১৯তম কিস্তি—
তালোড়া শাখায় ১১ মাস- ১৩ তম পর্ব।
শীঘ্রই বুঝলাম ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষা পাশ না করলে প্রমোশন পাওয়া কঠিন। এটাও অগ্রাধিকারযোগ্য পেন্ডিং এর তালিকায়। যে রফিক সাহেবের সাথে এত ঘনিষ্টতা-তার বাসা পাশেই। বারবার ওয়াদা করা স্বত্ত্বেও তার বাসায় যাওয়া হচ্ছিল না। এটিও পেন্ডিং। তখন ভিসিআর –এ ইন্ডিয়ান ছবিগুলো দেখার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। একজন বারবার তার ঘরে গিয়ে ছবি দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছে –তাও আবার ফ্রি। ফ্রি –এর প্রতি রমিজ সাহেবের আকর্ষন প্রবল , আমারও যে একটু-আধটু নাই তাও নয়। শুনেছিলা “বাঙালি মাগনা (ফ্রি) পাইলে আলকাতরাও খায়। ” দুজনেই একমত- ”শো” দেখার জন্য সময় বের করতেই হবে। দু জনেই সময় বের করতে পারছি না। ব্যাংকেই অনেক রাত হয়ে যাচ্ছে। ছুটির দিনে কেউ তো তালোড়ায় থাকিই না। ভিসিআর –এ ইন্ডিয়ান ছবি দেখার বিষয়টি পেন্ডিংই থেকে যাচ্ছিল।
ভি সি আর (ভিডিও ক্যাসেট রেকর্ডার) শব্দটির সাথে এ প্রজন্মের কেউ কেউ পরিচিত থাকলেও তা হয়ত সবাই দেখে নাই। ঘরোয়া বিনোদনের এক অপার সম্ভাবনা নিয়ে ১৯৫৬ সালে Ampex নামক আমেরিকার একটি ইলেকট্রনিক্স কোম্পানীর মাধ্যমে ভি সি আর –এর পৃথিবীতে আগমন। ১৯৬৫ সালে জাপানের সনি কর্পোরেশন একে কিছুটা সহজলভ্য করে তোলে। তবে ১৯৭৭ সালে জাপানের JVC কোম্পানী VHS নামক ক্যাসেট বাজারজাত করলে তা তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠে। Philips কোম্পানী ১৯৭৮এর দিকে বাজারে আসে।১৯৮০ এর দিকে ভি সি আর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠে। পৃথিবীতে চলচ্চিত্রের উৎপত্তি ১৯১০-এর দশকে হলেও এ জনপদে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নিয়ে আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে ১৯৫০-এর দশকে। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতেই চলচ্চিত্রের প্রায় ৫০ বছরের মত সময় লেগেছে। কিন্তু ভি সি আর –এর ঢেউ দ্রুত এসে লাগে। বিনোদনের জগতে বিশাল পরিবর্তন আসে। ১৯৯৫ সালে DVD এর আবির্ভাব ঘটে। এর আগেই অবশ্য সিডি –এর আগমন ঘটে। দেখা যায় ভিসিআর এর ক্যাসেটের বড়সড় চেহারার তুলনায় CD / DVD অনেক স্লীম , স্থায়ীও বটে এখানে rewind এবং forward করা যায় সহজে। এসব অ্যানালগ নেচারের কারনে নতুন অপটিক্যাল মিডিয়ার CD / DVD এর নিকট ম্যাগনেটিভ টেপের ভিসিআর মার খায়। ৯৮ কি ৯৯ সাল থেকে ভি সি আরের সেই স্বর্ণালী যুগ এক ধাক্কায় শেষ করে দেয় সিডি প্লেয়ার । সিডি প্লেয়ার আসার পর থেকে ভি সি আরের কথা সবাই প্রায় ভুলেই যায়। তবু পৃথিবীর অগনিত ভক্তের কারনে জাপানের ফুনাই কোম্পানী ২০১৬ সাল পর্যন্ত এর উৎপাদন অব্যাহত রেখেছিল। এতোদিনো যে ফুনাই কোম্পানীর ব্যবসা টিকে ছিল সেটাই জানা ছিলোনা অনেকের। ১৯৮৩ সালে জাপানের ফুনাই কোম্পানি তাদের যাত্রা শুরু করেছিল। এমনকি ডিভিডি এর যুগেও ২০১৫ সালে তারা ৭ লক্ষ ৫০ হাজার কপি বিক্রি করেছে। দিন দিন এর য্ন্ত্রাংশ পাওয়া দুস্কর হওয়ায় বাধ্য হয়েই তারা এটি বন্ধ করে দেয়। খবরটি আমার মত নব্বই দশকের দর্শক প্রজন্মের কাছে সত্যিই নস্টালজিক। আজ যখন আমার ছেলেমেয়ে বলে “ইউটিউব যুগে কেউ সিডি শোনে নাকি”? তখনও অবশ্য নস্টালজিক হয়ে পড়ি।
