বঙ্গ-নিউজঃ    ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের ভবন থেকে নিজ নবজাতক সন্তানকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সীমা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। তবে ঘটনার পরপর মা’ও ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের পুরাতন জেলরোডস্থ দি ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্পেশালাইজড হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

পরিবার ও পুলিশ বলছে, প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে কলহের জের ধরে নবজাতক ছেলেসন্তানকে পাঁচতলার ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন মা।

আখাউড়া উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের বিল্লাল মিয়ার মেয়ে সীমা আখতার। তার স্বামী লেবাননপ্রবাসী মনির হোসেন। এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়।

পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হয় সীমার। আজ সকালে সবার অলক্ষ্যে তিনি সন্তানকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে পাশের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভবনের ছাদে গিয়ে নিচে লাফিয়ে পড়েন।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে জেলা শহরের পুরোনো জেল রোড এলাকায় লাইফ কেয়ার অ্যান্ড শিশু জেনারেল হাসপাতালে প্রসবজনিত ব্যথা নিয়ে ভর্তি হন সীমা। ওই দিন রাতেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার একটি ছেলেশিশুর জন্ম হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, আজ ছুটির দিন হওয়ায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনেক ভিড় ছিল। একজন মাকে নবজাতক সন্তান কোলে ছাদে যাওয়ার বিষয়টি কেউ খেয়ালও করেনি। তবে সীমার শিশুটিকে পাঁচতলা থেকে ফেলে দেয়ার পর নিচে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন হতবাক হয়ে পড়েন। সীমার লাফিয়ে পড়ার প্রস্তুতি দেখে তাঁরা নিচ থেকে চিৎকার করে লাফ দিতে নিষেধ করেন। কিন্তু কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই লাফিয়ে পড়েন সীমা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ১নং ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) উসমান গণি সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৫:০৮   ৪৪২ বার পঠিত   #নবজাতককে ফেলে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন মায়ের