স্টাফ রিপোর্টার,বঙ্গ-নিউজঃঃসুনামগঞ্জ ১ (ধর্মপাশা, মধ্যনগর, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহ্বায়ক ড. রফিকুল ইসলাম তালুকদার গতকাল ৯ অক্টোবর ২০১৮ মঙ্গলবার বিকেলে মধ্যনগরের নিয়ামতপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময়কালে তিনি নিয়ামতপুরবাসীকে এবং সুনামগঞ্জ-১ ও সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি শারদীয় ও দূর্গা পূজার শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
মধ্যনগর থানা আওয়ামী লীগের সদস্য উপানন্দ সরকারের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন মধ্যনগর ইউপি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অমল সিংহ, ধর্মপাশা সদর ইউপি যুবলীগের সভাপতি আল আমিন, ধর্মপাশা উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আল মামুন, মধ্যনগর ইউপি ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কৈলান বিশ্বাস প্রমুখ।
উপস্হিত প্রায় দুই শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী উন্নয়ন ও রাজনৈতিক অর্থনীতি বিষয়ক গবেষক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. রফিকুল ইসলাম তালুকদারেরকে পেয়ে অত্যন্ত খুশি হন ও খোলা মনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করা নিয়ে আলোচনা করেন।
জনগণ অভিমত ব্যক্ত করেন যে বর্তমান পরিস্থিতে অত্যন্ত ক্লিন ইমেজের অধিবাসী প্রার্থী ছাড়া এই আসনে এইমমুহূর্তে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। তারা বলেন নানা কারণে এই আসনে শুধু জনগণ বিরূপ নয়, দলীয় নেতা-কর্মীরা বিভক্ত এবং একটি বড় অংশ স্থানীয় এমপি বিরোধী অবস্থান নিয়েছেন, এমনকি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আপনি ছাড়া সকলেই প্রকাশ্যে উনার বিরুদ্ধে সাংঘাতিকভাবে অবস্থান নিয়েছেন বলে আমরা জানতে পারছি।
প্রতিক্রিয়ায় ড. রফিকুল তালুকদার বলেন দলীয় সাংসদের বিরুদ্ধে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের এভাবে অবস্থান নেয়াটা জননেত্রীর নির্দেশনার বাইরে। এটি দলের জন্য আত্মঘাতী, ভোটে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলবে। মাননীয় প্রধামন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ ও ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসে এই হাওড় অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য অফুরন্ত সহায়তা করেছেন। একই সাথে বিপুল সম্পদ-সহায়তা প্রদান করেছেন। তাই এই সময়ের মধ্যে উন্নয়ন এখানে উল্লেখযোগ্য। মাননীয় প্রধামন্ত্রীর এত সহায়তার পরও তিনি দলকে সংঘটিত করতে পারলেননা, জনমনে চরম বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরী করলেন। এটি দলের জন্য অত্যন্ত দুখজনক এবং এই আসনে নৌকার নির্বাচন কঠিনকরে তোললেন, যদিও এটি মূলত নৌকার আসন। ইতিমধ্যে আমরা তিনটি উপজেলাতেই হারলাম। এটি ঠিক যে এখন সত্যিকারের ক্লিন ইমেজের অধিবাসী প্রার্থী ছাড়া আসনটি ধরে রাখা কঠিন হবে।
এখানে এখনও কৌশলগতভাবে অনেক কিছু করার আছে এবং সেগুলো জরুরি। যেমন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ভঙ্গুরতা, বঞ্চনা ও সামাজিক অবিচার থেকে সাধারণ মানুষের মুক্তি, আন্তঃউপজেলা ও উপজেলা-জেলার মৌলিক রাস্তাঘাট এবং রেলওয়ে নেটওয়ার্ক স্থাপনসহ ভালো পরিবহন ব্যবস্থার সংযোজন, মানসম্মত শিক্ষা-চিকিৎসা ও সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত কৃষি-সেচ-বাঁধসহ অন্যান্য পরিষেবা নিশ্চিত করা, এবং মধ্যনগর থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা।
এখানে এই কাজগুলো করার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে। এজন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৪৪:৩৮ ৫৯৬ বার পঠিত