কালো কিংবা সিলভার কালারের ভি সি আর সেট রঙিন টিভি , জেনারেটর সব ভাড়া পাওয়া যেত তখন। বাসায় ভাড়া করার সময় সবার পছন্দ ছিল ফুনাই ভি সি আর সেট। কারন ভি সি আর চলার সময় অন্য সব সেটের তুলনায় ফুনাই সেটটি কোনোরকম সমস্যা ছাড়াই সুন্দর দেখা যেত । অবশ্য কখনও কখনও পুরাতন ক্যাসেট চালানোর ফলে হেডে ময়লা জমলে কাগজ দিয়ে হেড মুছে নিয়ে আবার প্লে করতে হতো। পরিস্কার করার জন্য কেহ কেহ সেভলন ও তুলাও ব্যবহার করতেন। পৃথিবীতে কমবেশী ৪০/৫০ বছর ঘরোয়া বিনোদনের জগতে আলোড়ন তুলে নতুন প্রযুক্তির কাছে হার মেনে বিদায় নিয়েছে ভিসি আর।
সে সময় তালোড়ায় প্রায় অন্ধকার ঘরে ভিসিআরের সহায়তায় নামকরা ভারতীয় হিন্দি চলচিত্র দেখানোর ব্যবস্থা হত।
আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরও দেখেছি এ দেশে উত্তম-সূচিত্রার ছবির অনেক কদর। কোথাও এসব ছবি দেখার ব্যবস্থা হলে হলে দর্শক উপচে পড়তো। অনেকেই অতীত দিনের স্মৃতি রোমন্থন করতো । সবার উপরে (১৯৫৫) শাপ মোচন (১৯৫৫),,সাগরিকা (১৯৫৬)- পথে হল দেরি (১৯৫৭),হারানো সুর (১৯৫৭) রাজলক্ষী ও শ্রীকান্ত (১৯৫৮), সপ্তপদী (১৯৬১), বিপাশা (১৯৬২),ইত্যাদি ছবির ডায়ালগও পুরানো প্রজন্মের অনেকের মুখস্ত ছিল । উত্তম-সুচিত্রা জুটির শুরুটা হয়েছিল ১৯৫২ সালে। নির্মল দের পরিচালনায় ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে। স্যালুনে গিয়ে উত্তম ষ্টাইলে চুল কাটাও একটা হবি হয়েছিল।
‘এই পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো তুমি বলো তো’-উত্তম কুমার মোটর সাইকেলে, পেছনে সুচিত্রা সেন। ‘সপ্তপদী’ সিনেমার এ গান বাঙালি দর্শকের কাছে রোমান্টিক মুহূর্তের চিরন্তন চিত্রায়ন। বাঙালি প্রেমিক-প্রেমিকার কাছে এ পথ চলা অন্তহীন। সেই যাত্রাপথের উত্তম-সুচিত্রার রোমান্টিক জুটি তাই দর্শকের হূদয়ে পেয়েছে অমরত্বের মর্যাদা।
বাঙালি দর্শক প্রথম প্রেম করতে শিখেছে উত্তম-সুচিত্রার রোমান্টিক দৃশ্য দেখে। রোমান্টিকতায় ভরপুর এ জুটি বাঙালিকে শিখিয়েছিলেন কীভাবে ভালোবাসতে হয়। বাঙালি দর্শকের কাছে সে কালে রোমান্টিকতার একমাত্র উদাহরণ তারা। এ দুজনের মাঝেই বাঙালি দর্শক নিজেদের প্রেমকে খুজে পেয়েছে। সুচিত্রা সেনকে অন্ধকার ঘরে রূপালি পর্দায় দেখে তখন একজন ছেলে তার প্রেমিকাকে নিয়ে কল্পনায় ভেসে যেত , কল্পনার জাল বুনতো।
১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর ঢাকায় ভারতীয় ছবি আসা বন্ধ হয়ে যায়। বাংলা সিনেমার তখনকার দর্শক সেদিন উত্তম-সুচিত্রা জুটির পর রাজ্জাক-সুচন্দা জুটিকেই সাদরে নিয়েছিল। সামাজিক-পারিবারিক ছবি বা সে সময়ের লোককথার ছবিতে এ জুটি দর্শক প্রিয় হয়।
