বঙ্গ-নিউজঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকুক দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র্রের পররাষ্ট্র্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার হোটেলে দেখা করে এ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার দুপুরে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শুধুমাত্র সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সদস্যদের নিয়েই নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হতে পারে। আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি মহল সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে বই লিখতে ইন্ধন জুগিয়েছে। তাদের খুঁজে বের করা উচিত।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনের আদ্যোপান্ত জানানোর পাশাপাশি আসন্ন নির্বাচন এবং নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সাংবাদিকরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও’র সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি জানতে চান।
সত্য ও সৎ সাংবাদিকতা করার আহ্বান জানিয়ে পধানমন্ত্রী বলেন, আইন হয়েছে সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে, সাংবাদিকদের কন্ঠরোধে নয়। সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ এবং মাদকের বিরুদ্ধে তার অভিযান অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া জানান, ঢাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি বিমান চলাচলে চেষ্টা চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী সাংবাদিকেরা প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে তাকে শুভেচ্ছা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত এক বছর ধরে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আমরা বহুপাক্ষিক ফোরামে এবং দ্বিপাক্ষিকভাবে কূটনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। গত বছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে আমি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৫ দফা প্রস্তাব পেশ করেছিলাম। এবারের অধিবেশনে রোহিঙ্গা বিষয়ে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের বেশ কিছু সভায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমি রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানে এ যাবত আমাদের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ এবং চ্যালেঞ্জসমূহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে তুলে ধরেছি।
তিনি বলেন, গতকাল ২৭শে সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্ক পর্বে আমি বক্তব্য প্রদান করি। প্রতিবারের মত এবারও আমি বাংলায় ভাষণ দেই। ভাষণে আমি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, নারীর ক্ষমতায়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, গণতন্ত্রের ধারা সমুন্নত রাখাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সরকারের বিগত সাড়ে নয় বছরের সাফল্যসমূহ তুলে ধরি। পাশাপাশি আমি রোহিঙ্গা সমস্যা, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা, নিরাপদ অভিবাসন ও ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরি।
২৩শে সেপ্টেম্বর আমার সঙ্গে মার্কিন সিনেটর জেফরি এ্যালান মার্কলে’র দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঐদিন সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাঙালিদের আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমি যোগ দেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৪শে সেপ্টেম্বর আমি জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের আয়োজনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণ করি। জাতিসংঘ মহাসচিব, বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট এবং বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকার ভূয়সী প্রসংসা করেন। আমি রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানের জন্য তিনটি সুপারিশ তুলে ধরি। এগুলো হলো এক. মিয়ানমারকে অবশ্যই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত বৈষম্যমূলক আইন, নীতিমালা ও প্রথাগুলো বাতিল করতে হবে এবং এ সঙ্কটের মূল কারণগুলি খুঁজে বের করে তার প্রকৃত এবং সময়োপযোগী সমাধান করতে হবে। দুই. মিয়ানমারকে অবশ্যই একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে এবং এ লক্ষ্যে আস্থা সৃষ্টি ও সকল রোহিঙ্গা নাগরিকের জন্য সুরক্ষা, অধিকার এবং নাগরিকত্বলাভের উপায় নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজন হলে সকল নাগরিকের সুরক্ষার জন্য মিয়ানমারের অভ্যন্তরে একটি ‘নিরাপদ অঞ্চল’ তৈরি করতে হবে। তিন. মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতা প্রতিরোধে জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের সুপারিশমালা বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।
একইদিন সকালে আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে বিশ্বব্যাপী মাদক সমস্যা নিয়ে ‘গ্লোবাল কল অব অ্যাকশন অন দ্য ওয়ার্ল্ড ড্রাগ প্রবলেম’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগদান করি। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ এই গ্লোবাল কল-এ সমর্থন দান করেছে।
এছাড়া, একইদিন আমি নেলসন ম্যান্ডেলা পিস সামিটে অংশগ্রহণ করে শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য ৫ দফা প্রস্তাবনা পেশ করি।
এগুলো হল: সকল ধরনের বৈশ্বিক দ্বন্দ্বের শান্তিপূর্ণ সমাধান; টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি; সহনশীলতার প্রসার, বৈচিত্র্য সংরক্ষণ, ধর্মীয় ও নৃতাত্তিক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠিকে বৈষম্য ও শোষণের হাত থেকে রক্ষা করা; সন্ত্রাসীদের অর্থ ও অস্ত্রের যোগান বন্ধের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ দমন; এবং যেকোন পরিস্থিতিতে মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং অহিংসবাদ ও শান্তি সংস্কৃতির প্রসার।
২৪শে সেপ্টেম্বর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমন্ত্রণে আমি ’লিডার্স ডায়লগ: টুগেদার ফর গার্লস এডুকেশন ইন কনফ্লিকড অ্যাফেক্টেড অ্যান্ড ফ্রাজিল কনটেক্সট’ শীর্ষক সভায় যোগ দেই এবং গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের শিকার রোহিঙ্গা শিশুদের বিশেষ প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষার আয়োজনে বাংলাদেশের কার্যক্রম তুলে ধরি। এ সকল শিশুরা যাতে মিয়ানমারে নিজ দেশে ফিরে গিয়ে আবার স্বাভাবিক জীবন শুরু করতে পারে সে লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য আহ্বান জানাই।
