পৃথিবীরর এ আকাশটা যখন মেঘে ঢেকে দেয়,
ঘুরুম ঘুরুম শব্দে মেতে উঠে……………………….. পৃথিবী বিদ্যুৎ নিয়ে মেতে উঠে।
তেমনিভাবে মনের মেঘগুলি হৃদয়ের দেয়ালে
ধুপ,ধুপ শব্দে অতিষ্ঠ করে তোলে…….
যতক্ষণ না মেঘবালক বৃষ্টিকন্যাকে আঘাত না করে ঝরে যাওয়ার জন্য তবুও পৃথিবী শান্ত হয় না,
তেমনি…….বৃষ্টিজল পৃথিবীদেবীকে ধুয়ে সিদ্ধ করে।
তেমনি কারো কথায়, উদাসী হাওয়ার আঘাতে
মনের মেঘ যতক্ষণ চোখেরজল হয়ে গড়িয়ে না পড়ে
ততক্ষণ মনেরগহন বাতাস হাল্কা হয় না।
তবে কি, তবে কি মেঘ- বালক বৃষ্টির ঐ রিমঝিম শব্দে তোমার হৃদয়ের কথা বলে ? কেনো তাহলে ঘন-কালো মেঘদূত হয়ে উড়ে যাও সুদূর আকাশের গাঁয়? কেনো আবার ঝড়ো হাওয়ায় ঝরে পড়ো কঠিন শিলা হয়ে সে কি তোমার মনের সব ঘৃণিত মনের অমৃত বিষ ?
তোমার বেলায় কেনো এ প্রশ্নের ছড়াছড়ি ? কেনোই বা মিছেমিছি করি আশাপতি সাঁজাই মনেরগহন তলে, যেখানে কেউ খুঁজে পায় না তোমার অসীম প্রাণমন। যখন তোমার পাশে পাই না নিজের অস্তিত্ব তখনি হই বিমুখ হয়ে চাই শুধু আমারই পাণে যেখানে দিয়েছিলে কঠিন শিলারস আপন মনে । গহীন এ অন্ধকার মনের দ্বিধা নিয়ে যে পথে আমি গিয়েছি বার বার, ভুলিনি তো এক দিনও ! আজ কি সে পথের চিহ্ন মুছে দিতে চাও হে মেঘ বালক তোমারি বৃষ্টির ধারায়? কেনো তোমার এ অবহেলা….. যে অবহেলায় ঝরিল মেঘ বালিকার বিরহ অশ্রুবারি ।
মেঘের ঘনঘোর আঁধারে যখন হয় তোমার মিলন-মেলা, চোখেচোখে ভাসাই তরী নিয়ে নিবিড় স্মৃতিকথা সাঁজাই মন- মন্দিরে গেঁথে বিনিসুতোর মালা । অকারণে একেলা বসে একে একে আঁকি রংধনুর সাত রঙ মাখিয়ে আকুল খুঁজি তোমায় নব অনুরাগে । তোমার খেলা বুঝা দায়, কখনো খেলে যাও চাঁদের সাথে লুকোচুরি। অনাদরে দূরে ঠেলে দাও, ভালবাসার স্বপ্নিল দূয়ার হতে । তবু থাকি আশায়, সকালের শুভ্র শিশিরের মতো শুকায় আলোর ঝলকানিতে, তেমনি আমারও উদাসী মনের বিষাদী আনন্দ মিলায় বিদ্যুৎ পরিহাসে। সুরের হাওয়ায়, হাসির তরংগে খুঁজি-ফিরি তোমায়। মাধবী লতায় জড়ানো ফুলের মতো মধুর সুবাসে……… বন্ধু মেঘ বালক হয়ে তুমি যা লিখলে, ” তোমাকে অামি যখনে দেখি এই সুন্দর পৃথিবীর মাঝে অামার মনের মাঝে এটাই মনে হয় তোমার জন্য……
এই পৃথিবীর মাঝে যত সৌন্দর্য অাছে অামি যদি সৃষ্টিকর্তার সব সৌন্দর্য এক করি বিশ্বাস কর তার যদি কোন সমষ্টি বা যোগফল অাসে সেটা না যাবে এই পৃথিবীর কোন ভাষায় প্রকাশ করা কারন অামার মনের মাঝে সেই সমষ্টিটাই তুমি। কারন তুমি শুধু তোমারি তুলনা।নয় কল্পনা অার নয় মোনালিসা।” শুভ্র শরতের মেঘে ভেসে যাওয়া মেঘকন্যা তোমার ভাবনায় বিলীন হয়ে এ প্রণীল আকাশের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ভেসে বেড়ায় মেঘ বালক………..! আচ্ছা মোনালিসার সেই হাসির রহস্য কি আজও খুঁজে পেয়েছে?