ষাট দশকের সেই রোমান্টিক নায়িকা সুচন্দার সঙ্গে রাজ্জাকের দর্শকনন্দিত সিনেমাগুলোতে আনোয়ারা (১৯৬৭), দুই ভাই (১৯৬৮), সুয়োরানী দুয়োরানী (১৯৬৮), কুচবরণ কন্যা (১৯৬৮), মনের মতো বউ (১৯৬৯), সখিনা (১৯৬৯), জুলেখা (১৯৬৮), যোগ বিয়োগ (১৯৭০), জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০), যে আগুনে পুড়ি (১৯৭০), সংসার (১৯৬৮), প্রতিশোধ (১৯৭২), জীবন সংগীত (১৯৭২) এবং অশ্রু দিয়ে লেখা (১৯৭২)।
অন্যদিকে বাংলা সিনেমা জগতের আর এক কিংবদন্তীসম প্রেমিক জুটি ছিলেন রাজ্জাক-কবরী। সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘আবির্ভাব’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাংলা সিনেমায় আবির্ভাব ঘটে এ জুটির। একের পর এক ছবিতে অভিনয় করেছেন তারা। উর্দু সিনেমার জনপ্রিয় জুটি শবনম-রহমান ও শাবানা-নাদিমের বিপরীতে পাল্লা দিয়ে এগুতে থাকে রাজ্জাক-কবরী জুটি। ১৯৬৯ সালে কাজী জহিরের ‘ময়নামতি’ ও মিতার ‘নীল আকাশের নিচে’, ১৯৭০ সালে নজরুল ইসলামের ‘দর্পচূর্ণ’, মিতার ‘দীপ নেভে নাই’, কামাল আহমেদের ‘অধিকার’ চলচ্চিত্রে রাজ্জাক-কবরী জুটির প্রেমের অনবদ্য উপস্থাপন দর্শকের মনে তুমুলভাবে স্থান করে নেয়। । তাদের মুখের প্রেমময় সংলাপকে পর্দার সামনের সব প্রেমিক প্রেমিকারা সবসময়ই নিজের বলে গ্রহণ করেছেন। নিজেদের জীবনের আবেগীয় মুহূর্তে সেসব সংলাপ প্রয়োগ করা হত ,এ জুটির প্রেমপর্যায়ের মাধুর্যময় ক্লাসিক সংলাপগুলো সে সময় প্রেমিকদের মুখস্ত ছিল। স্মৃতিটুকু থাক ছবির ’মনতো ছোঁয়া যাবে না’ অথবা আবির্ভাব ছবির ’আমি নিজের মনে নিজেই যেন গোপনে ধরা পড়েছি’ অথবা নীল আকাশের নীচে ছবির ’প্রেমের নাম বেদনা, সে কথা বুঝিনি আগে -এ সব গান কি ভোলা যায় ? এ জুটির সেরা বলা যায় জহিরুল হক পরিচালিত ‘রংবাজ’ ছবিটিকে। এ ছবিতে রয়েছে ‘সে যে কেন এলো না কিছু ভালো লাগে না’সহ কালজয়ী কিছু গান। এ ছবিতে মধ্যবিত্ত চির চেনা ভদ্র যুবকের ইমেজ ভেঙে সম্পূর্ণ নতুনরূপে আবির্ভূত হন রাজ্জাক। এ ছবিতে প্রথম পাল্টে যায় তার চুলের স্টাইল ও গেটআপ-মেকআপ। স্বাধীনতা-পরবর্তী অস্থির তারুণ্যকে তুলে ধরেন তিনি। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৩ সালে। আমি হলে এ ছবি দেখে এসে নিজেকে রাজ্জাক ভাবতে শুরু করেছিলাম।
তবে রাজ্জাক সবচেয়ে বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন শাবানার বিপরীতে। ১৯৭০ সালে ‘মধুমিলন’ ছবি দিয়ে রুপালি পর্দায় জুটি বাঁধেন তাঁরা। তারপর ‘অবুঝ মন’, ‘সাধু শয়তান’, ‘মাটির ঘর’, ‘দুই পয়সার আলতা’সহ অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তাঁরা।
রাজ্জাক-ববিতা জুটি ছিল ঢাকাই ছবির অন্যতম সেরা রোমান্টিক জুটি। এছাড়াও অন্যান্য কিছু নায়ক –নায়িকাও জুটি বেধেঁ সফল হন যেমন আলমগীর-শাবানা জুটি। নতুন অনেক জুটিও সফল হয়েছে-কিন্তু ততদিনে আমি ছবি দেখা ছেড়ে দিয়েছি। তবু আজও যেন সেসব দিনের কথা মনে পড়ে ‘আসিতেছে আসিতেছে’ ”চলিতেছে- চলিতেছে” বলে নানা ঢং-য়ে মাইকে প্রচার হতো বিভিন্ন সিনেমার নাম। নামগুলোও ছিল কাব্যিক। সিনেমার প্রচার হতো জমকালো ভাবে, রিকশার চারদিকে রঙিন ছবির পোস্টার দিয়ে সাজিয়ে সিনেমা হলে যাওয়ার জন্য নানাভাবে আকৃষ্ট করা হতো দর্শকদের ।
