বঙ্গ-নিউজঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে আগামী ১ নভেম্বর বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা ও অপর চার কমিশনার। ওই বৈঠকে আগামী সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, নির্বাচনী পরিবেশ, শঙ্কাবোধ, সুবিধা-অসুবিধা, বাধা, আইন সংক্রান্ত জটিলতা, সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের চাওয়া এবং রাষ্ট্রপতির কাছে পরামর্শ চাওয়াসহ সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক আরো অনেক বিষয়ে কথা বলবে নির্বাচন কমিশন।
সিইসি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে বাকি চার নির্বাচন কমিশনার বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম।
এদিকে রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব জয়নাল আবেদীন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘পহেলা নভেম্বর বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ বাকি চার নির্বাচন কমিশনারের সাক্ষাতের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।’
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে আপনারা কী কী প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলবেন-এমন প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করে তফসিল ঘোষণা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা হতে পারে। আমরা (সিইসিসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার) সমগ্র নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে কথা বলব। সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাতের পর থেকে এই পর্যন্ত যতগুলো স্থানীয় নির্বাচন সম্পন্ন করেছি সেই নির্বাচনগুলো কেমন হয়েছে, নির্বাচনগুলোতে কমিশন কী ধরনের সমস্যাবোধ করেছে এবং কী ধরনের শঙ্কাবোধ ছিল- এসব নিয়ে কথা বলব। নির্বাচনগুলোতে আরো কী কী করা যেত এবং করা উচিত ছিল এসব নিয়েও কথা হবে।’
এই নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের বর্তমান যে কাঠামো আছে সেই কাঠামো কেমন, কাঠামোতে কী ধরনের সুবিধা আমরা পাচ্ছি অথবা কী ধরনের অসুবিধা দেখছি, কাঠামোর কোনো দিক পরিবর্তন করা প্রয়োজন কি না, এ ছাড়া আইন সংক্রান্ত জটিলটাসহ সংসদ নির্বাচনের সামগ্রিক বিষয়ে প্রস্তুতির কথাও আমরা রাষ্ট্রপতিকে জানাব। এককথায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের যা যা কথা আছে সবই বলব।’
ইসি রফিকুল বলেন, ‘ভোটারদের ডাটাবেজ করা হয়েছিল ২০০৮ সালে। প্রত্যেকটি যন্ত্রেরই একটা আয়ুস্কাল থাকে। ডাটাগুলো যে যন্ত্রে সংরক্ষণ করা তার আয়ুষ্কাল প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এখন নতুন করে যন্ত্রপাতির প্রয়োজন। যন্ত্রপাতিগুলোকে প্রতিস্থাপন করতে গেলে বাজেট দরকার। বাজেটের এসব বিষয় নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আমাদের কথা হবে।’
সরকারের সঙ্গে যদি সংলাপে বসার প্রয়োজনীতা বোধ করেন তখন কী করবেন- এমন প্রশ্নে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সরাসরি সরকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি না। নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে যদি আমাদের আলোচনা-সমালোচনার দরকার হয় সেক্ষেত্রেও আমরা রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সরকারের সঙ্গে সংলাপে বসতে পারি।’
এর আগে গত ৮ অক্টেবর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও বাকি চার নির্বাচন কমিশনার তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ চেয়ে চিঠি দেয় বঙ্গভবনে। চিঠিতে অক্টোবরের ২৮ থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ চাওয়া হয়। চিঠিটি ইসি সচিবালয়ের মাধ্যমে বঙ্গভবনে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন রোববার বাসসকে জানিয়েছেন, ১ নভেম্বর বিকেল ৪টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে সাক্ষাৎ চেয়ে নির্বাচন কমিশন আবেদন করেছে ইসি। লিখিতভাবে এখনো সময়সূচি জানানো হয়নি রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে। আমরা জানলে আপনাদের জানানো হবে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর আরেকটি কমিশন সভা হবে। ওই সভাতেই তফসিলের বিষয়ে আলোচনা হবে।’
বাংলাদেশ সময়: ১১:০৬:৪৬ ৫২৩ বার পঠিত #নির্বাচন কমিশনার বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে রাষ্ট্রপতির সঙ্