মেঘলাকাশে হে মেঘ- বালক স্বপ্নের ডানায় ভর করে
তোমারি পিছে পিছে ভেসে বেড়ায় একটু স্পর্শের জন্য। তুমি ছুঁয়ে দিলে বৃষ্টি হয়ে নেমে আসে মেঘকন্যা এ ধরণীতে শান্তিজল হয়ে। তুমি কি পারো বুঝতে মেঘকন্যার উদার সেই ভাবনা ? যে মেঘের বুকে জড়িয়ে তোমায় নিয়ে দেখে স্বপ্নীল মেঘের ঘনঘটা।
সে কি তুমিও বুঝতে পারো মেঘবালক……. মেঘ বালক, তোমরা মেঘ বালকই তাই ভেসে বেড়াও নানা স্বপ্নিল ভাবনায়, ” অামি হয়তো তোমার মত করে মনের রং দিয়ে কবিতা লিখতো পারি না।যা তুমি কল্পনার সাত রং এ মিশে এক রং এ অাঁক।অামি হয়তো লিওনার্দো দ্যা মত করে তোমাকে নিয়ে মনালিসার ও কোন ছবি অাঁকতে পারবো না।কারন অামি খুব সাধারন একটা মানুষ।
কিন্তুু অাজ থেকে দুবছর অাগে যখন তোমাকে অামি এই পৃথিবীর মাঝে ফেজবুকে তোমাকে প্রথম দেখি তখন থেকে অাজ অব্দি তোমার ছবিটা কেন জানি অামার মনের মাঝে ভেসে অাসে।তাই সর্বদা এই জীবনে এটাই ভাবি হয়তো তোমার কিছু অাছে যা অাজ পর্যন্ত কেন জানি তোমায় ভুলতে পারি নি।
অার মজার বিষয় হল অামরা একে ওপরকে ভাল ভাবে জানিও না তারপরও তোমার কথা কেন জানি অামার মনে পরে।কোথায় জানি মনের মাঝে একটা অাপন মানুষের ছাপ তোমার মাঝে খুজে পাই।তাই তোমাকে এভাবে বলি।” কি হলো আপনার? আমি কিছুতেই আলোকিত নই। অন্ধকার এক নিশিত রাতে ঘুরপাক খাচ্ছি একটি ভোরের অপেক্ষায়…… কখন, কতদিন, কতমাস, কতবছর লাগবে তা আমি বা কেউ-ই জানে না। পারবে না বলতে কেউ…. এইতো ভোরের সোনা রোদ চিকচিক করছে তোমার কাঁচের জানলার পাশে, চোখ খোলো দেখো নতুন দিনের প্রত্যাশা তোমায় ডাকছে। উঠে এসো…… ঝলমলে আলোর বন্যায় ভাসিয়ে নাও মেঘকন্যা তোমারি ভেলা……..!!
হেমন্তের এ হিমেল হাওয়ায় ভেসে যায় মেঘ-বালক কোন সে অজানায় । মেঘ- বালকের হৃদয়ে বাজে ঘন মেঘের ডমরু গুরু গুরু হলো রোমাঞ্চিত । নেঘ-বালিকার চঞ্চল বক্ষোহিন্দোলে বেজে উঠে মিলনের স্বপ্ন মুখরিত পল্লবে সন্ধ্যা-মালতীর সুর। ক্লান্ত পথিকেরে মেঘকন্যা বৃষ্টিজলে সিক্ত করে তোলে তারি মায়াবী বায়ে। এ তারাহারা নিঃসীম অন্ধকারে কার আশার তরণী বয়ে চলে মেঘ- বালিকা গহন ঘুমের ঘোরে?! ঝরো ঝরো বাদল ধারায় উল্লাসে চেয়ে আকাশের পানে।
পরন্ত বিকেলে মেঘবালিকা দোলায় দুলিছে, নির্জনে এ বকুলশাখায়।
জন্ম জন্মান্তরের সম্পর্ক মেঘের সাথে মেঘকন্যার।…….