এক সময় স্ত্রী, ছেলে মেয়েরা বায়না ধরতেন সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখার, এখন আর সিনেমা হলে যাওয়ার বায়না ধরে না এ প্রজন্মের কেউ । অথচ মা-বাবা, ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজন মিলে সিনেমা হলে চলচ্চিত্র দেখতে যাওয়ার ঘটনা এককালে খুবই সাধারণ ছিল।
ইন্টারনেটের প্রভাব ও বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের সহজলভ্যতা, হলের পরিবেশের করুণ অবস্থার কারণে হারিয়ে গেছে সিনেমা হলের পুরাতন দিনের সে জৌলুস।
তবে ভি সি আর নামক নতুন প্রযুক্তি এলে বোঝা গেল পুরানো প্রজন্মের সমষ্টিক রুচি নতুন প্রজন্মের সমষ্টিক রুচির কাছে মার খাওয়া শুরু করেছে। হিন্দি ছবির দর্শকই বেশী। এটি বাঙালী সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ বিবর্তনকাল । সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্যই হল তা পরিবর্তনশীল ও শক্তিশালী অন্য সংস্কৃতির কাছে তা মার খাবে। কথা ঠিক। নদীর বৈশিষ্ট্যও তো প্রবাহমানতা।কিন্তু সেখানেও তো বাঁধ দিয়ে নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করা হয়। সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বেলায় কি তা করা যায় না?
মনে হয় বাড়াবাড়ি করে ফেলছি। সামান্য ব্যাংকার ছিলাম। অন্যের বিত্ত-বৈভব বাড়ানোর তরে যোগ –বিয়োগ-গুণ –ভাগ করেছি সারাজীবন। এ সব বিষয়ে কথা বলার আমি কে?
তবে আমি মনে করি আমাদের মত ক্ষুদ্র ব্যক্তিদের জীবনের ছোট ছোট ঘটনাগুলোও তো যার যার কাছে তার তারটা হেলাফেলার হতে পারে না। না আর না ,বড়বড় কথা আজ পড়ে থাক।
যা হোক একদিন রমিজ সাহেব জানাল অমুক আগরওয়ালার ওখানে রাতে সোনালী ব্যাংকের কয়েকজন ভিসিআর -এ ইন্ডিয়ান হিন্দী সিনেমা দেখে। আমাদেরও দাওয়াত দিয়েছে, যাবেন নাকি? যাব- যাব অবশ্যই যাব । বিকেল বা সন্ধ্যায় কাজের চাপে সম্ভব না হলেও রাতে তো অসুবিধা নাই। সানন্দে রাজী হলাম। প্রথম দিন বোধ হয় দেখলাম “শোলে”. তারপর “ডিসকো ড্যান্সার”। সে সময় দেখা আরো কিছু ছবির নাম মনে পড়ছে-আলী বাবা আউর চল্লিশ চোর,কোরবাণী, নেমক হালাল ,হিম্মতওয়ালা ইত্যাদি। এ ভাবে চলতেই থাকল।
কিছুদিন পর দেখলাম ভি সি আর –এর বানিজ্যিক ব্যবহার শুরু হয়েছে তালোড়ায়। বিকেল শুরু হলেই শুনতাম মাইকে কেউ প্রচার করছে ভি সি আর, ভি সি আর, ভি সি আর ।আজ সন্ধ্যে ছটায় যে ইন্ডিয়ান হিন্দি ছবিখানি দেখানো হবে তার নাম ‘“শোলে”.’ এবং রাতনটায় চালানো হবে ‘,হিম্মতওয়ালা ‘ টিকিট মাত্র ৫ টাকা ,৫ টাকা ,৫ টাকা। ভি সি আর ,ভি সি আর …….। তখন থেকে প্রায়ই মাইকে এরকম এলাউন্স শুনতাম।
পরবর্তিতে ১৯৯২ সালের দিকে কোথাও কোথাও “বেদের মেয়ে জোসনা” নামক বাংলা ছবি দেখার জন্য ভিসি আর ভাড়া করতে দেখেছি।
যা হোক এসব ছবি দেখার বাই প্রোডাক্ট হিসেবে আমার জীবনে এক নতুন উপদ্রপ উপস্থিত হল। (ক্রমশঃ)
বাংলাদেশ সময়: ১১:০৪:৪৬ ৮০৪ বার পঠিত #bangla news #bangladeshi News #bd news #bongo-news(বঙ্গ-নিউজ) #জাতীয় #শিরোনাম