২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা; তৎকালীন বিএনপি’র মতামত!

Home Page » এক্সক্লুসিভ » ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা; তৎকালীন বিএনপি’র মতামত!
মঙ্গলবার, ৯ অক্টোবর ২০১৮



২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলাস্টাফ রিপোর্টার,বঙ্গ-নিউজঃঃ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ইতিহাসের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানোর হয়। তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্যই ওই গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।

তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও এঘটনায় আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন। আহত হন কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী।

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার সময় ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। দেশে কোনো অপরাধ ঘটলে তার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব সরকারের। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মত এমন নৃশংসতম ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার পরিবর্তে, তৎকালীন সরকার এই ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে। তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী এবং বিএনপি নেতারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করতে বিভ্রান্তিকর নানা বক্তব্যও প্রদান করেন। সেসময় দেওয়া কয়েকজন বিএনপি নেতার বক্তব্য তুলে ধরা হলো,

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহতদের সাহায্য করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছুটে গেলে, তখন পুলিশ উল্টো তাদের ওপর টিয়ার শেল ছুড়ে মারেন। এখানে ডিজিএফআইয়ের এক কর্মকর্তা দায়িত্বরত ছিলেন, তিনি পুলিশ হেড কোয়ার্টারে ফোন করে জানতে চায়- এটা কি হচ্ছে? কেন এমন করা হচ্ছে? পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে তাকে ধমক দিয়ে বলা হয়েছিল, ‘তোমার ওখানে কী কাজ? তুমি ওখান থেকে সরো।’২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরে, জাতীয় সংসদে বেগম জিয়া বলেছিলেন, ‘ওনাকে মারতে যাবে কে?’ শেখ হাসিনা নিজেই ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন।’

তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছিলেন, ‘উই আর লুকিং ফর শত্রুজ’।

২০০৪ সালের ২২ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের এক সমাবেশে সংগঠনের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছিলেন, শেখ হাসিনা এবং সাবের হোসেন চৌধুরীকে রিমান্ডে নিলেই প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হবে।

গ্রেনেড হামলার পরে মুক্তাঙ্গনে বিএনপির একটি সমাবেশে নেতারা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিজেই এই হামলা চালিয়েছে জনগণের দৃষ্টি ও সহানুভূতি আদায় করার জন্য।’

৩০ আগস্ট, ২০০৪ বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে দলের তৎকালীন মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভুঁইয়াসহ একাধিক মন্ত্রী ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার জন্য আওয়ামী লীগকেই দায়ী করেন।

একই সমাবেশে তৎকালীন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী আমানুল্লাহ আমান বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছেন। আমরা সব ধরনের তদন্ত করব। খুব তাড়াতাড়িই তদন্ত রিপোর্ট দেব। ওই রিপোর্টে গ্রেনেড হামলার জন্য আব্দুস সামাদ আজাদ, মোহাম্মদ নাসিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী এবং তোফায়েল আহমেদকে দায়ী করা হবে।’

২ সেপ্টেম্বর ২০০৪ বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ‘গ্রেনেড হামলা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সরকারের সাফল্যকে আড়াল করতে বোমা হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ সরকারের ও বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা গ্রেনেড হামলার ঘটনাকে আওয়ামী লীগেরই চক্রান্ত বলে বক্তৃতা ও বিবৃতি প্রদান করেছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:২৩:৫০   ৬০৭ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

এক্সক্লুসিভ’র আরও খবর


এস এস সি পাশের হার কমছে বেড়েছে জিপিএ-৫
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্রে সানি লিওনের ছবি!
শক্তিশালী প্রসেসরে নতুন স্মার্টফোন বাজারে আনছে মটোরোলা
ভারত ৩৬টি স্যাটেলাইট স্থাপন করল একসঙ্গে !!
স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস, পরে কথিত স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে পদযাত্রা
রাশিয়ার নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সাবমেরিন!
টিকিট দুর্নীতির প্রতিবাদে রনি, সহজ ডটকমকে ২ লাখ টাকা জরিমানা
ট্রাকচাপায় মেয়েসহ তারা তিনজন নিহত; রাস্তায় গর্ভস্থ শিশু ভুমিষ্ঠ
রোহিঙ্গা যুবক নুর বারেক আটক ,২০ লাখ টাকা উদ্ধার

আর্কাইভ