তোমার মেঘকন্যার জন্মই শুধু চোখেরজল ফেলার জন্য ?! কি করে মেনে নেবো যে কথা কারো সাথে শেয়ার করাও যায় না । হে মেঘ-বালক তুমি কি পারোনা তোমার মেঘের পালকে করে উড়িয়ে নিতে তোমার মেঘকন্যার সকল দুঃখ কষ্ট গুলোকে ধুয়ে দিতে?! পারো না তোমার ধূসর সাদা মেঘের চাদরে তাকে জড়িয়ে নিয়ে হাওয়ায় ভাসতে ?! তাহলে তো কেউই পারবে না স্পর্শ করে আঘাত করতে।
না বলা কথা দুমড়ে মুড়চ্ছে পড়চ্ছে মনের দেয়ালে । বারবার বিবেক নামক এক হতভাগার কাছে প্রশ্নের তীর ছুড়ে দিচ্ছি। দেয়ালে লাগছে কিন্তু ক্ষত হচ্ছে না । কি নিদারুণ কষ্ট কি করে মুছে ফেলা যায়?
তবু ভয় কাজ করে মনের কোনে, মেঘের এ শূণ্যে উড়ে চলে একা দূর বহু দূর যার নেই কোনো ঠিকানা।
এই ভর দুপুরে নিশ্চুপ
চারদিকে একা বসে বসে ভাবছিলাম কতকি! আসলে আমাদের জীবনে এমন অনেক কিছু হয়, থাকে, যা কখনো আমরা শেয়ার করতে পারিনা কারোরই সাথে। তেমন কিছুই কষ্ট দিচ্ছে মনকে এ উদাস করা দুপুরে।
মিথ্যে হাওয়ার পিছু পিছু হাঁটতে হাঁটতে ভুলেই গিয়েছিলাম এ তো মেঘ-বালক। এদের ধরা যায়না, এরা ধরাও দেয়না কখনো । মিথ্যে মরিচিকার মতোই শুধু তার পিছনে ভেসে যাওয়া । মন….. মন কি জিনিস ?! আজব তার অনুভূতি, আজব তার লীলা খেলা । যে খেলতে দেয় তার কি কখনো এতোটুকু অনুভব করার মন নেই ? মেঘ- বালিকার মতো আমিও যে উড়ে উড়ে মেঘের গর্জনে নিজেকে আঘাত করছি । এ বিশাল আাকাশের সীমানা ছাড়িয়ে কি যেতে পারবো
তোমার কাছে? শুনেছি এক আকাশের উপর আরও সাত আসমান। সে আসমানের রঙ কি? সেখানেও কি মেঘ ভেসে বেড়ায় ? তারায় তারায় খচিত তোমার বুক ? কোথায় খুঁজবো তোমাকে, আমার সেই মেঘ-বালককে ? যে অবলীলায় কোলে মাথা রেখে বলতো “একটু ঘুমিয়ে নেই…… পরম শান্তি এখানে ।”
সে কি সবই ছিলো অলীক সপ্নডাঙার আহত পাখির মতো? দোলনচাঁপার নরম শুভ্র পাপড়ির মতো?! এক প্রণীল প্রশান্তি ফুটে উঠতো তোমার চেহারায় । কি করে ভুলে যাবো ভোরের শিশিরকণার মতো ।
ক্রমশ ……..১৯/৭/২০১৮ইং
বাংলাদেশ সময়: ৮:৩৬:৫৯ ১৮৮৬ বার পঠিত #জলশ্রী বানী ডিয়ায #মেঘ বালক