একইদিন দুপুরে আমি মার্কিন চেম্বার অব কমার্স-এর আয়োজনে ‘লাঞ্চিউন রাউন্ডটেবল মিটিং; বাংলাদেশ অব দ্য ফিউচার’ শীর্ষক সভায় অংশ নেই। শীর্ষস্থানীয় মার্কিন ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীগণ এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আমি আমাদের সরকারের ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব নীতি ও উদ্যোগ এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনার বিষয়টি তুলে ধরি। মার্কিন বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশের ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নের প্রশংসা করেন। অনেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
২৫শে সেপ্টেম্বর সকালে আমি বাংলাদেশের আয়োজনে ’সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সভার উদ্বোধন করি। এ সভায় আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরি।
সভায় বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুনবৎ নিরাপত্তা এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের এ বিষয়ে একযোগে কাজ করার বিষয়টি গুরুত্ব পায়। এই সভার সহযোগী আয়োজক ছিল ইউনাইটেড নেশনস অফিস অব ডিসআর্মামেন্ট অ্যাফেয়ার্স।
এ সভার দ্বিতীয় পর্বটি আমার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার সভাপতিত্বে পরিচালিত হয়। সেখানে সাইবার নিরাপত্তার নানাদিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
একইদিন আমি জাতিসংঘের মহাসচিবের আমন্ত্রণে ’অ্যাকশন ফর পিসকিপিং’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সভায় অংশগ্রহণ করি।
আমি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবদান ও সাফল্য তুলে ধরি এবং শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও ফলপ্রসূ করতে সকলের করণীয় বিষয়ে আলোচনা করি। এ বছর আমরা জাতিসংঘ কর্তৃক প্রণীত শান্তিরক্ষার যৌথ অঙ্গীকারনামায় সমর্থন জানাই।
গত বছর জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগে গঠিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ’সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন অ্যান্ড এবিউজ’ এর এক বছর পূর্তিতে গৃহীত সার্কেল অব লিডারশিপ যৌথ ঘোষণাও বাংলাদেশ অনুমোদন করে।
একইদিন আমি ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম আয়োজিত ’সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন দ্য ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভল্যুউশন’ শীর্ষক প্লেনারি সভায় অংশগ্রহণ করি। এই প্লেনারি সভা ডব্লিউইএফ সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইম্প্যাক্ট সামিট ২০১৮ অন্তর্ভুক্ত একটি সভা। সভায় আমি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের পরিকল্পনা ও অগ্রগতির বিষয়গুলো তুলে ধরি। অনুষ্ঠানে ৭০টি দেশের প্রায় ৭০০ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
২৬শে সেপ্টেম্বর আমি হাই লেভেল ইনফর্মাল ডায়লগ অন ইমপ্লিমেন্ট অব দ্য প্যারিস অ্যাগ্রিমেন্ট অন ক্লাইমেট চেইঞ্জ: টুওয়ার্ড সিওপি ২৪ অ্যান্ড বিওয়েন্ড’ শীর্ষক সভায় যোগ দেই। এই সভায় আমি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সাফল্য তুলে ধরি। এছাড়া আমি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে গৃহীত প্যারিস অ্যাগ্রিমেন্ট বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক মহলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করি।
২৭শে সেপ্টেম্বর আমি ওআইসি সচিবালয় এবং সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের অবস্থা বিষয়ে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের এক সভায় যোগ দেই। এই সভায় মুসলিম বিশ্বের বেশ কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান অংশগ্রহণ করেন। রোহিঙ্গা সমস্যার শুরু হতেই ওআইসি বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং এ সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে। এবারের সভায় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মুসলিম বিশ্বের পরবর্তী করণীয় এবং সকলের মিলিত পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়।
একইদিন আমি লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট ও কাউন্সিল অব উইমেন ওয়ার্ল্ড লিডার এর চেয়ার মিজ ডালিয়ার আমন্ত্রণে হাই লেভেল ডিসকাসন অন ইকোনোমিক গ্রোথ থ্রু উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সভায় অংশগ্রহণ করি। বিশ্ব অর্থনীতিতে নারীর ভূমিকা উল্লেখপূর্বক আমি নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়নে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরি। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের মহাসচিবও অংশগ্রহণ করেন।
২৭শে সেপ্টেম্বর ইন্টার প্রেস সার্ভিস নিউজ এজেন্সি রোহিঙ্গা ইস্যুতে অনুকরণীয়, দূরদর্শী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের জন্য আমাকে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। একইদিনে গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন আমাকে ২০১৮ স্পেশাল রিকগনিশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। এই সম্মাননাও রোহিঙ্গা ইস্যুতে দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য প্রদান করা হয়। ইউনেস্কোর সাবেক মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা এই প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে বিভিন্ন সভায় অংশগ্রহণের পাশাপাশি আমি জাতিসংঘ মহাসচিব কর্তৃক সকল দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানগণের জন্য আয়োজিত মধ্যাহ্ন ভোজ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কর্তৃক আয়োজিত অভ্যর্থনা সভায় যোগ দেই। এছাড়া, এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট, জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের সভাপতি, জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার, ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক, ইন্টারন্যাশনাল রেডক্রস কমিটির সভাপতি, জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত, নেদারল্যান্ডের রানী ম্যাক্সিমা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়িনের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিনিধি, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সভাপতি এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে আমার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়।
এসব বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়টি উঠে আসে। এবারের অধিবেশনে বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি সম্পর্কিত একটি, বিশ্ব শান্তি রক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কিত ২টিসহ সর্বমোট ৫টি যৌথ ঘোষণাপত্র অনুমোদন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ৮:১৪:৩৪ ৪০৩ বার পঠিত