রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থানের কারণে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে,আতঙ্কে স্থানীয়রা

Home Page » এক্সক্লুসিভ » রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থানের কারণে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে,আতঙ্কে স্থানীয়রা
মঙ্গলবার, ২৮ আগস্ট ২০১৮



 

 

ফাইল ছবি 

 বঙ্গ-নিউজ: মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থানের কারণে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। বিশেষ করে মৌলবাদী সংগঠনগুলোর পাশাপাশি জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণহীন রোহিঙ্গাদের ব্যবহারের আশংকা রয়েছে। এ অবস্থায় টেকনাফ-উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ানোর কথা বলছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে দেশ ত্যাগের এক বছর পালন করতে গিয়ে শনিবার দিনভর উত্তাল ছিলো উখিয়ার বিস্তীর্ণ পাহাড়ি এলাকায় গড়ে ওঠা রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো। ১৬টি পয়েন্টে বড় ধরনের সমাবেশের পাশাপাশি মিছিলের মাধ্যমে ব্যাপক শোডাউনও করে তারা। এবারই প্রথম নয়। সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশি কোনো সরকার কিংবা সংস্থার প্রধান শিবির পরিদর্শনে আসলেই রোহিঙ্গারা এ শোডাউনের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দেয়।

নিয়ন্ত্রণহীন এসব রোহিঙ্গাদের আচরণে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন স্থানীয়রা।

রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আদিল চৌধুরী বলেন, ‘এরা বারবার যে নিরাপত্তা বেষ্টনী আছে, সেটা থেকে কীভাবে যে বেরিয়ে আসছে, এটা আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না। এরা কিন্তু লোকালি আসছে। রাতে যে এরা বিভিন্ন বাড়িতে অবস্থান করছে- সব দিক থেকে আমরা স্থানীয়রা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি।’

রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির আরেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহমুদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে লক্ষাধিক মানুষ যখন আমাদের দেশে থাকবে, তাদেরকে অন্য কোনো পক্ষ যে কোনো সময় উসকানি দিয়েই হোক, বা তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েই হোক- এটা আমাদের নিরাপত্তার জন্য খুব বড় হুমকির সৃষ্টি করবে।’

রোহিঙ্গাদের অবস্থান দীর্ঘস্থায়ী হলে স্থানীয়ের পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা ও হুমকির মুখে পড়বে বলে আশংকা নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের। প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারাও হুমকির বিষয়টি স্বীকার করছেন।

এ অবস্থায় রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক।

তিনি বলেন, ‘আমাদের নজরদারী আছে যে আমাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে যাতে তারা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস ছড়াতে না পারে। সে কারণে আমাদের পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থাগুলো এদেরকে কড়া নজরদারিতে রেখেছে।’ কক্সবাজার জেলার টেকনাফ এবং উখিয়া উপজেলায় নতুন পুরাতন মিলিয়ে বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ৮:২৭:৪০   ৩৯৪ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

এক্সক্লুসিভ’র আরও খবর


এস এস সি পাশের হার কমছে বেড়েছে জিপিএ-৫
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্রে সানি লিওনের ছবি!
শক্তিশালী প্রসেসরে নতুন স্মার্টফোন বাজারে আনছে মটোরোলা
ভারত ৩৬টি স্যাটেলাইট স্থাপন করল একসঙ্গে !!
স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস, পরে কথিত স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে পদযাত্রা
রাশিয়ার নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সাবমেরিন!
টিকিট দুর্নীতির প্রতিবাদে রনি, সহজ ডটকমকে ২ লাখ টাকা জরিমানা
ট্রাকচাপায় মেয়েসহ তারা তিনজন নিহত; রাস্তায় গর্ভস্থ শিশু ভুমিষ্ঠ
রোহিঙ্গা যুবক নুর বারেক আটক ,২০ লাখ টাকা উদ্ধার

আর্কাইভ