনতন্ত্র সংশোধন করেছে বিএনপি। সংশোধীত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে দলটি। আর বিএনপির গঠনতন্ত্রের এ সংশোধনীটি গ্রহণ না করতে বুধবার নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
এক রিটের প্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশনা দিয়েছেন শনিবার (৩ নভেম্বর) সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ৩৮তম কমিশন সভার আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনার পর সভা মূলতবী ঘোষণা করা হয়। আজ বিকাল ৩টায় মূলতবী সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ইসি সচিব।
বিএনপির গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করার জন্য আদালতের নির্দেশনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, যেহেতু আদালতের পর্যবেক্ষণ রয়েছে সেহেতু কমিশন সভায় এটা উপস্থাপন করব।
আদালত যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে তা বাস্তবায়নের জন্য। বিএনপির আবেদন ইসি গ্রহণ করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু আমরা পেয়েছি আমাদের নথিতে আছে। যেহেতু আদালতের পর্যবেক্ষণ আছে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য কমিশনে উপস্থাপন করব। যেহেতু হাই কোর্ট এক মাস সময় দিয়েছে, এক মাসের মধ্যে আমরা নিস্পত্তি করব।
সচিব বলেন, এখন পর্যন্ত তফসিলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
রবিবার (৪ নভেম্বর) বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে তফসিল কবে ঘোষণা করা হবে। শুধু ভোটের তারিখ নয়, বিস্তারিত তফসিল চূড়ান্ত করার বিষয় রয়েছে। রবিবার (৪ নভেম্বর) একটা প্রাথমিক বৈঠক হবে। রবিবার (৪ নভেম্বর) বৈঠক করে বুঝতে পারব চূড়ান্ত হবে কিনা। আশা করছি এই সপ্তাহে তফসিল হবে। এ সপ্তাহে তফসিলের প্রস্তুতি রয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার প্রস্তুতি এখনও আমাদের রয়েছে।
সংলাপের কারণে ঐক্যফ্রন্ট তফসিল পেছানোর দাবি করে যে চিঠি দিয়েছে সে প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ঐক্যফ্রন্টের চিঠির বিষয়ে আমরা কিছু জানিনা। আমরা চিঠি এখন পর্যন্ত পাইনি। নির্বাচন কমিশনও অবহিত হয়নি। মূলতবী করা কমিশন সভায় বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হবে।
অনলাইনে মনোনয়ন জমা প্রসঙ্গে সচিব বলেন, অনলাইনে মনোনয়ন জমার জন্য স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে না। প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন ফরমে সকল তথ্য পূরণ করে এটা ডাউনলোড করবেন। নিজে সাক্ষর করবে এবং প্রস্তাবক ও সমর্থকরা সাক্ষর করবেন। এর সঙ্গে আনুসাঙ্গিক কাগজপত্র পিডিএফ আকারে অনলাইনে রিটার্নিং অফিসার বরাবর জমা দেবেন। এসএমএস বা ইমেইলের মাধ্যমে জমা নিশ্চিত করা হবে।
সচিব জানান, গতকালের সভায় চূড়ান্ত প্রস্তুতি হিসেবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের প্রস্তুতি সর্ম্পকে অবহিত করা হয়েছে। আচরণবিধিমালা ও মনোনয়নপত্র মুদ্রণের বিষয়েও অবহিত করা হয়েছে।
কমিশনকে অবগত করা হয়েছে, ভোটগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল সংগ্রহ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুতের কাজ চলমান রয়েছে। প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের স্থানীয়ভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। আরপিও সংশোধনের বিষয়ে যে অধ্যাদেশ জারি হয়েছে তার দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনলাইনে কিভাবে মনোনয়ন দাখিল হবে তার বিধিমালা অনুমোদন হয়েছে। ইভিএম ব্যবহারের যে বিধিমালা বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ৮:৪৭:৩৫ ৫১৩ বার পঠিত #bangla news #bangladeshi News #bd news #bongo-news(বঙ্গ-নিউজ) #জাতীয় #শিরোনাম